
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সাংবাদিকের মেয়ে ৪র্থ শ্রেণির স্কুলছাত্রী ঊর্মিকে (৯) ধর্ষণ শেষে নৃশংসভাবে হত্যাকারী ছগীর আকনের ফাঁসির দাবিতে এবং দেশের সব ধর্ষকদের দ্রুত সময়ের মধ্যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণের আয়োজনে রোববার (১৬ মার্চ) দুপুরে মঠবাড়িয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সম্মুখ সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় মঠবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম আজাদীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, প্রেসক্লাবের সভাপতি মিজানুর রহমান মিজু, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি জামাল এইচ আকন, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ইসমাইল হোসেন হাওলাদার, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল বুলেট, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের স্টাফ রিপোর্টার ইমন চৌধুরী, শিক্ষক প্রতিনিধি দোলোয়ার হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি আসাদুজ্জামান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠক সাইফুল ইসলাম, রাসেল রায়হান, ছাত্রদল নেতা রুবেল আহম্মেদ, ছাত্র প্রতিনিধি অব্দুল্লাহ আল অভি ও নিহত ঊর্মির বাবা সাংবাদিক জুলফিকার আমীন সোহেল।
সমাবেশ সঞ্চালনা করেন রিপোর্টার্স ইউনিটির সহসভাপতি নাসির উদ্দিন।
বক্তারা সিরিয়াল কিলার ছগীরের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানান এবং সারাদেশে ধর্ষকের পক্ষে কোনো আইনজীবীকে আদালতে না দাঁড়ানোর অনুরোধ জানান।
উল্লেখ্য, ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ২১ জুলাই বিকেলে ঊর্মি নিখোঁজ হয়। ২৩ জুলাই বাড়ি থেকে প্রায় ৬০০ গজ দূরে পরিত্যক্ত একটি বাগানের নালার মধ্যে থেকে নিহত ঊর্মির অর্ধগলিত ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত ঊর্মির বাবা উপজেলার উত্তর বড় মাছুয়া গ্রামের বাসিন্দা সাংবাদিক জুলফিকার আমীন সোহেল ২৩ জুলাই মঠবাড়িয়া থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ তদন্ত শেষে ছগীর আকনকে (৪৫) গ্রেফতার করে ও তাকে একমাত্র আসামি হিসেবে অভিযুক্ত করে পুলিশ চার্জশিট দাখিল করে। ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ ডিসেম্বর মঠবাড়িয়া থানায় দায়ের হওয়া তন্নী আক্তারকে জবাই করার মামলাতেও এই ছগীরকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেয় পুলিশ। এছাড়াও ছগীরের বিরুদ্ধে একাধিক গরু জবাই করার অভিযোগ রয়েছে।
নিহত তন্নী সাংবাদিক সোহেলের প্রতিবেশী চাচাতো বোন। সিরিয়াল কিলার ছগীর উত্তর বড় মাছুয়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মৃত কুদ্দুস আকনের ছেলে।
ছগীর বর্তমানে উচ্চ আদালতের জামিনে রয়েছেন। ঊর্মি হত্যা মামলাটি আদালতে এখনো বিচারাধীন।