
বরগুনায় এক শিশুকে ধর্ষণ এবং তার বাবাকে হত্যা করা পরিবারটির খোঁজখবর নিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়েতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। তিনি (১৭ মার্চ) সোমবার সকালে ভুক্তভোগীদের বাড়িতে যান এবং তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জামায়াত আমির বলেন, ‘সামাজিকভাবে আমরা যদি এই মজলুমদের পাশে ছুটে আসি, তাহলে মজলুমরা শক্তি পাবে। জালিমদের ভয় দেখাতে হবে, শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। মজলুমদের পাশে দাঁড়াতে হবে, এই অনুভূতি নিয়ে যে সেই মজলুম ব্যক্তিটি আমিও হতে পারতাম, তখন আমি সমাজের কাছে কী আশা করতাম?’
শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কাছে দল ও ধর্মের কোনো ব্যবধান নেই। মানবতা যেখানেই বিপন্ন হবে, আমরা চেষ্টা করি সেখানেই হাজিরা দেওয়ার জন্য। আমাদের বার্তা পরিষ্কার, আমরা জালিমের বিরুদ্ধে আর মজলুমের পক্ষে।’
পরিবারটির দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়ে জামায়াতের এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘এই বাচ্চারা বাবা জীবিত থাকা অবস্থায় যেভাবে চলেছে, এখন যেন এর চাইতে একটু ভালো চলতে পারে সে দিকে আমরা খেয়াল রাখব। আমরা এও বলেছি, কোলের ছোট শিশুটির বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত এই পরিবারের পাশে প্রতি মাসে আছি ইনশা আল্লাহ। তাদের পড়ালেখার খরচ, জীবনের ব্যয় নির্বাহ, একটা সাধারণ পরিবারের যেটা, সেটার জন্য আমরা পাশে আছি।’
এ ঘটনায় মামলার দায়িত্ব নেওয়ার জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানকে ধন্যবাদ জানান জামায়াতের আমির। সেই সঙ্গে তিনি প্রশাসন ও বিচার বিভাগের কাছে দাবি জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্তরা যেন কোনো প্রকার আইনি ফাঁকে বেরিয়ে যেতে না পারে। আর মামলাটি যেন দ্রুত বিচার আইনে সম্পন্ন করা হয়।
পরে বরগুনা টাউন হলে জেলা জামায়েতে ইসলামী আয়োজিত পথসভায় বক্তব্য দেন শফিকুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের বরগুনা জেলা আমির মহিবুল্লাহ হারুন, নায়েবে আমির আবদুল লতিফ, সেক্রেটারি আসাদুজ্জামান মামুন, ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি আবদুল্লাহ মো. সুমন প্রমুখ।
উল্লেখ, ৭ মার্চ এক শিশুকে ধর্ষণ করেন সৃজিত রায় নামের এক যুবক। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা মামলা করলে অভিযুক্ত সৃজিতকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় আদালতে শুনানির এক দিন আগে ১১ মার্চ দিবাগত রাত ১টার দিকে বাদীর লাশ পাওয়া যায়।