
বিমা খাতে সুনামের অভাব আছে জানিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেছেন, এ খাতে গভর্ন্যান্সের (সুশাসন) ‘জি’-ও নেই।
সোমবার (১৭ মার্চ) আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ কথা বলেন মো. আবদুর রহমান খান।
এনবিআর চেয়ারম্যান বিমা খাতে অব্যবস্থাপনার উদাহরণ দিয়ে বলেন, অনেক বছর আগে আমার কাছে একজন সাংবাদিক আসলেন। তিনি জানালেন একজন বিমা কোম্পানির কর্মকর্তা বাসায় থাকতে পারছেন না।
গ্রাহকের পলিসি ম্যাচুরড হওয়ার পর কোম্পানি টাকা দিচ্ছে না। এই হলো ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির অবস্থা। এটাই সত্য। উন্নয়ন সহযোগীরা দেশের বিমাকে প্রমোট করতে বলছে। কিন্তু এসব কারণে এটা আগায় না।
এ সময় বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে বাজেট প্রস্তাবনা তুলে ধরেন সংগঠনের সভাপতি সাঈদ আহমেদ।
সংগঠনটি করপোরেট কর হ্রাস করা, স্বাস্থ্যবিমার ওপর ট্যাক্স কর্তন রহিত করা এবং অনলাইনভিত্তিক বিমা প্রিমিয়ামের ওপর ভ্যাট ও করপোরেট কর বাতিলের প্রস্তাব জানিয়েছে।
উন্নত দেশের মতো বিমা কোম্পানিগুলোর হেলথ কার্ডের প্রচলন করতে না পারার সমালোচনা করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, হেলথ ইন্স্যুরেন্স ভালোভাবে দিতে পারলে বাংলাদেশের মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়বে।
এ সময় বাজেট প্রস্তাবনা তুলে ধরে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ, অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেডে, ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ও মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনগুলো পুঁজিবাজারে কর অব্যাহতিরও প্রস্তাব দেয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, সারাজীবন কর অব্যাহতি দিলাম, রেজাল্ট তো আসে না। আগেই কেন অব্যাহতির কথা আসে? সবার আগে কেন ট্যাক্স হলিডে লাগবে? কর অব্যাহতির সংস্কৃতিতে আর থাকতে চাই না। আমাদের বদনাম হয়ে গেছে যে, রাজস্ব যা আদায় করি, তার সমপরিমাণ অব্যাহতি দেই।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে যত সুবিধা দেওয়া হয়েছে, মার্কেটে তার বেনিফিট পাওয়া যায়নি। গত ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে যারা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেছেন তাদের ৭ থেকে ১৫ শতাংশ ক্যাপিটাল হারিয়েছেন। আমরা অব্যাহতির সংস্কৃতি থেকে বের হচ্ছি। আমরা পণ করেছি অব্যাহতি আর দিব না। অব্যাহতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছি।
স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ লেনদেন থেকে কোনো স্বাভাবিক ব্যক্তি কর্তৃক মূলধনী মুনাফার ওপর সম্পূর্ণ কর অব্যাহতি চেয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি।