
মিয়ানমারের সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ মিয়ানমারের আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ আবু জুনুনী এবং তার পাঁচজন সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১১)। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) তাদের নারায়ণগঞ্জ আদালতে নেওয়া হয়।
এ সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদের রিমান্ড আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক দুই মামলায় তাদের ৫ দিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গতকাল সোমবার (১৭ মার্চ) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের ভূমিপল্লী আবাসিক এলাকার ভূমিপল্লী টাওয়ার থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছে নগদ ২১ লাখ ৩৯ হাজার ১শ টাকা, একটি ধারালো চাকু ও একটি স্টিলের ধারালো চেইন (ধারালো দাঁতযুক্ত ও দুই পাশে হাতলবিশিষ্ট) উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ত্রাসবিরোধী ও অবৈধ প্রবেশ আইনে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. শাহাদাত হোসেন বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন মিয়ানমারের আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনী ওরফে আতাউল্লাহ (৪৮), মোস্তাক আহাম্মদ (৬৬), সলিমুল্লাহ (২৭), মোসা. আসমাউল হোসনা, হাসান (১৫) ও মনিরুজ্জামান (২৪)।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মূর্তিমান আতঙ্কের নাম ‘আরসা’ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অধিকাংশ হত্যা, অপহরণ, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত রয়েছে আরসার সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। মিয়ানমার থেকে এর নেতৃত্ব দিত আরসা প্রধান আতাউল্লাহ। কিন্তু বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নানা চেষ্টার পরেও তাকে আটক করতে সক্ষম হয়নি।