
দেশের বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী চীনে শিক্ষা লাভের সুযোগ পাবেন। এ বিষয়ে চীনের ইতিবাচক সাড়া পেয়েছে বাংলাদেশ। চীনের নেতারা বলেছেন, বাংলাদেশের এক-দুইজন শিক্ষার্থী নয়, হাজার হাজার শিক্ষার্থী চীনে পড়াশোনার জন্য চান তারা।
রোববার (৩০ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর নিয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেনটেটিভ ড. খলিলুর রহমান ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও অন্যান্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন- প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেনটেটিভ ড. খলিলুর রহমান ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের আমন্ত্রণে ২৬ মার্চ (বুধবার) দুপুরে চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দেশটিতে সফরে যান প্রধান উপদেষ্টা। শনিবার (২৯ মার্চ) রাত ৮টা ১০ মিনিটে তিনি দেশে ফেরেন। প্রধান উপদেষ্টার এই সফরকে ‘মাইলফলক’ ও ‘অত্যন্ত সফল’ আখ্যায়িত করা হয়েছে।
এরপর বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়ার (বিএফএ) মহাসচিবের আমন্ত্রণে ২৬ ও ২৭ মার্চ দেশটির হাইনান প্রদেশে অনুষ্ঠিত বিএফএ বার্ষিক সম্মেলন ২০২৫-এ যোগ দেন তিনি। সম্মেলনের সাইডলাইনে ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন চীনের স্টেট কাউন্সিলের ভাইস প্রিমিয়ার ডিং জুয়েশিয়াং। তারপর চীন সরকারের আমন্ত্রণে ২৭ থেকে ২৯ মার্চ বেইজিং সফর করেন প্রধান উপদেষ্টা। এর মধ্যে শুক্রবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন অধ্যাপক ইউনূস।
শনিবার সকালে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ড. ইউনূসকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এ সময় সেখানে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের উদ্দেশে বক্তৃতা দেন প্রধান উপদেষ্টা। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট, বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের চেয়ারম্যান হে গুয়াংচাইসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।