
খালেদা জিয়া
দীর্ঘ আট বছর পর লন্ডনে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এ বছরের ৮ জানুয়ারি তিনি লন্ডনে যান। বর্তমানে তিনে সেখানেই অবস্থান করছেন। লন্ডন থাকার সুবাদে খালেদা জিয়া এবারের ঈদুল ফিতর উদযাপন তার বড় ছেলে তারেক রহমান, পুত্রবধূ জোবাইদা রহমান, তাদের মেয়ে জাইমা রহমান, ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান, তাদের দুই মেয়ে জাফিয়া ও জাহিয়া রহমানের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করবেন।
লন্ডন থেকে দেশের একটি বার্তাসংস্থার সঙ্গে টেলিফোন সাক্ষাৎকারে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এজেডএম জাহিদ হোসেন এ তথ্য জানান।
ডা. জাহিদ বলেন, অনেক বছর পর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি নিতে গিয়ে বেগম খালেদা জিয়া মানসিকভাবে বেশ প্রফুল্ল রয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।
তিনি বলেন, ২৫ জানুয়ারি হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর থেকে খালেদা জিয়া লন্ডনের ক্লিনিকের অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধানে বাড়িতে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসকদের একটি দল নিয়মিত তার স্বাস্থ্যের খবরাখবর রাখছেন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন।
বাংলাদেশে ফেরার বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. জাহিদ বলেন, ঈদের পর যেকোনো সময় তিনি দেশে ফিরতে পারেন। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত চিকিৎসক দলের অনুমতির ওপর নির্ভর করছে।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল উল্লেখ ডা. জাহিদ বলেন, তার বর্তমান অবস্থা স্থিতিশীল। সে কারণে আমি আশা করছি, মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনি খুব শিগগিরই দেশে ফিরবেন।
যুক্তরাজ্যে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে রোববার বা সোমবার ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।
২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়ে তিনি সেখানে তিন মাস অবস্থান করেন এবং সেখানেই ঈদুল আজহা উদযাপন করেন। কিন্তু ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দি হওয়ার পর থেকে তিনি আর পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে পারেননি।
৭৯ বছর বয়সী এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি ও হৃদযন্ত্রের সমস্যা, ডায়াবেটিস এবং বাতের সমস্যায় ভুগছেন।