আমরা ফ্যাসিবাদমুক্ত দেশ গড়তে চাই বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
সোমবার (৩১ মার্চ) সকালে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় শেষে জুলাই আন্দোলনে নিহত কুমিল্লার দেবীদ্বারে জহিরুল ইসলাম রাসেলের বাড়িতে যান। সেখানে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার সময় হাসনাত আব্দুল্লাহ এ মন্তব্য করেন। রাসেলের বাড়িত গিয় হাসনাত আব্দুল্লাহ শহীদ রাসেলের মায়ের কাছে নগদ অর্থ তুলে দেন।
শহীদ জহিরুল ইসলাম রাসেল দেবীদ্বার উপজেলার ইউসুফপুর ইউনিয়নের মৃত শাহ আলম সরকারের একমাত্র ছেলে। তিনি ছৈয়দপুর কামিল মাদ্রাসায় ফাযিল দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। পাশাপাশি ঢাকায় একটি জুতার সোল কারখানায় কাজ করতেন।
২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের ৪ আগস্ট আন্দোলনে অংশ নিয়ে ঢাকার গুলিস্তান এলাকায় গুলিতে প্রাণ হারান। পরদিন ৫ আগস্ট রাসেলের দেবীদ্বারের বাড়িতে তাকে দাফন করা হয়। তার পরিবারে মা, স্ত্রী ও সাড়ে তিন বছর বয়সী শিশু সন্তান রয়েছে।
এর আগে সোমবার সকাল ৯টায় হাসনাত আব্দুল্লাহ দেবীদ্বারের গোপালনগর নিজের গ্রামে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন। এ সময় আত্মীয়স্বজন, এলাকাবাসী, বন্ধুবান্ধব ও ভক্তদের সঙ্গে কুশল-বিনিময় করেন এবং প্রত্যেকের পরিবারের খোঁজখবর নেন। পরে তিনি ঈদগাহের পাশে গোপালনগর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে কবর জিয়ারত ও স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এরপর শহীদ জহিরুল ইসলাম রাসেল বাড়িতে গিয়ে শহীদ পরিবারের খোঁজখবর নেন।
নামাজের আগে হাসনাত আবদুল্লাহ সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যে তিনি দেবীদ্বারবাসীকে ঐক্য ও সাম্যের দেবীদ্বার গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
