
সারাদেশে চলছে ঈদুল ফিতরের আমেজ। পরিবার-পরিজন নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ঢাকা ছেড়ে যাওয়া মানুষ।
ঈদ উপলক্ষে মোট নয়দিন ছুটি মেলে। ফলে, কেউ নাড়ির টানে, কেউ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে ঘুরতে চলে গেছেন।
এদিকে, লাখো মানুষ ঢাকা মহনগরী ছেড়ে যাওয়ার পর থেকে মহানগরীর রাস্তাঘাট একেবারে ফাঁকা। জনশূন্য সড়কগুলো। কোথাও কোনো জ্যাম নেই। যান্ত্রিক কোলাহলে ভরা শহরটি এখন একেবারেই শান্ত ও নীরব।
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সকালে সরেজমিন রাজধানীর মিরপুর, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, বাংলা মোটর, শাহবাগ ঘুরে দেখা গেছে, সড়কগুলো একেবারেই ফাঁকা। চলছে হাতেগোনা কিছু গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত গাড়ি। তবে ব্যাটারি ও প্যাডেলচালিত রিকশা, অটোরিকশা মোটরসাইকেলের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। শপিংমল, বাজার ও অফিসপাড়া প্রায় ফাঁকা।
আরমান সিদ্দিকী নামে বেসরকারি এক চাকরিজীবী বলেন, সারাবছর ঢাকায় এত যানজট, এত ভিড় থাকে যে, বাইরে বের হতে ইচ্ছে করে না। কিন্তু এখনকার এই নিরিবিলি পরিবেশ দেখলে মনটাই ভালো হয়ে যায়। যদি সবসময় এমন থাকতো, তবে খুবই ভালো হতো।
রোশনি বেগম নামে একজন বলেন, চাকরির সুবাদে ঢাকায় থাকতে হয়। সড়কে অন্যান্য সময় এত যানজট থাকে যে, তখন মনে হয় অন্য কোথাও সুযোগ থাকলে চলে যাই। কিন্তু ঈদের ছুটিতে একটু শান্তি মেলে। এমন ঢাকা থাকলে আমাদের মতো কর্মজীবী মানুষের জীবন অনেক সহজ হতো।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ বলেন, ঈদের সময় ঢাকার ফাঁকা রাস্তাগুলোতে ঘুরে বেড়ানোর এক দারুণ সুযোগ পাওয়া যায়। সোমবার ঈদের নামাজের পর থেকে বন্ধুদের সঙ্গে বাইকে করে পুরো শহরটা উপভোগ করেছি। খুব ভালো লেগেছে।
তবে ঢাকার রাস্তায় লোকজন কম থাকায় আবু সাঈদ জানালেন, যাত্রী কম। ফলে দিন শেষে হাতে তেমন কোনো টাকা আসে না। ঈদ আনন্দে কাটলেও আয় না থাকলে সংসার চালানো কষ্টের হয়।
অন্যদিকে, সড়ক ফাঁকা থাকায় ট্রাফিক পুলিশদেরও দায়িত্ব পালনেও চাপ কম পোহাতে হচ্ছে। তবে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিভিন্ন পয়েন্টে টহল দিতে দেখা গেছে।
উল্লেখ্য, এবার সবমিলিয়ে টানা নয় দিনের লম্বা ছুটি ভোগ করছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ৬ এপ্রিল খুলবে অফিস-আদালত। মঙ্গলবার ঈদের পরের দিনও অনেককে ঢাকা ছাড়তে দেখা গেছে।