
২০০৯ সালে ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানা হত্যাকাণ্ডে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা ক্ষতিপূরণসহ চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন।
রোববার (৬ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তারা এ মানববন্ধন করেন। এ সময় তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে এক বিবৃতি দিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রিয়, সহযোদ্ধা ভাইয়েরা, আসসালামু আলাইকুম। আজকের এই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি থেকে শুধু একটি কথাই বলতে চাই, দেশপ্রেমিক কোনো বিডিআর জোয়ান দরবার হলের দরবারে একজন সেনা অফিসারকেও গুলি করতে পারে না। এটাই আমার বিশ্বাস। আমাদের বিডিআরদের পোশাক পরে তৃতীয় কোনো পক্ষ হত্যা করেছে বলেই আমি বিশ্বাস করি।
তাই, তৎকালীন হাসিনা সরকার এই সেনা অফিসার হত্যাকাণ্ডকে আমাদের বিডিআরে ঘাড়ে চাপানোর জন্যই এই পিলখানায় সেনা অফিসার হত্যাকে ‘বিডিআর বিদ্রোহ’ বলে প্রচারণা চালিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, সেই সঙ্গে বলতে চাই, আমাদের নিরীহ বিডিআর জোয়ান সহযোদ্ধা ভাইদের সরকারের শোখানো বক্তব্য অনুযায়ী সাক্ষী না দেওয়ায় ঢালাওভাবে সবাইকে শাস্তি দিয়েছে। এমনকী যারা ছুটিতে ছিলো, তাদেরও বাড়ি থেকে ধরে এনে মিথ্যা সাক্ষী দিতে বাধ্য করেছে।
আবার সাক্ষী না দেওয়ায় কাউকে জেলে পাঠিয়েছে। শাস্তি দিয়েছে। তাই, আমার একটিই দাবি, দরবার হলের প্রথম গুলি কারা শুরু করেছিলো, তাদের চিহ্নিত করুন। হত্যাকাণ্ডে কোনো বিডিআর সদস্য জড়িত থাকলে তাকেও শাস্তি দিন। তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনাটি উদঘাটন করুন।
নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের শাস্তি মওকুফসহ তাদের চাকরির সব সুযোগসুবিধা ও ক্ষতিপূরণ দিন।
তারা বিবৃতিতে আরো বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই এরই মধ্যে মেজর সুমন ও ক্যাপ্টেন শাহনেওয়াজ জাহানের বক্তব্য ইউটিউবে দেখেছেন, শুনেছেন ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় হত্যাকাণ্ড শুরুর আগেই সেনাবাহিনীতে ডিজিএফআইয়ের কতিপয় ব্যক্তির তৎপরতা কী ছিলো!
তার মাধ্যমেই প্রমাণ হয় পিলখানায় সেনা অফিসার হত্যায় আসলে কারা জড়িত ছিলো। আমরা এর নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।