
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু হার এখনো বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। এ জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে সম্মিলিত প্রয়াস জরুরি।
বিশ্বস্বাস্থ্য দিবস (৭ এপ্রিল) উপলক্ষে রোববার (৬ এপ্রিল) এক বাণীতে তিনি এ সব কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এ বছর বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ৭ এপ্রিল বিশ্বস্বাস্থ্য দিবস উদযাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- Healthy beginning, hopeful futures। এর ভাষান্তর ‘জন্ম হোক সুরক্ষিত, ভবিষ্যত হোক আলোকিত’ যথাযথ ও সময়োচিত হয়েছে বলে আমি মনে করি।
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাকে (এমডিজি) স্মরণ করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল’ (এমডিজি)-এর মাধ্যমে অর্জিত সাফল্যকে টেকসই করতে বিশ্বনেতৃবৃন্দ ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়নযোগ্য যে সব টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন, তার অন্যতম হলো সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা এ বছর মাতৃস্বাস্থ্য ও শিশুস্বাস্থ্য রক্ষার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বাস্থ্যখাতে নানাবিধ সাফল্য অর্জন করেছে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় মাতৃস্বাস্থ্য ও শিশুস্বাস্থ্যের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান সরকারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মাতৃস্বাস্থ্য ও শিশুস্বাস্থ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু কমানোর লক্ষ্যে আরো বেশি কর্মসূচি গ্রহণ করা প্রয়োজন।
২৪-এর গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নারী ও শিশুদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের মাধ্যমে একটি সুরক্ষিত ও আলোচিত জাতি হিসেবে বাংলাদেশকে বিশ্বে দাঁড় করাতে অঙ্গীকারবদ্ধ। এ দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সফলতা কামনা করছি।