
জাটকা ধরা বন্ধ হলে, ইলিশ উঠবে জাল ভরে এই আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ইলিশ আমাদের জাতীয় সম্পদ। এর উৎপাদন বাড়াতে হলে জাটকা রক্ষা অত্যন্ত জরুরি।
মঙ্গলবার ( ৮ মার্চ) দুপুরে বরিশালের বেলস পার্কে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেনের সভাপতিত্বে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২৫ -এর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এ কথা বলেন।
ফরিদা আখতার বলেন, সরকারি-বেসরকারি সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জাটকা সংরক্ষণ সম্ভব। আমরা যদি আজ সচেতন হই, আগামী প্রজন্ম পাবে সমৃদ্ধ ইলিশ ভান্ডার।
তিনি বলেন, আমরা খুবই আশাবাদী, এ বছর জাটকা নিধন রোধে মানুষ আরও বেশি সচেতন হবে। যদি কোনো জেলে কিংবা অন্য কোনো পেশার ব্যক্তি জাটকা আহরণ, বিক্রয় বা সংরক্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকে, তাহলে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ বিষয়ে কঠোর অবস্থানে থাকবে। এ ব্যাপারে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, মাছ ধরার পাশাপাশি আমাদের ভাবতে হবে মাছ বাঁচানোর কথাও। নিয়ম মেনে মাছ ধরলে উপকৃত হবে দেশের মানুষ, উপকৃত হবে আমাদের নদী ও পরিবেশ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মো, আবদুর রউফ, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. রায়হান কাওছার, বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মো. মঞ্জুর মোর্শেদ আলম,বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম, খুলনা নৌ অঞ্চল পিএসসি, বিএন,চিফ স্টাফ অফিসার ক্যাপ্টেন এম জিল্লুর রহমান (ট্যাজ), বাংলাদেশ কোস্টগার্ড জোনাল কমান্ডার, দক্ষিণ জোন, (ভোলা)বিসিজিএম, পিএসসি, বিএন, ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ইমাম হাসান আজাদ (সি), বরিশাল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, বরিশাল পুলিশ সুপার মো. শরিফ উদ্দিন, বরিশাল অঞ্চল নৌ পুলিশ পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হক।
আলোচনা শেষে বেলস পার্ক থেকে এক বর্ণাঢ্য নৌ-র্যালি বের হয়ে কীর্তনখোলা নদীর পাড়ে যাওয়া হয়, যেখানে সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণে মুখর হয়ে ওঠে নদীপাড়। এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য, জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করে জাটকা সংরক্ষণ নিশ্চিত করা এবং ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশকে আরও সমৃদ্ধ করা।