
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ভারত হঠাৎ করে ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল করলেও বাংলাদেশের সমস্যা হবে না।
তিনি বলেন, বুধবার (৯ এপ্রিল) বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা হয়েছে। এমনকী সেখানে ক্রেতারাও উপস্থিত ছিলেন। নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আমরা সংকট কাটানোর চেষ্টা করবো। উপদেষ্টা আরো বলেন, নিজস্ব সক্ষমতায় প্রতিযোগিতায় যেন ঘাটতি না হয়, সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ কাজ করছে।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ সব কথা বলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বাণিজ্যিক সক্ষমতা বাড়ানো হবে। একইসঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রেও যেন কোনো ঘাটতি না হয়, সে লক্ষ্যেও কাজ করা হচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ কী কী পদক্ষেপ নেবে জানতে চাইলে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, কিছু আছে অবকাঠামোগত বিষয়, কিছু আছে খরচ বৃদ্ধিসংক্রান্ত। এসব নিয়ে কাজ হচ্ছে। আশা করছি, সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যাবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একধরনের দাবি উঠেছে যে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পাল্টা ট্রান্সশিপমেন্ট বা ট্রানজিট বাতিল করা যায় কিনা, এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, এটি তার বিষয় নয়; তার কাজ হচ্ছে সক্ষমতা বৃদ্ধি।
ভারতকে কোনো চিঠি দেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, এই মুহূর্তে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে না। তিন মাসের জন্য বাড়তি শুল্ক স্থগিত করায় একরকম তাৎক্ষণিক সুরক্ষা পাওয়া যাবে। আলোচনার সময় পাওয়া যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশের পণ্য তৃতীয় দেশে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ জুন ভারত এক আদেশ জারি করে। ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস (সিবিআইসি) মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সেই আদেশ বাতিল করে।