
বিদেশি অপশক্তির দালালি না করার প্রত্যয় নিয়ে নতুন রাজনৈতিক দল গণতান্ত্রিক নাগরিক শক্তির আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। এর চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা ড. আব্দুল মালেক ফরাজী।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে দলটির আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দেওয়া হয়।
ঘোষণাপত্র পাঠ করেন গণতান্ত্রিক নাগরিক শক্তির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল হোসেন।
তিনি বলেন, দেশের রাজনৈতিক বৃহৎ শক্তিগুলো দীর্ঘ ৫৪ বছর দেশ পরিচালনা করেছে সভ্যতা বিরোধী ও সংস্কৃতি বিরোধী ধারায়। মতাদর্শিক দিক দিয়ে জাতির সাথে ভাওতাবাজি-প্রতারণা করেছে। ক্ষমতাসীনরা বিনা চ্যালেঞ্জে বাংলাদেশের ইতিহাসকে ব্ল্যাকমেইল করেই চলেছে। অমিত সম্ভাবনার বাংলাদেশকে অপরাজনীতির অভয়ারণ্যে পরিণত করেছে।
তিনি আরো বলেন, দুর্বল, নির্যাতিত, গরিব মানুষদেরকে আত্মরক্ষার জন্য দরকার অনুকূল আদর্শ, নীতি, পরিকল্পনা, কর্মসূচি ও কার্যক্রম এবং দরকার সঠিক নেতৃত্ব। কাজেই দল, মত, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাতীয় মুক্তি স্বাধীনতা সাম্য ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করি। সেই লক্ষ্যে ইস্পাত কঠিন ঐক্যের ভিত্তিতে চলমান দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে একটি স্বাধীন, সার্বভৌম, বৈষম্যহীন, গণতান্ত্রিক, সমৃদ্ধশালী, আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করি।
দলটির চেয়ারম্যান বলেন, আমি কখনো দালালির রাজনীতি করি নাই।
আমাদের এই দলও কখনো দালালি করবে না। এই দলটি কোন দালালি রাজনীতি করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না। গত ৫৪ বছরে যত রাজনৈতিক দল এ দেশ পরিচালনা করেছে তাদের মধ্যে বেশিরভাগই অসৎ ও বিদেশি শক্তির দালাল। দেশে কিছু ভালো মানুষ ছিল কিন্তু তাদেরকে শান্তিতে কাজ করতে দেয় নাই ওই দালালরা। আজকে আমাদের দেশে তরুণ প্রজন্ম আমাদের সন্তানেরা জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে নতুন যে বাংলাদেশের পাটাতন তৈরি করেছে, সেখানে দেশ প্রেমিক জনগণকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে, বিদেশি দালালদের পদলহিদের মোকাবেলা করা হবে।
একই সঙ্গে একটি সুস্থ, উন্নত, ন্যায্য, বৈষম্যহীন, স্বৈরাচার মুক্ত, বৈদেশিক আধিপত্যমুক্ত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার রাজনীতি আমরা করব। বিদেশি শক্তির রাজনীতি রুখে দাঁড়াবো।
এ সময় তিনি গত পাঁচ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনকে চূড়ান্ত বিজয় দিবস হিসেবে মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাক্তার মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ সার্বজনীন দলের সভাপতি নুর মুহাম্মাদ খান, গণআজাদী লীগের নেতা আসাদ দেওয়ানসহ নতুন দলের ৫০-৬০ জন নেতা-কর্মী।