
ফিলিস্তিনে ইসরায়েল সরকারের গণহত্যার প্রতিবাদে ও ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী লাখো মুসল্লির কণ্ঠে একটাই ধ্বনি উচ্চারিত হচ্ছে- ফ্রি প্যালেস্টাইটন, ফ্রি প্যালেস্টাইন।
লাল-সবুজ ও সাদা-কালো ফিলিস্তিনের পতাকায় ছেয়ে গেছে ঢাকার রাজপথও।
প্রেসক্লাব, বাংলা মোটর, বকশিবাজার, যাত্রাবাড়ীর মেয়র হানিফ ফাইওভারসহ চতুর্দিক থেকে ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন’ শ্লোগান নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এসেছেন সর্বস্তরের জনতা।
সবার কণ্ঠে শুধু ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন’ ই নয়, ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার’, ‘ফিলিস্তিনে হামলা কেনো, জাতিসংঘ জবাব দে’ ‘ইসরায়েলি পণ্য, বয়কট-বয়কট’ প্রভৃতি শ্লোগানও উচ্চারিত হচ্ছে।
শনিবার (১২ মার্চ) ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে সকাল থেকেই রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উদ্দেশে জনতার ঢল নামে।
দল-মত নির্বিশেষে সকল রাজনৈতিক, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক, সামাজিক সংগঠনের ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে পালন হচ্ছে ‘মার্চ ফর গাজা’। এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন মিজানুর রহমান আজহারী, বিএনপি থেকে সালাউদ্দিন আহমেদ, আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের শায়খ আহমদউল্লাহ, বাংলাদেশ জামায়ত ইসলামের আমির গোলাম পরওয়ার, জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।
মঞ্চ থেকে সকলের সম্মিলিত বক্তব্য হিসেবে অঙ্গীকারনামা পাঠ করেছেন মাহমুদুর রহমান। এছাড়া অন্যান্য নেতৃবর্গ ক্ষণে ক্ষণে শ্লোগানে শ্লোগানে উজ্বীবিত রেখেছে লাখো জনতাকে।
কর্মসূচিতে মিজানুর রহমান আজহারী উপস্থিত জনতার উদ্দেশে বলেন, আজকে এখানে উপস্থিত হয়ে বুঝেছি, আজকের এই জনসমুদ্র ফিলিস্তিনের প্রতি, আল আকসার প্রতি বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।
তিনি আরও বলেন, ভৌগলিকভাবে আমরা ফিলিস্তিনের থেকে অনেক দূরে হতে পারি কিন্তু আজকের এই জনসমুদ্র প্রমাণ করে আমাদের বুকের ভেতর হৃদয়ে বাস করে একেকটা ফিলিস্তিন।
তিনি এ সময়, "নারয়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার", দিন ইসলাম, দিন ইসলাম, ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ, আমার ভাই শহীদ কেন, জাতিসংঘ জবার চাই, গাজায় গণহত্যা কেন- জাতিসংঘ জবাব চাই স্লোগান দেন।
এছাড়া সবাইকে ইংরেজিতে শ্লোগান দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন, ফ্রি ফ্রি আল আকসা, ওয়ান টু থ্রি ফোর-জেনোসাইড নো মোর, ফ্রম দ্যা রিভার টু দ্যা সি- প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি।
জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহও ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন স্লোগানে উজ্জীবিত করেছে লাখ লাখ জনতাকে।
বিকাল ৪টার দিকে ফিলিস্তিনের শহীদদের মাগফিরাত কামনা ও দেশটির নাগরিকদের মুক্তি কামনা করে মোনাজাতের মাধ্যমে ‘মার্চ ফর গাজা’র আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শেষ হয়।