
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব রোধ, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও নবায়নযোগ্য শক্তির প্রসারে দাবিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) হাদি চত্বরে জলবায়ু ধর্মঘট করেছেন তরুণ জলবায়ু কর্মীরা। এ সময় তরুণ জলবায়ু কর্মীরা রঙিন ব্যানার, পোস্টার আর নানা শ্লোগানে মুখরিত করে তোলেন সমাবেশস্থল।
‘ভুয়া সমাধান নয়, নবায়নযোগ্য শক্তি চাই’—এমন শ্লোগান তুলে ধরে তরুণরা বলেন, জ্বালানি নীতিতে নবায়নযোগ্য শক্তিকে অগ্রাধিকার না দিলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়বে। তারা বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার ও অর্থায়ন বন্ধ করে, ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
সমাবেশে বক্তারা জলবায়ু পরিবর্তনের সংকট তুলে ধরে বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য টেকসই ও বাসযোগ্য বাংলাদেশ গড়তে হলে জ্বালানি নীতিতে নবায়নযোগ্য উৎসগুলোকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। কার্বন নিঃসরণ কমাতে জীবাশ্ম জ্বালানি-নির্ভর বিদ্যুতে বিশ্বের উন্নত দেশ এবং বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিনিয়োগ বন্ধ করতে হবে।
ন্যায্য জ্বালানি রূপান্তরের ওপর গুরুত্বারোপ করে সমাবেশে জলবায়ুকর্মীরা বলেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে অবশ্যই বহুজাতিক ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধ করতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারকেও গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। সরকারের সমন্বিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মহাপরিকল্পনা (আইইপিএমপি) বাস্তবায়িত হলে ব্যয়বহুল ও দূষিত জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার আরও বাড়বে, যা জলবায়ু লক্ষ্যগুলোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তারা এই পরিকল্পনা দ্রুত সংশোধনের দাবি জানান।
ইয়ুথনেট গ্লোবাল খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়ক এস এস শাহিন সিরাজ বলেন, বাংলাদেশের টেকসই ভবিষ্যতের স্বার্থে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে কেন্দ্র করে একটি পরিবেশবান্ধব ও ন্যায্য বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। জলবায়ু সুবিচারে বিশ্ব নেতাদের উদাসীনতা বন্ধ করতে হবে! পাশাপাশি সারাবিশ্বে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে এবং আগামীর পৃথিবীকে একটি বাস যোগ্য পৃথিবীতে রূপান্তর করতে হবে।
এছাড়াও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইয়ুথনেট গ্লোবালের খুলনা সমন্বয়ক, সাতক্ষীরা জেলা সমন্বয়ক ও সদস্যরা। তারা জলবায়ু সুবিচারের দাবিকে জোরদার করে নীতি নির্ধারকদের এগিয়ে আসতে আহ্বান কারেন।