
পহেলা বৈশাখ উদযাপনে যে আনন্দ শোভাযাত্রা করা হয় সেটাকে কেউ যেন ধর্ম চর্চার পর্যায়ে না নিয়ে যায় সে ব্যাপারে সতর্ক করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর রমনায় জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) কর্তৃক আয়োজিত জাসাস বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে গিয়ে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের আনন্দ শোভাযাত্রা ও পহেলা বৈশাখের শোভাযাত্রা ঐতিহ্যের অংশ। সেটা আমাদের জাগতিক শোভাযাত্রা। আমাদের সংস্কৃতির অংশ। বাংলার বৈশাখী মেলা, বাংলার তালপাতার পাখা এবং বাঁশি আমাদের সংস্কৃতি। আমরা পান্তাভাত খেয়েছি, ইলিশ মাছ খেয়েছি, আমাদের সংস্কৃতির মতো করে আমরা উদযাপন করেছি।
হাজার বছর ধরে চলে আসা সংস্কৃতিকে লালন করব উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আমরা বাংলাদেশের মানুষ, সমস্ত নাগরিক সাংবিধানিকভাবে আমাদের এই ভুখণ্ডের সংস্কৃতিকে হাজার বছর ধরে চলে আসা সংস্কৃতিকে লালন ও পালন করব, এগিয়ে নিয়ে যাবো। এর মধ্য দিয়ে যে সমস্ত অপসংস্কৃতি আমাদের বিকাশ, ইতিহাস, ঐতিহ্যকে বিকৃত করার জন্য অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছিল তাদেরকে আমরা ঝেটিয়ে বিদায় করা আমাদের দায়িত্ব।
বাঙালি সংস্কৃতিকে বিকৃত করতেই মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রচলন আওয়ামী লীগ শুরু করে জানিয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এই বাংলাদেশের হাজার বছরের, আবহমান কালের লালিত যে সংস্কৃতি সেই সংস্কৃতির বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি। স্বাতন্ত্র্য সংস্কৃতি, ধর্মীয় মূল্যবোধের সংস্কৃতিকে বিকৃত এবং বিস্মৃত করতেই মঙ্গল শোভাযাত্রা ১৯৯৬ সালে শুরু করেছিল আওয়ামী লীগ।
তিনি বলেন, বিএনপি সারা বাংলাদেশে উপজেলা থেকে জেলা, মহানগর ও কেন্দ্র পর্যন্ত আজ আড়ম্বরপূর্ণভাবে আমাদের ঐতিহ্যকে ধারণ করে পহেলা বৈশাখ আমরা পালন করছি। একটি মেসেজ আমরা জাতির কাছে দিতে চেয়েছি, সেটা হলো বাংলাদেশের আঞ্চলিক, ভৌগলিক প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করে যে বাংলা সনের প্রচলন হয়েছিল সেই বাংলা সন হিজরি সনের সঙ্গেই মিল রেখে সম্রাট আকবরের সময় মুসলিম ঐতিহ্যে সেটা প্রচলন করা হয়েছিল।