
কুমিল্লার শাসনগাছা এলাকায় আওয়ামী লীগের পক্ষে ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়ার অভিযোগে আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার (২১ এপ্রিল) দিনভর নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এতে বলা হয়, অভিযান চালিয়ে মোট ১ হাজার ৬৩১ জন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ১ হাজার ১৩ জন ও অন্যান্য অপরাধে আরও ৬১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এছাড়াও পুলিশের এই অভিযানে বিদেশি পিস্তল ১টি, দেশীয় একনলা বন্দুক ২টি,দেশীয় এলজি ১টি, দেশীয় পাইপগান ৪টি, চায়না রাইফেলের কার্তুজ ৬টি, ওয়ান শুটারগান ২টি, নাইন এমএম’র কার্তুজ ১টি, শর্টগানের সিসার কার্তুজ ৭টি, চাপাতি ১টি, চাকু ৩টি, রামদা ৪টি, চাইনিজ কুড়াল ৭টি, কিরিচ ৫টি, ছোরা ২টি, ড্রেগার ১টি, লুণ্ঠিত এসএমজি ম্যাগাজিন ১টি ও গুলি ৫ রাউন্ড উদ্ধার করা হয়।
এর আগে রোববার দিনগত রাত দেড়টায় ঝটিকা মিছিল করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। ঝটিকা মিছিলের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর সোমবার তাদের বিভিন্ন এলাকা হতে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন—নগরীর মোগলটুলী এলাকার বাসিন্দা মো. আরিফ, আব্দুল হান্নান প্রকাশ আদি, ছোটরা এলাকার বাসিন্দা এ কে এম মনিরুজ্জামান ভূইয়া ওরফে কিশোর, নগরীর ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোস্তফা, আদর্শ সদর উপজেলার কালির বাজার ইউনিয়নের রায়চৌঁ গ্রামের বাসিন্দা মো. কবির হোসেন, বরুডা থানার ঝলম গ্রামের বাসিন্দা মো. আরিফুল ইসলাম, বুড়িচং উপজেলার ভান্তি গ্রামের বাসিন্দা জাহিদুল হাসান রিমন ও দেবিদ্বার উপজেলার চাপানগর গ্রামের বাসিন্দা পিয়েল চন্দ্র সাহা।
কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহিনুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। রোববার মধ্যরাতে তারা নগরীর শাসনগাছায় এলাকায় মিছিল করেছে। এ সময় তারা নাশকতার চেষ্টা চালায়। পরে সোমবার দিনভর পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ লাইনে এবং আলেখারচর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা রয়েছে। তাদেরকে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’