
বিগত ১৫ বছরে লোপাটের মাধ্যমে পুঁজিবাজারকে ধ্বংস করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বুধবার রাজধানীর শেরাটন হোটেলে ‘বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণ: প্রস্তুতি ও বাস্তবতা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে গেস্ট অব অনার হিসেবে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
বৈঠকে আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, ‘এখন পুঁজিবাজারে ফান্ডমেন্ট বলে কোনো কিছু নেই। ট্রেডিং সিস্টেমও ধসে পড়েছে। বিশেষ করে অনলাইন ট্রেডিং সিস্টেম। পুঁজিবাজারের মতোই দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানও ধ্বংস করেছে।’
আলোচনায় ‘বাংলাদেশ কি এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সময়ের জন্য প্রস্তুত? উত্তরণ বিলম্বের সুবিধা এবং প্রতিবন্ধকতা কী? এবং এলডিসি-পরবর্তী সময়ে বৈশ্বিক বাণিজ্যে বাংলাদেশ কীভাবে নতুন অবস্থান তৈরি করবে—এসব বিষয় নিয়ে একটি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।
২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) ক্যাটাগরি থেকে উত্তরণ করতে যাচ্ছে। তবে উত্তরণের ফলে শুল্ক ও কোটা-মুক্ত বাজারসুবিধা, স্বল্প সুদে ঋণপ্রাপ্তি এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সহায়তা ধাপে ধাপে বন্ধ হয়ে যাবে।
দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা, বাণিজ্য অনিশ্চয়তা এবং দুর্বল অর্থনৈতিক সূচক এই উত্তরণের প্রস্তুতি নিয়ে নতুন করে প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে। এসব নিয়ে বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা করেন বক্তারা।
বৈঠকে বক্তব্য রাখেন—ব্রিটেনের সোয়াস ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. মোস্তাক খান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া, ফরাসি ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. জাহেদুর রহমান, ইউএনডিপির কান্ট্রি ইকোনমিক ডিরেক্টর ওয়ায়েইস প্যারে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের চেম্বার অব কমার্স চেয়ারপারসন নুরিয়া লোপেজ, বাংলাদেশ জার্মান চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট এম মাকসুদ প্রমুখ।