
গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক নুরুল হক নুর অভিযোগ করেছেন, "জুলাইয়ের চেতনা"কে ব্যবহার করে কিছু ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থ হাসিল করছেন। ডাকসুর সাবেক ভিপি নুর বলেন, "জুলাই নিয়ে কেউ কেউ ব্যবসা করছে।
জুলাইয়ের চেতনার কথা বলে কেউ উপদেষ্টা হয়েছেন আবার কেউ পদোন্নতিও নিয়েছেন।" তবে, তিনি কারও নাম উল্লেখ করেননি। বৃহস্পতিবার বিকেলে শাহবাগে জুলাই মঞ্চ আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারের উপদেষ্টাদের সম্পদের হিসাব দাখিল করার কথা থাকলেও, কেউই তা করেননি বলে অভিযোগ করেন নুর। একইসঙ্গে, তিনি জুলাইয়ের আন্দোলনে নিহতদের পরিবারকে এক কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানান।
নুর আরও অভিযোগ করেন, সরকার শহীদ পরিবারদের "ভিক্ষার মতো" এক-দুই লাখ টাকা দিচ্ছে। তিনি বলেন, জুলাই ফাউন্ডেশনের সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কাজ করছেন। ফলে, আন্দোলনে আহতদের মধ্যে যারা তাদের দলের, তারা বেশি সাহায্য পাচ্ছেন, অন্যরা বঞ্চিত হচ্ছেন।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের কৌশলী অবস্থানের সমালোচনা করে নুরুল হক নুর বলেন, কিছু দল আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে আঁতাত করে ভোট ভাগানোর পরিকল্পনা করছে।
সমাবেশে নুরুল হক নুর জুলাইয়ের আন্দোলনের তাৎপর্য এবং এর চেতনা বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে বলেন, এই আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। একটি ন্যায়সঙ্গত সমাজ গড়ে তোলা। তবে, কিছু ব্যক্তি সেই চেতনাকে ব্যক্তিগত লাভের হাতিয়ারে পরিণত করছেন।
গণঅধিকার পরিষদের এই আহ্বায়ক সরকারের সমালোচনা করে বলেন, জনগণের সম্পদ লুটপাট এবং দুর্নীতির মাধ্যমে কিছু লোক আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন। এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে তিনি দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
নুরুল হক নুরের এই মন্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। "জুলাইয়ের চেতনা" এবং সরকারের উপদেষ্টাদের সম্পদের হিসাবের বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলেও প্রশ্ন উঠেছে।