পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা সীমান্তের জিরো পয়েন্টে বৃহষ্পতিবার বিকেলে সাংবাদিকদের সামনে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘ভারত-বাংলাদেশে বন্ধুত্ব যুগযুগ ধরে অটুট থাকবে। দুই দেশের মধ্যে আমাদের সম্পর্ক আরও গভীরে যাবে। আশা করি, আমরা এক সঙ্গে চলব, এক সঙ্গে উন্নয়নের গান গাইব। মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের অকৃতিম বন্ধু হিসেবে কাজ করেছিল ভারতবর্ষ। মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের বিএসএফের অনেক সহযোগিতা পেয়েছি। আমাদের দুই দেশ যে ভ্রাতৃপ্রতিম হিসেবে চলছে আজকের রিট্রিট প্যারেড তারই একটি স্বাক্ষর হিসেবে দেখানো হল।’ আজ বৃহষ্পতিবার বিকেলে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা সীমান্তের জিরো পয়েন্টে বিজিবি-বিএসএফ জয়েন্ট রিট্রিট প্যারেডের (যৌথভাবে জাতীয় পতাকা অবনমিতকরণ) দর্শক গ্যালারি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভিসার মাধ্যমে ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াতের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার জন্য এই চেকপোস্ট দিয়ে ভ্রমণ ভিসা বন্ধ করেছিলাম। শিগগিরই কথাবার্তার মাধ্যমে দুই দেশের সম্মতিতে আবারও যাতায়াত শুরু করা হবে।’
এর আগে বাংলাবান্ধা ও ভারতের ফুলবাড়ী সীমান্তের জিরো পয়েন্টে বিজিবির নবনির্মিত রিট্রিট প্যারেডের দর্শক গ্যালারির উদ্বোধন করা হয়। পরে পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি এবং ভারতের সীমান্ত ভারতের নর্থ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার বিএসএফ-এর জমকালো যৌথ রিট্রিট প্যারেড হয়।
দর্শক গ্যালারির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. মজহারুল হক প্রধান, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ, বিজিবির রংপুর রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এবিএম নওরোজ এহসান, ভারতের বিএসএফ নর্থ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার শিলিগুড়ির আইজি অজয় সিং, পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদাসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা, বিজিবি-বিএসএফের কর্মকর্তারা, জনপ্রতিনিধিসহ উভয় দেশের দর্শকেরা উপস্থিত ছিলেন।