ঢাকা শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১২ পৌষ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

শিক্ষকের বঞ্চনা ও বেদনা

মতামত

কাজী মাসুদুর রহমান

প্রকাশিত: ০০:০০, ১ এপ্রিল ২০২৪

আপডেট: ১২:২৯, ১ এপ্রিল ২০২৪

সর্বশেষ

শিক্ষকের বঞ্চনা ও বেদনা

বেসরকারি শিক্ষকেরা তাদের মৌলিক কিছু আর্থিক দাবি-দাওয়া নিয়ে সম্প্রতি আবার সরব হয়েছেন। এমপিওভুক্ত একাধিক বেসরকারি শিক্ষক সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে তাদের এ সকল অভিন্ন দাবি নিয়ে আন্দোলনরত আছেন। নিম্নমাধ্যমিক, মাধ্যমিক, কলেজ, কারিগরি ও মাদরাসাসহ দেশে মোট ৩৫ হাজারেরও বেশি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে যার মধ্যে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে প্রায় ৩০ হাজার।

এগুলোতে পাঁচ লক্ষাধিক শিক্ষক কর্মচারী কর্মরত আছেন। এর মধ্যে চার লক্ষাধিক রয়েছেন শিক্ষক। বলা যায়, নিম্নমাধ্যমিক থেকে উচ্চশিক্ষার সিংহভাগই এই বেসরকারি শিক্ষক দিয়ে পরিচালিত। অর্থাৎ, দেশের তাবৎ শিক্ষাব্যবস্থার সবচেয়ে বৃহৎ অংশ এই মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা, যার প্রায় ৯৭ ভাগেই সেবা দিচ্ছেন বেসরকারি শিক্ষক। উপরন্তু, এই স্তরের ওপরই নির্ভর করে উচ্চতর শিক্ষা। এই নিগুঢ় বাস্তবতার নিরিখে একটি উৎপাদনশীল শিক্ষিত জাতি গঠনে কার্যত এই বেসরকারি শিক্ষকেরাই সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখছেন। 

উল্লেখ্য, সংবিধানের ১৭ নং অনুচ্ছেদে শিক্ষাকে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে স্বীকৃত। অবস্থাদৃষ্টে, সেই মূলনীতি বাসতবায়নের সিংহভাগই এই বেসরকারি শিক্ষক অগ্রণী অবদান রেখে চলেছেন। বলা বাহুল্য, রাষ্ট্রীয় সেবায় ন্যস্ত প্রতিটি পেশারই উৎসমূল শিক্ষা। আর এই শিক্ষার নিয়ামক শিক্ষক। এই চিরন্তন ধারায় শিক্ষকতা সবচেয়ে মহান পেশা এবং শিক্ষক সেই পেশার মহান ধারক ও বাহক। এই বাস্তবতা বিবেচনায় পৃথিবীর প্রতিটি দেশই শিক্ষকদেরকে বিশেষ পেশাজীবী গোষ্ঠী হিসেবে মূল্যায়ন করে থাকে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, আমাদের দেশে বেসরকারি শিক্ষকদের ক্ষেত্রে এই চিত্রটা বেদনাদায়ক।

উল্লেখ্য, ১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে বেসরকারি শিক্ষকদের এমপিও চালু হয়। শুরুতেই তাদেরকে জাতীয় বেতন স্কেলের ৫০ শতাংশ দেয়া হতো। দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দ থেকে মূল বেতনের শতভাগ দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে মাধ্যমিক ও কলেজ স্তরের একজন এন্ট্রি লেভেল শিক্ষক মূল বেতন হিসেবে যথাক্রমে ১২৫০০ টাকা ও ২২০০০ টাকা পান। সঙ্গে ১০০০ টাকা আবাসন ও ৫০০ টাকা চিকিৎসা বাবদ দেয়া হচ্ছে, যা বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় শুধু অবাস্তবই নয়, লজ্জাকরও বটে।

অথচ, এখানে সরকারি শিক্ষকেরা ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের সর্বশেষ বেতনস্কেলের ৪০ শতাংশ, ৫০ শতাংশ ও ৬০ শতাংশ (উপজেলা ভিত্তিক) হারে আবাসন এবং ১৫০০ টাকা চিকিৎসা বাবদ পাচ্ছেন। বর্তমানে যেখানে সরকারি শিক্ষকদের উৎসব ভাতা মূল বেতনের শতভাগ দেয়া হচ্ছে সেখানে বেসরকারি শিক্ষকদের দেয়া হচ্ছে মাত্র ২৫ শতাংশ। একই পেশায় একই পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যসূচির আওতায় আবাসন, চিকিৎসা ও উৎসবের মতো মৌলিক ইস্যুতে এমন বৈষম্য শিক্ষকতা পেশার ক্ষেত্রে শুভকর হতে পারে না। এমন পরিস্থিতিতে বেসরকারি শিক্ষকেরা আর্থ-সামাজিক বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। এ পরিস্থিতি শিক্ষকতার মতো পরম সংবেদনশীল পেশাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দিতে পারে।

কেননা, এতে বেসরকারি শিক্ষকদের মধ্যে  হীনমন্যতা জন্ম নিচ্ছে। আর এর নেতিবাচক প্রভাব নীরবে পাঠদান কার্যক্রমের ওপর পড়ছে এবং প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ক্রমশ অপূরণীয় ক্ষতির শিকার হচ্ছে। কখনো কখনো দেখা যায়, বেসরকারি শিক্ষকেরা কোনো দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে নিরুপায় হয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝেও সহযোগিতার হাত বাড়ান; অনেকে লোকলজ্জার ভয়ে নীরবে নিভৃতে মারাও যাচ্ছেন। বিশাল মূল্যস্ফীতির কোপানলে পড়ে সংসার চালাতে ও সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ চালাতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে বিভিন্ন এনজিওগুলোতে চড়াসুদে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন। 

আর্থ-সামাজিক বৈষম্য, আর্থিক অনটন এবং ঋণগ্রস্ততায় সৃষ্ট বিষন্নতা তাদের পারিবারিক, সামাজিক এবং পেশাভিত্তিক জীবনকে বেশ দুর্বিষহ করে তুলছে। বলাবাহুল্য, সংখ্যাধিক্যের দিক থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষার জাতীয় উৎপাদনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে। সুশিক্ষিত ও সুদক্ষ জনবল সৃষ্টিতে এদের ভূমিকাই অগ্রগণ্য। এমন স্পর্শকাতর স্তরের শিক্ষকদের নিয়ে রাষ্ট্র তথা সরকারের উদাসীনতা কখনোই হিতকর হতে পারে না। ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দ থেকে সরকারি চাকরিজীবীরা মূল বেতনের ২০ শতাংশ বৈশাখী ভাতা পেয়ে আসছেন। শর্তসাপেক্ষে বেসরকারি শিক্ষকদেরও দেয়া শুরু হয়। ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে ঘোষিত জাতীয় বেতন স্কেলের ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট  সরকারি চাকরীজীবীরা প্রাপ্য হলেও এই শিক্ষকদেরকে বাইরে রাখা হয়েছিলো। পরে যদিও দেয়া শুরু হয়। 

প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিজীবীদের দুর্নীতি থেকে বিরত রাখার কৌশল হিসেবে ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে হ্যান্ডসাম পেস্কেলসহ ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট চালু করা হয়। পরবর্তীতে দেখা যায়, দুর্নীতি তো কমেনি বরং এর প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। খোদ তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত (প্রয়াত) দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে তখন আক্ষেপ করে বলেছিলেন, যাদের স্বভাব নষ্ট হয়ে গেছে তারা বদলাবে না। শিক্ষকতা পেশায় সাধারণত দুর্নীতির সুযোগ নেই। কালেভদ্রে দু’চারজন প্রতিষ্ঠান প্রধান ও পরিচালনা কমিটির যোগসাজশে আর্থিক অনিয়ম ঘটলেও তা শিক্ষকতা পেশার মহত্ত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে না। আমাদের ভাবা উচিৎ যে, বেসরকারি শিক্ষকদের আর্থিক দাবিগুলো কোনো বিলাসী চাওয়া নয়। আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় এগুলো নিতান্তই মৌলিক।

মানুষের পরম মৌলিক অধিকার হিসেবে বিশ্ব সভ্যতায় শিক্ষা স্বীকৃত। একইভাবে আমাদের সংবিধানেও। তবে কেনো এই পরম গুরুত্বপূর্ণ খাতকে অবহেলিত রাখা হচ্ছে? ইউনেসকোর গবেষণালব্ধ পরামর্শে বলা হয়েছে, দেশের জিডিপি’র অন্তত ৬ শতাংশ শিক্ষা খাতে ব্যয় করা উচিত। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এই চিত্রটা খুবই হতাশাজনক। সর্বশেষ ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৮৮ হাজার ১৬৩ কোটি টাকা যা একই অর্থ বছরে সামগ্রিক জাতীয় বাজেটে বরাদ্দকৃত মোট জিডিপি'র মাত্র ১.৭৬ শতাংশ। শিক্ষাবিষয়ক গবেষণা সংগঠন ‘গণস্বাক্ষরতা অভিযান’ এর তথ্যমতে বিগত আট বছরে শিক্ষা খাতে বাজেট সর্বনিম্ন পর্যায়ে ছিলো যা গভীর উদ্বেগের বটে! যতোটুকু বরাদ্দ হয় তারও আবার অনেক কম বরাদ্দ হয় বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য। দেশের শিক্ষা সেক্টরের বৃহত্তম এই শাখাটি সবসময়ই উপেক্ষিত হয়ে আসছে। এই উপেক্ষা শুধু আর্থিক বিষয়েই নয়, শিক্ষা-প্রশাসনিক বিষয়েও পরিলক্ষিত হয়। শিক্ষা প্রশাসনে তাদের যথেষ্ট নাজেহাল হতে হয়। শিক্ষা-প্রশাসনিক কর্মীরা বেসরকারি শিক্ষকদের ‘শিক্ষক’ মনে করেন না যা অসংখ্য অপ্রীতিকর উদাহরণে জর্জরিত।

এমনিতেই সমগ্র কর্মজীবনই আর্থ-সামজিক অবহেলায় অতিবাহিত হয়, তারপরে অবসর পরবর্তী নিজের রক্তঘামে গচ্ছিত আর্থিক সুবিধাদি সরকারি কোষাগার থেকে পেতেও নিদারুণ ভোগান্তির শিকার হতে হয়। ভোগান্তির ভয়াবহতায় অনেকে প্রাপ্তির আগেই মারা যান। এ যেনো মরার ওপর খাঁড়ার ঘা! ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রণীত প্রবিধান অনুযায়ী বেসরকারি শিক্ষকদের নির্বাচিত (?) পাবলিক পর্ষদ দ্বারা পরিচালিত হতে হয়। কিন্তু অধিকাংশেরও বেশি পরিচালনা পর্ষদ কখনোই শিক্ষা ও শিক্ষকবান্ধব হয়ে ওঠে না যা বিচিত্র অরুচিকর ঘটনাবলীর মধ্যে দিয়ে দৃশ্যমান হয়। সাধারণত রাজনৈতিক বিবেচনায় যাদেরকে কর্তৃত্ব দেয়া হয় তাদের অধিকাংশই সমাজে বিতর্কিত ও কালো তালিকাভুক্ত, যা কখনোই শিক্ষকতার সৃজনশীলতার সঙ্গে খাপ খায় না।

এদের দ্বারা অনেক সময় শিক্ষকদের ব্যক্তিত্ব খর্ব হয়। অনেক সময় প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে এদের কাছে শিক্ষকদের নির্যাতিত ও নিষ্পেষিত হতে হয়। চাকরি অথবা বেতন ভাতা হারানোর ভয়ে নীরবে এদেরকে সহ্য করতে হয়। কেনোনা, তাদেরকে প্রচলিত বিধিতে ব্যাপক ক্ষমতায়ন করা হয়েছে যা জাতীয় সংসদের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকেও করা হয়নি। তাদের এই ক্ষমতায়নও প্রশ্নবিদ্ধ। সবচেয়ে বড় বিষয়, শিক্ষকদের মতো এমন উচ্চশিক্ষিত ও স্পর্শকাতর পেশাজীবী শ্রেণির পরিচালনায় এদেরকে কোনো উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেয়া হয় না।

শিক্ষকদের বেদনার্ত দুর্দশা যখন আলোচিত হয় তখন শুধু মুখরোচক কিছু নির্বাচিত স্তুতি বা বন্দনা বাক্য দিয়ে রাষ্ট্র, সরকার ও সমাজ তাদেরকে সান্ত্বনার জলে ভাসায়। কিন্তু সংকট (!) সমাধানে কেউই বাস্তবসম্মত উদ্যোগী হয় না। সম্প্রতি ডিসি সম্মেলনের মধ্যদিয়ে বেসরকারি শিক্ষকদের রাজনীতি নিষিদ্ধসহ শৃঙ্খলাবিষয়ক ১১ দফা খসড়া প্রণীত হয়েছে। অধিকাংশ প্রবিধিই শিক্ষা ও শিক্ষকবান্ধব নয় মর্মে সচেতন মহলে সমালোচনা চলছে। এমনকি মৌলিক অধিকার খর্বকারী আইএলও পরিপন্থী হিসেবেও একাধিক দফা চিহ্নিত হয়েছে। অথচ বেসরকারি শিক্ষকদের বহুল আলোচিত দুর্দশা লাঘবে ডিসি বা আমলাদের মাঝ থেকে কোনো সুপরামর্শ উঠে আসেনি, যা সচেতন মহলকে বিষ্মিত করেছে। অথচ এ বিষয়ে তাদেরও পেশাভিত্তিক ও নৈতিক দায় রয়েছে বৈকি।

আমাদের মনে রাখা উচিত, শিক্ষা যদি হয় জাতির মেরুদণ্ড তবে শিক্ষক হলো সেই মেরুদণ্ডের প্রাণ। তাহলে, কেনো এই শিক্ষক সমাজকে মৌলিক অধিকারের জন্য রাজপথে দাঁড়াতে হবে? কেনো তাকে এভাবে সামাজিক ও আর্থিক বৈষম্যের শিকার হতে হবে? কেনো তাকে বঞ্চনা ও প্রঞ্চনার পেষণ থেকে বাঁচার জন্য অনশনে প্রাণ দিতে হবে? কেনো তার মেধা-মননকে বিষন্নতার আগুনে পোড়াতে হবে? রাষ্ট্র ও সরকার এভাবে কেনো তার সৃষ্টিশীল সুকুমার বৃত্তিকে সৃজনশীল শিক্ষা সেবার কাজে লাগাতে ব্যর্থ হচ্ছে? দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থেই এই প্রশ্নগুলোর জবাব ও সমাধান দ্রুততম সময়েই খুঁজতে হবে। জাতীয় বৃহত্তর স্বার্থেই স্বপ্রণোদিত হয়ে রাষ্ট্র ও সরকারকে তাদের প্রতি অধিকতর যত্নশীল হতে হবে। অন্যথায় এর সুদুরপ্রসারী খেসারত সকলকেই ভোগ করতে হবে। ইতোপূর্বে বঙ্গবন্ধুর আদর্শপুষ্ট সাবেক ও বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী এই শিক্ষকদের দুর্দশার সঙ্গে একমত হয়ে তা নিরসনের আশ্বাস দিয়েছেন। সেই আশ্বাস বাণী হিমায়িত হবে না মর্মে শিক্ষকেরা গভীর আশায় আজো বুক বেঁধে আছেন।

তবে সেই আশা যেনো দুরাশার হতাশায় বিপন্ন না হয় সেদিকে তাদের শতভাগ দায়িত্বশীল হওয়া উচিত। এটা বললে অত্যুক্তি হবে না, বেসরকারি শিক্ষকদের উচ্চতর আর্থিক উত্তরণ সর্বশেষ বঙ্গবন্ধু কন্যার হাত দিয়েই হয়েছে যদিও তা বাস্তবতার নিরিখে অপ্রতুল। স্বাধীনতার তিপ্পান্ন বছরে দেশ বিষ্ময়কর উন্নয়নের সোপানে ধাবমান যার নেপথ্যের কারিগর এই শিক্ষকেরাই। উন্নয়নের রূপকল্প অভিযাত্রায় আগামী চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ইতোমধ্যে নতুন শিক্ষাক্রমকে যুগোপযোগী করা হয়েছে। এ শিক্ষাক্রমের আওতায় একটি সুশিক্ষিত-সুদক্ষ জাতি গঠনের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর চিরলালিত সোনার বাংলা গঠনে এই শিক্ষকদেরই সবচেয়ে বেশি অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। কিন্তু শিক্ষকদের জীবন-মান আঁধারে রেখে তা কখনোই সম্ভব নয়। তাই শুধু কথার ফুলঝুড়িতে নয় বরং সমস্যা সমাধানে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে অচিরেই রাজনৈতিক ও আমলাতান্ত্রিক পদক্ষেপ নেয়া সমীচীন হবে বলে মনে করি।

জনপ্রিয়