ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ , ২০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

নোটবই: এ যেনো সরষের মধ্যে ভূত

মতামত

মাছুম বিল্লাহ, আমাদের বার্তা

প্রকাশিত: ০০:০০, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

সর্বশেষ

নোটবই: এ যেনো সরষের মধ্যে ভূত

কারিকুলাম প্রণয়ন ও সেটি বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষা উপকরণ, শিক্ষার্থী ও শিক্ষক অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অনুসঙ্গ। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে শুধু পরীক্ষা আর পরীক্ষায় কতো সহজে পার হওয়া যায় অর্থাৎ পাস করা যায় কারিকুলামের মূল লক্ষ্যকে জলাঞ্জলি দিয়ে সেটি নিয়েই মহা আয়োজন। ফলে কারিকুলাম প্রণয়নের মূল উদ্দেশ্যই পুরো ব্যাহত। আর সৃজনশীলতার চর্চা, শিক্ষার্থীদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ, জটিল সমাধান চর্চা সবই ভেস্তে গেছে। এর অনেক কারণের মধ্যে সহজ উপায়ে পাসের চিন্তা এবং তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নিম্নমানের নোট ও গাইড বই। প্রশ্ন হচ্ছে নোট ও গাইড বইয়ের মালিকরাই কি এজন্য দায়ী? শিক্ষাব্যবস্থার প্রতিটি রন্ধ্রে এতো অব্যবস্থাপনা, অবহেলা, সীমাহীন দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা আর ক্ষমতার চরম অপব্যবহার এসব সুযোগ করে দিয়েছে। 

দেশের শিক্ষাবিষয়ক একমাত্র জাতীয় প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’ ও পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল পত্রিকা  ‘দৈনিক শিক্ষাডটকম’ এ বিষয়ে কয়েকটি  অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যা দেশের সমস্ত শিক্ষা সচেতন মানুষের বিবেককে নাড়া দিতে বাধ্য করেছে। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে নতুন পাঠ্যবইয়ের পাণ্ডুলিপি, সিলেবাস ও নম্বর বণ্টনের তথ্য-উপাত্ত অবৈধ নোট-গাইড প্রকাশকদের হাতে তুলে দেয়ার জন্য প্রকাশকরা এনসিটিবিতে আগের মতোই ঘুর ঘুর করছেন। গত প্রায় বিশ বছর ধরে পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সম্পাদনা শাখা থেকে পাঠ্যবইয়ের পাণ্ডুলিপি, নম্বর বণ্টন ও সিলেবাসের আগাম তথ্য নোট-গাইড প্রকাশকদের কাছে মোট অঙ্কের বিনিময়ে হস্তান্তর করা হচ্ছে। যারা পাঠ্যবই ছাপার ঠিকাদারি পায় তাদের মধ্যে বড় ঠিকাদারদের নোট-গাইড কোম্পানি রয়েছে। আগাম তথ্য সংগ্রহ করে নোট-গাইড লিখে ও প্রকাশ করে বাজারজাত করে হাজার হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য করছে কয়েকটি কোম্পানি। তারা পাঠ্যবই ছাপা বন্ধ রেখে নোট-গাইড ছাপে। আর এসব অপকর্মে এনসিটিবির এক শ্রেণির কর্মকর্তা ও কর্মচারী যুক্ত রয়েছেন। 

শুধু তাই নয়, অবৈধ নোট-গাইড কোম্পানিতে অবৈধভাবে চাকরি করছেন বিসিএস সাধারণ ও কারিগরি শিক্ষা ক্যাডারের দুই শতাধিক কর্মকর্তা। কখনো অফিস বা কলেজ সময়ের পরে তারা এসব কোম্পানির অফিসে বসে নোটবই লেখার কাজ করেন। আবার তারা শিক্ষা অধিদপ্তর বা এনসিটিবির বড় পদে চাকরিতে থাকাকালে গাইড বই মালিকদের অবৈধ সুবিধা দিয়ে থাকেন।  অবসরের পর ওইসব কোম্পানিতে তারা চাকরিও শুরু করেন। নোট-গাইড বই প্রকশকদের একটা বড় অংশ এনসিটিবির বিনামূল্যের বই ছাপারও ঠিকাদারি নেন। একই প্রেসে তারা বৈধ ও অবৈধ বই ছাপেন। শিক্ষা বিভাগে যারা কাজ করেন তাদেরই কারিকুলাম তৈরি ও বাস্তবায়ন করার কথা। তারা যদি এ ধরনের কাজে জড়িয়ে পড়েন তাহলে মন্ত্রণালয়, শিক্ষার অন্যান্য বিভাগ, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা কী করবেন? কি হবে কারিকুলাম বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ, দক্ষতাসম্পন্ন ও বুদ্ধিবৃত্তিক জাতি তৈরির ক্ষেত্রে?

এ ধরনের ব্যবসা বছরের পর বছর চলে এসেছে। শুধু প্রশ্ন তিন নম্বরে কী ছিলো সেটিকে ৫ নম্বরে নিয়ে এসে প্রকাশকদের কাছ থেকে প্রচুর অর্থ আদায় করতেন এনসিটিবির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এই কাজ তারা প্রতিবছর এমনকি বছরে দুবারও করতেন, শুধু নতুনভাবে প্রকাশকদের কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের অর্থ আদায়ের জন্য। এই করে করে শিক্ষক নামধারী এবং বড় বড় কথা বলা তথাকথিত শিক্ষা কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা প্রভূত অর্থ সম্পদের মালিক হয়েছেন। শুধু তাই নয় অনেকে প্রায় স্থায়ীভাবে ঘাঁটি গেড়েও বসেছিলেন। আর যারা সৎ থাকার চেষ্টা করেছেন তারা ছিলেন কোণঠাসা না হয়, বদলি হয়েছেন বা ওএসডি হয়েছেন। দেখা গেছে হাতেগোনা দু-একজন কর্মকর্তাই বছরের পর বছর দেশের পর দেশ কারণে-অকারণে ঘুরে বেড়িয়েছেন। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরও সম্পাদনা শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চরিত্রে কোনো পরিবর্তন আসেনি। নোট-গাইড কোম্পানিগুলোর মালিকরা টার্গেট করেন প্রেষণে অথবা বদলিভিত্তিক পদায়ন পাওয়া জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, এনটিআরসএি, মাউশি অধিদপ্তর, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর এবং মাদরাসা ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তাদের। কারণ, তাদের দিয়েই চলে এসব মালিকদের ব্যবসা। 

সহায়ক বই বা সাহায্যকারী বই পৃথিবীর সব দেশেই আছে। আমাদের দেশেও থাকবে। কিন্তু প্রকাশকরা কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে অবৈধ নোট-গাইডের নাম সহায়ক বই করেছেন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। আর সহায়ক বইয়ের নামে যে অবস্থা এতো বছর চলে এসেছে সেটি কোনোভাবেই কাম্য নয়। কারণ, শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা ধ্বংসের ও মেধা বিকাশের ক্ষেত্রে এটি একটি বিরাট অন্তরায়। এজন্য পুস্তক প্রকাশকরা দায়ী নন। দায়ী হচ্ছে শিক্ষা বিভাগে কর্মরত কতিপয় শিক্ষক এবং কর্মকর্তা যারা শিক্ষা ধ্বংসের সবকিছু বহু বছর ধরে করে আসছেন। আবার তারাই মিটিংয়ে, বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় কথা বলেন। প্রকাশকদের পুরোপুরি এবং হাতে কলমে উৎসাহিত করেন কতো সহজ উপায়ে শিক্ষার্থীদের পাস করানো যায, কতো সহজে পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্ন কমন ফেলানো যায়। আবার তারাই বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি, বিশেষজ্ঞ কিংবা সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে যান এবং শিক্ষক ও জাতির উদ্দেশে এমন সুন্দর করে কথা বলেন যে, তারা যেনো শিক্ষার উন্নয়নের জন্য জীবন বিসর্জন দিয়ে দিয়েছেন। 

বাজারে নোট গাইড ব্যবসার আর একটি বড় কারণ হলো পুরো দেশের জন্য একই কারিকুলাম। যে শিক্ষার্থী ঢাকা রেসিডেনসিয়ালে পড়েন, আদমজী ক্যান্টনমেন্টে, ল্যাবরেটরি স্কুল, ভিকারুননিসা নুন স্কুল কিংবা রাজউকে পড়েন যেখানে প্রতিটি বিষয়ের অভিজ্ঞ ও বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক আছেন। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনও অত্যন্ত দক্ষ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের প্রভাব সহজে কাজ করে না, ফলে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ও প্রচুর উন্নত মানের অনুশীলনের সুযোগ পেয়ে থাকেন। তাদের কাছে জাতীয় কারিকুলামের ওপর লিখিত বই-পুস্তক অত্যন্ত সহজ। আমি দেখেছি ক্যাডেটদের কাছে জাতীয় কারিকুলামের বই তারা অল্প কযেক মাসেই শেষ করে ফেলেন। যতো ধরনের জটিল ও সৃজনশীল প্রশ্নই করা হোক না কেনো তারা অতি সহজে সেগুলো সমাধান করে ফেলেন। তাদের জন্য যে কারিকুলাম সেই একই কারিকুলাম গ্রামাঞ্চলসহ দেশের হাজারো প্রতিষ্ঠান যেখানে নেই মানসম্পন্ন শিক্ষক, রয়েছে সীমাহীন শিক্ষক স্বল্পতা, নিয়মিত ক্লাসও হয় না। কমার্সের শিক্ষক ইংরেজি পড়াচ্ছেন, কৃষিবিজ্ঞানের শিক্ষক গণিত পড়াচ্ছেন, এমনকি বিএ পাস শিক্ষক গণিত করাচ্ছেন। এসব শিক্ষার্থীর কাছে জাতীয় কারিকুলাম পাহাড়সম কঠিন। তাদের কাছে পরীক্ষায় পাস করাটাই বিশাল বিষয়। আর তাই নোট-গাইডের প্রকাশকরা তাদেরকে সহজে পাস করিয়ে দেয়ার সুযোগটি নেন। এটি তো তাদের দোষ নয়। 

শুধু তাই নয়, তাদের মধ্যে চলে প্রতিযোগিতা কে কতো সহজে পাস করানোর টেকনিক বের করতে পারেন। কে শিক্ষার্থীদের না পড়িয়ে বা ক্লাস না করেও পাস করাতে পারেন। কারণ, এইসব নোট দেখে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠান বাদে সমস্ত শিক্ষকেরাও এইসব নোট পড়েন। নোট না পড়লে তারাও পড়াতে পারেন না। ফলে, নোট-গাইডের প্রকাশকরা তাদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। বিএসসিতে গণিত ছিলো কিংবা গণিতে অনার্স করে মাধ্যমিকে বিদ্যালয়ে বিশেষ করে ঢাকাসহ বড় বড় শহরের নামীদামি প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্যত্র শিক্ষকতা করতে যান না। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাই হাজারো। সেসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকই হচ্ছেন নোট আর গাইড। শিক্ষার্থীরা গণিত করেন উচ্চ মাধ্যমকি পাস করা এমনকি এসএসসি পাস করা প্রাইভেট শিক্ষকদের কাছে। বিদ্যালয়ে বা কলেজে অন্য বিষয়ে পাস করা শিক্ষক গণিত, বিজ্ঞান ও ইংরেজি পড়ান। আমি দেখেছি বায়োলজির শিক্ষক উচ্চ মাধ্যমিকে ইংরেজি পড়াচ্ছেন। এ ছাড়া যারাই যে বিষয় পড়াচ্ছেন হাতেগোনা দুচারজন ছাড়া শিক্ষার্থীদের বেসিক আইডিয়া দিতে পারেন না। তারা সবাই নোট-গাইড নির্ভরশীল। 

কারিকুলাম বাস্তবায়নের জন্য যেভাবে, যে উপায়ে এবং বাস্তবমুখী ব্যাখ্যা দিয়ে, কনসেপ্ট ক্লিয়ার করার জন্য পাঠ্যপুস্তক রচনা ও উপস্থাপনা করা দরকার সেটি কখনো হয়নি। ছাড়া ছাড়া, এলোমেলো, অস্পষ্ট, অনাকর্ষণীয় বই-ই আমরা দেখতে পাই। এতোদিনে এর কারণ বুঝতে পারলাম দৈনিক আমাদের বার্তার প্রতিবেদন দেখে, শিক্ষা ক্যাডারের দুই শতাধিক কর্মকর্তা/শিক্ষক এর সঙ্গে জড়িত। যদি এনটিবির বই এতো আকর্ষণীয়, এতো সেলফ-এক্সপ্লানেটরি হয, তাহলে তো নোট গাইড চলবে না। তারপর রয়েছে চিরাচরিত নিয়মে পরীক্ষা। প্রশ্নোত্তর, ম্যাচিং, শূন্যস্থান পূরণ ইত্যাদি। পাবলিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে আমরা আন্তর্জাতিক পরীক্ষা অনুসরণ করতে পারি, সেটা কেনো করি না তারও কারণ কিছুটা বুঝতে পারলাম। আমাদের এসএসসির সমান আন্তর্জাতিক পরীক্ষা হচ্ছে  ‘ও’ লেভেল আর উচ্চ মাধ্যমিকের সমান হচ্ছে ‘এ’ লেভেল। এসব পরীক্ষায় প্রতিটি বিষয়ে যে, প্রশ্ন একবার এসেছে সেই প্রশ্ন আর জীবনে কখনো আসে না। এটি হচ্ছে প্রকৃত সৃজনশীলতা, প্রকৃত পরীক্ষা। আর আমাদের পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন এক বোর্ডে যে প্রশ্ন এবার এসেছে ওই প্রশ্ন অন্য বোর্ডেও আসে, আর একই বোর্ডে এক দুই বছর পর একই প্রশ্ন রিপিট করা হয়। এখানেও কারিকুলামের উদ্দেশের ধারে কাছেও নেই এই ধরনের অ্যাসেসমেন্ট। তারও কারণ দৈনিক আমাদের বার্তা প্রকাশ করেছে, প্রশ্ন তৈরি করা, মূল্যায়ন করাসহ এ সংক্রান্ত সব কাজই শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা ও শিক্ষকরাই করেন। তারা বাহবা নিতে চান কতো প্রশ্ন কমন পড়েছে। প্রশ্ন কমন পড়া যে কোনো ধরনের অ্যাসেসমেন্ট নয়, বরং পুরোপুরি সৃজনশীলতা বিরোধী সেটি তো কেউ তলিয়ে দেখেন না। শিক্ষার্থী অভিভাবক ও প্রতিষ্ঠানসহ সবাই বাহবা দিতে থাকেন নোট-গাইড কোম্পানিকে যাদের প্রশ্ন ও তথাকথিত সাজেশন কমন পড়েছে। আর এর পেছনের কারিগর শিক্ষা ক্যাডারের লোকজন, যাদেরকে খুশি করার দায়িত্বও ওইসব প্রকাশকের। কারোরই এতো সব বিষয় নিযে ভাবার সময় নেই। 

শিক্ষা খাত ধ্বংসের এমন অপকর্মে জড়িত পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও নেট-গাইড প্রকাশকদের খুঁজে বের করতে গোয়েন্দ সংস্থা ও দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের এসবি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সংস্থাগুলোকে যতো দ্রুত সম্ভব অনুসন্ধানী প্রতিবেদন দিতে বলেছেন। পতিত সরকারির আমলে নোট-গাইড বইয়ের মুদ্রণ ও বাজারজাতকরণ বন্ধ রাখতে সরকারের পক্ষ থেকে পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির কাছে নাকি অনুরোধ করা হয়েছিলো। একই সঙ্গে খোলাবাজারে এই ধরনের নিষিদ্ধ বইয়ের বিক্রি ঠেকাতে জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারদের চিঠি দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু সেসবই ছিলো লোক দেখানো। এতে জড়িত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ পার্টির সাঙ্গপাঙ্গরা। 

মূল জায়গায় কিন্তু কেউ হাত দিচ্ছেন। দেয়ার সময়ও নেই, স্ট্রাটেজিও নেই। সরকারি-বেসরকারি, গ্রাম-শহর, প্রত্যন্ত অঞ্চল আর বড় বড় সিটির বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত, প্রচুর সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্ত আর সুযোগ বঞ্চিত সব শিক্ষার্থী যখন একই কারিকুলামে রচিত একই ধরনের বই-পুস্তক পড়ছেন তখনই জ্ঞানকে, জাতীয় পুস্তকের বিষয়াবলিকে সাপ্লিমেন্ট করার জন্য কোনো বই বাজারে পাওয়া যাবে না, পাওয়া যাবে মেধা ধ্বংসকারী, অতি সহজে পরীক্ষার বৈতরণী পার হওয়ার মন্ত্র। আর সেটিই হচ্ছে। 

লেখক: ক্যাডেট কলেজের সাবেক শিক্ষক

জনপ্রিয়