যমজদের একই বিদ্যালয়ে ভর্তি নিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবারই প্রথম অনলাইন আবেদনে যমজ কোটার সুযোগ দিয়েছেন, এটা নিঃসন্দেহে একটি ভালো উদ্যোগ। কিন্তু অনলাইন আবেদন ফর্মে যমজ কোটা অংশে option পূরণ করতে গিয়ে অভিভাবভকরা পড়েছিলেন জটিলতায়।
option ছিলো, reading same school: yes or no, অধিকাংশ অভিভাবক বুঝেছেন এর অর্থ হচ্ছে যমজগুলো একই বিদ্যালয়ে পড়ে কি না, স্বভাবতই দিয়েছেন yes, আর এতেই ঘটেছে যতো বিপত্তি। reading- yes দেয়ায় তাদের ভর্তির ফলাফলে এসেছে twin(single) – এর অর্থ দ্বারায় উক্ত বিদ্যালয়ে আগে থেকেই যমজদের একজন পড়ে, ফলে আর দুজনই ভর্তি হতে পারছেন না, ভর্তি হতে পারবেন একজন।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রায় ৩০-৩৫ টি সরকারি বিদ্যালয়ের ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে যে, প্রতিটি বিদ্যালয়েই ২-৩ জন যমজ কোটায় ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন- কিন্তু তারা যে reading –yes দিয়েছিলেন ফলে তাদের ফলাফল এসেছে twin (single)।
বরিশাল জিলা স্কুল এ twin কোটায় ভর্তির সুযোগ পাওয়া অরণ্য কর্মকারের মা বললেন এই বিদ্যালয়টি তো শুরুই হয়েছে ৩য় শ্রেণি থেকে, তাহলে এই বিদ্যালয়ে reading same school: yes or no, এই option টি open না করলেই পারতো। তিনি অনেক কষ্ট পেয়ে বলেছেন তার একটি যমজ ভর্তি হবে আর অন্যটি হবে না- এটি কষ্টকর । এই অবস্থায় তাদের ভর্তি প্রক্রিয়া স্বাভাবিক করতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
ঠাকুরগাঁও গার্লস স্কুলে twin কোটায় ভর্তির সুযোগ পাওয়া আফনান জান্নাতের মা এর সঙ্গে কথা বললে তিনি একই রকম আক্ষেপ প্রকাশ করেন এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সহযোগিতা কামনা করেন। রংপুর জিলা স্কুলের রাজিন হাসানের বাবা বললেন একই কথা, তিনি সহজ সমাধান আশা করছেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয় এর সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-২) এস,এম জিয়াউল হায়দার হেনরীর মোবাইলে যোগাযোগ করে এই বিষয়ের সমাধান জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ভর্তি নিতিমালা অনুযায়ী ভর্তি নিবো, বলে ফোন কেটে দেন। অথচ ভর্তি নীতিমালায় এই বিষয়ে কোন সুস্পস্ট নির্দেশনা নেই। যমজদের দুই জনের মধ্যে একজন ভর্তির সুযোগ পেলে, একজন প্রচণ্ড মানসিক চাপে পড়ে।
লেখক: মো. আলিফুল ইসলাম, সহ. শিক্ষক,
ভর্তি ইচ্ছুক যমজ শিশুর অভিভাবক
(মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন)