ঢাকা বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ , ১৬ মাঘ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

কোরআন হাদিসের আলোকে শবে মেরাজ

মতামত

হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী, আমাদের বার্তা

প্রকাশিত: ০৮:৩০, ২৮ জানুয়ারি ২০২৫

সর্বশেষ

কোরআন হাদিসের আলোকে শবে মেরাজ

আজ ২৭ রজবের রাত। প্রসিদ্ধ আছে, রাসুল (সা.) এর মেরাজ এই রাতে হয়েছিলো। প্রসিদ্ধ কথাটা এজন্য বলা হলো, কোন মাসে ও কোন তারিখে মেরাজ হয়েছিলো এ ব্যাপারে প্রচুর মতভেদ আছে। প্রসিদ্ধ হলো. রজব মাসের ২৭ তারিখেই এটা হয়েছিলো। মেরাজ হয়েছিলো এ কথা কোরআন-হাদিসে আছে, ইতিহাসেও রয়েছে। এটা সত্য ঘটনা। কিন্তু কোন তারিখে হয়েছিলো তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। আসলে তৎকালীন যুগে একটা ঘটনা ঘটে গেলো, কোন মাসে, কোন তারিখে হলো সেটা স্মরণ রাখা বা লিখে রাখার নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থা ছিলো না। তবে মেরাজ যে হয়েছিলো, এটা কোরআনেও আছে, সহীহ হাদীসেও আছে, এটা বিশ্বাস করতে হবে।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন রাসুলকে (সা.) বোরাকে করে মক্কা থেকে বাইতুল মুকাদ্দাস নিয়ে যান। সেখান থেকে সপ্তম আসমানের ওপরে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবার পর্যন্ত নিয়ে যান। আবার ওই রাতের ভেতরে তিনি ফিরে আসেন। ফিরে এসে তিনি ফজরের নামায আদায় করেন। এই ঘটনা কোরআনেও আছে, সহীহ হাদীসে আছে। কেউ যদি অস্বীকার করে, তাহলে তার ঈমান থাকবে না। কোনো যুক্তিতে ধরুক বা না ধরুক, বিজ্ঞান এটাকে স্বীকার করুক আর না করুক, তবুও আমাদের বিশ্বাস করতেই হবে। যেহেতু কোরআন-হাদিসে আছে।

রাসুল (সা.) ফজরের নামাযের পর সাহাবায়ে কেরামকে এই মেরাজরে বর্ণনা শোনালেন, দুজন ফেরেশতা আমার কাছে এসেছিলেন। তারা আমাকে বাইতুল মুকাদ্দাস নিয়ে যান। সেখান থেকে সপ্তম আসমানের ওপর আল্লাহর দরবার পর্যন্ত পৌঁছি। আল্লাহর সঙ্গে কথা হয়। আল্লাহ পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরয করে দিয়েছেন। এভাবে তিনি বিস্তারিত ঘটনা বয়ান করে শোনান।

এই ঘটনা যখন বয়ান করেন তখন মক্কার কাফের নেতারা এটা শুনে উপহাস শুরু করলো। তারা বললো কাল্পনিক ঘটনা। এক রাতের ভেতর সাত আসমানের ওপরে যাওয়া আবার ফিরে আসা, এটাতো পাগলের প্রলাপ! কাফেররা ছুটে গেলো হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা.) এর কাছে। তারা ভাবলো, মুহাম্মদের বড় শিষ্যের কাছে গিয়ে দেখি তিনি কি বলেন? হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা.) ওইদিন ফজরের জামায়াতে ছিলেন না।

রাসুল (সা.) এর মুখ থেকে তখনো ঘটনা তিনি শোনেননি। কাফেররা তার কাছে গেলো। গিয়ে বললো, যদি কোন লোক বলে যে, সে রাতের অল্প সময়ের ভেতরে সাত আসমানের ওপর পর্যন্ত গিয়েছে, আবার ফজরের আগে দুনিয়ায় ফিরে এসেছে। তুমি কি তা বিশ্বাস করবে? হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা.) জিজ্ঞাস করলেন, কে বলেছেন? তারা বললো, তোমাদের নবী।

হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা.) সঙ্গে সঙ্গে বলে উঠলেন, তাহলে আমি বিশ্বাস করি। তিনি সত্যই বলেছেন। এরপর থেকেই আবু বকর (রা.) কে সিদ্দীক বলা হয়। সিদ্দীক অর্থ চরম ও পরম বিশ্বাসী। রাসুল (সা.) নাম শোনামাত্রই তিনি বিশ্বাস করেছিলেন, কোনো যুক্তি তালাশ করেননি, কোনো বিজ্ঞানের পিছে ছোটেননি। এটা সম্ভব কি অসম্ভব সেটা তার চিন্তায় আসেননি। যেহেতু আল্লাহর রাসুল বলেছেন, তাই বিনা দ্বিধায়, বিনা বাক্যে বিশ্বাস করেছেন।

কাফেররা দেখলো যে এখানে তো কাজ হলো না, তাহলে আবার মুহাম্মদের কাছে যাই। এবার যেয়ে জিজ্ঞাসা শুরু করলো, মুহাম্মদ তুমি যদি বাইতুল মুকাদ্দাস গিয়ে থাকো, তাহলে বলো বাইতুল মুকাদ্দাসের কয়টা সিড়ি আছে? কয়টা জানালা আছে? কয়টা দরজা আছে ইত্যাদি। রাসুল (সা.) কি সিড়ি গণনা করতে গিয়েছিলেন? কয়টা দরজা জানালা আছে তা জরিপ করতে গিয়েছিলেন? কিন্তু তারা জিজ্ঞাসা করে বসেছে, এখন যদি জওয়াব না দেয়া যায়, তাহলে রাসুল (সা.) মিথ্যুক প্রমাণিত হবেন।

তাই তিনি খুব পেরেশান হন, আজ যদি এই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারি, তাহলে ওরা আমাকে মিথ্যুক সাব্যস্ত করবে। হাদিসে এসেছে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তখন আমার এতো পেরেশানি হলো যে, ওরকম পেরেশানি আমার আর কখনো হয়নি।

অতঃপর আল্লাহপাক বাইতুল মুকাদ্দাসকে আমার চোখের সামনে তুলে ধরলেন, আর তারা যা জিজ্ঞাসা করছিলো আমি দেখে দেখে গণনা করে করে তার উত্তর দিয়ে যাচ্ছিলাম। এ রকম জাজ্জল্যমান প্রমাণ আসার পরও ইমান আনা তাদের ভাগ্যে জুটলো না, তারা মানলো না।

ইমান আনা, আল্লাহর খাস তাওফিকের ভিত্তিতে হয়ে থাকে। আল্লাহর তাওফিক না হলে ইমান নসীব হয় না। আল্লাহ পাক আমাদেরকে ইমান নসীব করেছেন তার জন্য শোকর আদায় করতে হবে। আমাদের মধ্যে কত বড় বড় বুদ্ধিমান, বড় বড় জ্ঞানী-বিজ্ঞানী রয়েছে, কিন্তু আল্লাহকে বিশ্বাস করার ইমান আনার নসীব তাদের হচ্ছে না।

যা হোক মক্কার মুশরেকরা বিশ্বাস করলো না। তারা বললো এটা যাদু। তাদের একটা মুখস্থ ডায়ালগ ছিলো যখন তাদের জওয়াব দেয়ার আর কিছুই থাকতো না, তখন বলতো এটা যাদু। এই বলে সরে পড়তো। মেরাজের ঘটনা বয়ান করে রাসুল (সা.) বলেন, আমার কাছে দুইজন ফেরেশতা আসলেন, আমি উম্মেহানির ঘরে ঘুমন্ত ছিলাম।

তারা আমাকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে বাইতুল্লাহর কাছে হাতীমের ভিতরে নিয়ে গেলেন। সেখান থেকে জমজম কুয়ার কাছে আমাকে নেয়া হলো। সেখানে আমার বক্ষ বিদারণ করে।

এক যুগে মানুষ যুক্তির দোহাই দিয়ে রাসুল (সা.) এর সশরীরে মেরাজে যাওয়াকে অস্বীকার করতো। তারা বলতো ঊর্ধ্ব আকাশে রয়েছে কঠিন শীতল স্তর, রয়েছে কঠিন গরমের স্তর, রয়েছে অক্সিজেন ছাড়া স্তর, যেসব স্তরে মানুষের বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। এতোসব প্রতিকুল পরিবেশে অতিক্রম করে সশরীরে মেরাজে যাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু এখন যখন বিজ্ঞান বলছে এটাও সম্ভব, তখন তারা চুপসে যাচ্ছে।

আল্লাহর রাজত্ব কতো বিশাল, আল্লাহর শক্তির পরিধি কতো বিস্তৃত, আল্লাহর সৃষ্টি কতো বিশাল ও অদ্ভুত এসব দেখানোর জন্য তাঁকে মেরাজে নেয়া হয়েছিলো। জান্নাত-জাহান্নামসহ অনেক কিছু তাকে দেখানো হয়েছিলো। নবী (সা.) স্বচক্ষে এগুলো দেখে এসেছেন, যাতে কেউ বলতে না পারে এবং সন্দেহ করতে না পারে যে, ইমানের কথা যা কিছু আমরা শুনি যেমন আল্লাহ আছে, জান্নাত আছে, জাহান্নাম আছে এসব কিছু আসলে আছে কি না? কেউ তো কোনোদিন দেখেনি। এখন আর এরকম সন্দেহ করার অবকাশ নেই। কারণ, এগুলো আছে তা এমন একজন দেখে এসে বলেছেন, যাকে দুনিয়ার কেউ মিথ্যাবাদী বলতে পারেনি। ঘোর শত্রু পর্যন্ত যাকে মিথ্যুক বলতে পারেনি।

আমার আপনার মতো লক্ষ মানুষকে যদি দেখানো হতো, আর আমরা দেখে এসে বলতাম, তবুও মানুষ অস্বীকার করতে পারতো যে, হয়তো পরিকল্পিতভাবে এরা মিথ্যা বলছে, কিন্তু এমন একজনকে দেখানো হয়েছে, যাকে কেউ মিথ্যুক বলতে পারবে না। আমার আপনার লক্ষ-কোটি মানুষের দেখার চেয়ে তার একার দেখার বিশ্বাসযোগ্যতা অনেক বেশি। এই সবকিছু তাঁকে দেখানো হয়েছে রাতের অল্প সময়ের মধ্যে। মাঝ রাত থেকে ফজরের আগ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সব দেখে তিনি ফিরে এসেছেন।

তাঁকে যে বাহনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো তার নাম বোরাক। হাদীসে এসেছে, এটা একটা সাদা রংয়ের জানোয়ার, যা গাধার চেয়ে একটু বড়, খচ্চরের চেয়ে একটু ছোট। তার গতি হলো দৃষ্টির শেষ সীমা যতো দূরে যায়। মানুষের দৃষ্টির শেষ সীমা কতো দূর যায় তা কেউ বলতে পারেন? কোটি কোটি মাইল দূরের গ্রহ-নক্ষত্র আমরা এখান থেকে দেখতে পাই।

এরকম দৃষ্টির শেষ সীমা পর্যন্ত দূরে এক এক কদম রাখতো বোরাক। তাহলে তার গতি কতো ছিলো তা কল্পনাও করা যায় না। কেউ কেউ ব্যাখ্যা করেছেন যে, বোরাক শব্দটি আরবি শব্দ থেকে এসেছে, যার অর্থ হলো বিদ্যুৎ। তার গতি ছিলো বিদ্যুতের মতো। এই ব্যাখ্যা ঠিক নয়। বিদ্যুতের এতো গতি নেই যা বোরাকের ছিলো। বিদ্যুৎ সেকেন্ডে এক লাখ ৮৬ হাজার মাইল বা তিন লক্ষ কিলোমিটার যেতে পারে।

কেউ কেউ বোরাকের ছবি তৈরি করেছে, ঘোড়ার মতো দেহ, নারীর মতো মুখ আর ডানা লাগানো। তারা ভেবেছে বোরাক খচ্চরের চেয়ে ছোট, আর খচ্চর তো অনেকটা ঘোড়ার মতো, তাহলে ঘোড়ার মতো আকৃতি দিতে হয়। আর যখন উড়ে চলে তখন ডানাও দরকার। তাই ডানাও লাগানো হয়েছে। আর বোরাক যেহেতু কথা বলে, তাহলে একটা মুখও দরকার, মুখও বানাতে হয়। আর মুখ যখন বানাবই তখন মহিলার মুখই বানাই। ওটাই তো ভালো লাগে। এই সব কিছু মিলে বোরাক তৈরি হয়ে গেলো! অনেকে আবার এই কল্পিত ছবি বরকতের জন্য ঘরে রাখে। একতো ঘরে ছবি রাখা পাপ, তারপর আবার কল্পিত ছবি। বরকত আসবে কীভাবে?

যাহোক এই বোরাকে করে রাসুলকে (সা.) নিয়ে যাওয়া হয়। বাইতুল মোকাদ্দাস থেকে আসমানের দিকে আরোহণের সময় একটা চলন্ত সিঁড়ি আসে। তিনি বোরাকসহ সেই চলন্ত সিঁড়িতে করে ঊর্ধ্ব জগতে আরোহণ করেন। এজন্যই মেরাজ বলা হয়। মেরাজ শব্দের অর্থ সিঁড়ি।

যখন রাসুলকে (সা.) নিয়ে যাওয়া হয়, তখন তাকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য সাত আসমানে বিশিষ্ট নবীদের রাখা হয়। প্রথম আসমানে হযরত আদম (আ.) তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। দ্বিতীয় আসমানে হযরত ঈসা ও হযরত ইয়াহ ইয়া (আ.), তৃতীয় আসমানে হযরত ইউসুফ (আ.), চতুর্থ আসমানে হযরত ইদ্রীস (আ.), পঞ্চম আসমানে হযরত হারুণ (আ.), ষষ্ঠ আসমানে হযরত মূসা (আ.), এবং সপ্তম আসমানে হযরত ইবরাহীম (আ.) তাঁকে অভ্যর্থনা জানান।

সপ্তম আসমানে বাইতুল্লাহর মত হুবহু একটা ঘর আছে, যার নাম বায়তুল মামূর। দুনিয়াতে যেমন আমরা কাবা শরীফ তাওয়াফ করি তেমনি বায়তুল মামুরে সর্বক্ষণ ফেরেশতারা তাওয়াফ করে। হাদীসে আছে নবী (সা.) বলেন, প্রতিদিন সেখানে এমন ৭০ হাজার ফেরেশতা তাওয়াফের জন্য আসেন, যারা ভবিষ্যতে আর কোনোদিন এখানে আসবে না। তাহলে কতো অসংখ্য ফেরেশতা আল্লাহ তৈরি করে রেখেছেন। এই বাইতূল মামুনের পাশে আছে সিদরাতুল মুনতাহা।

সিদরাতুন অর্থ বরই গাছ, আর মুনতাহা অর্থ সর্বশেষ ষ্টেশন। এটাকে সিদরাতুল মুনতাহা বা সর্বশেষ ষ্টেশন এজন্য বলা হয় যে, দুনিয়া থেকে যত ফেরেশতারা ওপরের দিকে যান, তারা ওই পর্যন্ত যেতে পারেন, এর ওপরে আর যেতে পারে না। তাই এখান থেকে যখন রাসুলকে (সা.) আরো ঊর্ধ্বে আল্লাহর দরবার পর্যন্ত নেয়া হয়, তখন জিবরাইল (আ.) বলেছিলেন, এবার আপনি একাই যাবেন, আমার পক্ষে আর ওপরে যাওয়া সম্ভব না।

রাসুল (সা.) বলেছেন, এই সিদরাতুল মুনতাহার যে বরই গাছ, এই বরই গাছের এক একটা বরই হলো হাজারের মটকার মতো। তখনকার যুগে হাজার নামক জায়গায় বড় বড় মটকা তৈরি হতো। গ্রাম দেশে এখনো এরকম বড় বড় মটকা দেখা যায়। এরকম মটকার মতো এক একটা বরই হবে। রাসুল (সা.) বলেন, তার এক একটা পাতা হলো হাতির কানের মতো।

এই সিদরাতুল মুনতাহার কাছে রাসুল (সা.) হযরত জিব্রাইলকে (আ.) তার আসল রূপে দেখেছিলেন। তিনি দেখেছিলেন জিব্রাইল (আ.) এর ছয়শত ডানা আছে। তিনি এতো বড় যেনো মহাকাশের দুই প্রান্ত পর্যন্ত ভরে গেছে।

এই সিদরাতুল মুনতাহার পাশে জান্নাত। রাসুল (সা.) বলেছেন, আমাকে জান্নাতের সব স্তর ঘুরিয়ে দেখানো হয়েছে। একটা ঘর দেখিয়ে জিব্রাইল (আ.) বলেছেন, হে মুহাম্মদ, আপনার জন্য হবে এই ঘরটা। রাসুল (সা.) বলেছেন, তখন আমার সঙ্গী ছিলেন জিব্রাইল (আ.) আর মিকাইল (আ.)। আমার ঘরটা দেখানোর পর আমি বললাম, আমাকে এই ঘরটায় একটু প্রবেশ করার অনুমতি দেয়া হোক। সঙ্গী ফেরেশতা বললেন, এখনো আপনার সময় হয়নি, এখনো দুনিয়ায় আপনার হায়াত বাকি রয়ে গেছে।

এভাবে রাসুলকে (সা.) অনেক কিছু দেখানো হয়, অনেক কিছু জানানো হয়। যতো বিষয়ে আমরা না দেখে ঈমান রাখি, সে সব কিছু তাঁকে দেখানো হয়। এটাই মেরাজের শিক্ষা যে, গায়েবের সব বিষয়ে আমাদের বিশ্বাস ও ইয়াকীনকে আরো দৃঢ় করবো এবং মেরাজের রাতে রাসুল (সা.) নামাজসহ যেসব বিধান আল্লাহর কাছ থেকে নিয়ে এসেছিলেন সেসব বিধান পালন করবো।

লেখক: ইসলামি চিন্তাবিদ

 

জনপ্রিয়