![বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুবার্ষিকী আজ বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুবার্ষিকী আজ](https://www.amaderbarta.net/media/imgAll/2023November/bolai-2502090407.jpg)
আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ছোট গল্পের সার্থক রূপকার বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি 'বনফুল' ছদ্মনামে পরিচিত। সুমনার চিঠি তার পাঠকনন্দিত লেখা।
প্রধান বিষয় নিসর্গ চেতনা, প্রেম ও আত্ম-উপলব্ধি। ছোটগল্প রচনায় তিনি তুলনাহীন মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন তার ছোটগল্পে মানবজীবনের বিচিত্ররূপের সমাবেশ ঘটেছে-যেমন গল্পের বিষয়বস্তুতে, তেমনি ব্যাপক সৃজনশীলতায়।
বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় ১৮৯৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৯ জুলাই বিহারের পূর্ণিয়া জেলার মণিহারী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পূর্বপুরুষদের আদি নিবাস ছিলো হুগলি জেলার শিয়ালখালায়। পিতা সত্যচরণ মুখোপাধ্যায় ছিলেন পূর্ণিয়া জেলার মণিহারী ডিস্ট্রিক্ট বোর্ড হাসপাতালের আক্তার। মাতা মৃণালিনী দেবী।
বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় নাটক রচনাতেও কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। প্রহসন, একাঙ্কিকা, চিত্রনাট্য, নাটিকা ছাড়াও তিনি বিখ্যাত ব্যাক্তিদের জীবনচরিত অবলম্বন করে নাটক রচনা করেন, যাতে পাওয়া যায় তার সৃজনশীল প্রতিভার অপর একটি ভিন্ন রূপের পরিচয়। উনিশ শতকের দুই বিখ্যাত ব্যাক্তিত্ব মাইকেল মধুসুদন দত্ত ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে নিয়ে লেখা তার নাটক, শ্রীমধুসূদন ও বিদ্যাসাগর। বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় এ দুটি নাটকের মাধ্যমে জনসাধারণের মধ্যে এদের ব্যাপকভাবে ও যথার্থরূণে পরিচয় করিয়ে দেন। বাংলা সাহিত্যে বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়কে
আধুনিক বাংলা সাহিতে বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়ে 'বনফুল' হয়নামে পাঠকনন্দিত লেখা।
বলাইজদি মুখোপাধ্যা বিহারের পূর্ণিয়া জেলার তার পূর্বপুরুষদের আমি জেলার শিয়ালখালায়। মুখোপাধ্যায় ছিলেন পূরি ডিস্ট্রিক্ট বোর্ড হাসপাতা মৃণালিনী দেবী।
বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় স্কুল থেকে ম্যাট্রিক সেন্ট কলম্বাস কলেজ পাস করেন। একই ব মেডিক্যাল কলেজে ভরি
তিনি এমবিবিএস তিনি 'বনফুল' ছদ্মনামে।
সম্পাদনা করেনি
বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় পূর্ণিয়ার সাহেবগঞ্জ স্কুল থেকে ম্যাট্রিক এবং হাজারিবাগের সেন্ট কলম্বাস কলেজ থেকে আইএসসি পাস করেন। একই বছরে তিনি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন।
তিনি এমবিবিএস পাস করেন। স্কুলে পড়ার সময়ে তিনি 'বনফুল' ছদ্মনামে কবিতা রচনা করেন। সম্পাদনা করেন বিকাশ নামে হাতে-লেখা একটি
সাহিত্যপত্রিকা। তাতে প্রকাশিত হতো প্রবন্ধ, কবিতা, গল্প, অনুবাদ প্রভৃতি। এ সময় থেকে তার সাহিত্যবিষয়ক রচনা প্রকাশিত হয় ভারতী, প্রবাসী, কল্লোল প্রভৃতি বিখ্যাত পত্রিকায়। এসব পত্রিকায় প্রকাশিত তার কবিতার নিখুঁত ছন্দ এবং গল্পের বিষয় নির্বাচন ও ভাষার ওপর দক্ষতা পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তার কবিতার
বলা যেতে পারে এ ধারার নাটক রচনার পথিকৃৎ। সাহিত্য-সাধনার স্বীকৃতিস্বরূপ বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় লাভ করেন শরৎস্মৃতি পুরস্কার, রবীন্দ্র পুরস্কার, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জগত্তারিণী পদক। ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ডি.লিট
উপাধি প্রদান করে; ভারত সরকারের কাছ থেকে তিনি
গান পদ্মভূষণ উপাধি। ১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দের আজকের এই এই দিনে তিনি পরলোকগমন করেন।