ঢাকা শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ৯ ফাল্গুন ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

সংস্কার প্রতিবেদনে শিক্ষা

মতামত

মাছুম বিল্লাহ, আমাদের বার্তা

প্রকাশিত: ০৮:৩০, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সর্বশেষ

সংস্কার প্রতিবেদনে শিক্ষা

শিক্ষাকে অন্যান্য সার্ভিস থেকে আলাদা করার পাশাপাশি কর্মকর্তারা যাতে চাকরির সর্বোচ্চ গ্রেডে যেতে পারেন, সেই সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। শিক্ষাকে অন্যান্য সার্ভিস থেকে আলাদা করার কথা বলেছে কমিশন। এটি কি শিক্ষার মান বাড়াবে? শিক্ষকদের বর্তমান সামাজিক অবস্থানকে আরো মর্যাদাপূর্ন করবে? প্রচলিত অন্যান্য ক্যাডারের সঙ্গে প্রস্তাবিত সার্ভিস কতোটা সামঞ্জস্যপূর্ন হবে সেই ব্যাখ্যা আমরা এখানে দেখতে পাইনি।

যদি এ রকম মনে করা হয়, শিক্ষকরা আবার অন্যান্য সার্ভিসের সঙ্গে সমতুল্য হতে যাবেন কেনো? তারা তো ‘মাস্টার সাহেবের’ মতো থাকবেন। সেই বিবেচনায় করা হলে বা সে জাতীয় একটি মতামত বা সুপারিশ দেয়া হলে সেটি খুব একটি প্রশংসনীয় নয়। কারণ, শিক্ষকতা পেশায় এমনিতেই কেউ আসতে চান না। পরিস্থিতি যখন বাধ্য করে তখনই প্রার্থীরা শিক্ষকতায় আসেন। তারপরেও শিক্ষা ক্যাডার অন্যান্য সার্ভিসের মতো অনেকটাই মর্যাদাপূর্ণ হওয়ায় অনেক মেধাবীরাই এই পেশায় আসছেন।

যদি ‘মাস্টার সাহেব’ বানানোর চিন্তা করা হয় তাহলে সেটি নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। দ্বিতীয়ত, এই কমিশনের প্রধান ছিলেন একজন সাবেক বড় আমলা যিনি মূলত সিএসপি। অর্থাৎ অরজিনাল আমলা। তবে, সদস্যদের মধ্যে কোনো শিক্ষক ছিলেন কি না সেটি আমরা স্মরণ করতে পারছি না। যেহেতু শিক্ষা কমিশন আলাদাভাবে করা হয়নি, শিক্ষার অনেক ব্যাপারই সরকার এই কমিশনের মাধ্যমে করতে চেয়েছেন বলে মনে হচ্ছে।

তবে, শিক্ষা সম্পর্কে এই কমিশনের বড় বড় কয়েকটি সিদ্ধান্ত প্রশংসার দাবি রাখে। তারপরেও বলতে হয়, শিক্ষার ভেতরকার এবং শিক্ষাকতা পেশাকে আরো আকর্ষণীয় করার প্রস্তাব খুব একটি এখানে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই, প্রয়োজন ছিলো সব স্তরের কিছু শিক্ষক এবং শিক্ষা সংশ্লিষ্টদের কমিটিতে সদস্য হিসেবে রাখা।

কলেজ ও সমপর্যায়ে সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বাধ্যতামূলকভাবে মৌলিক গবেষণা থাকতে হবে। পিএইচডিধারী অধ্যাপকেরা ওপরের পদে যেতে অগ্রাধিকার পাবেন। এ প্রস্তাব দুটো সমর্থনযোগ্য। বর্তমানে যে পদ্ধতিতে সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদে শিক্ষকরা পদোন্নতি পাচ্ছেন সেটি আসলে কোনো যৌক্তিক নিয়ম নয়। শুধুমাত্র চাকরিতে থাকলেই পদোন্নতি, এটি কোনো পেশাদারিত্ব না। অনেক শিক্ষক আছেন প্রচুর পড়াশোনা করেন, প্রচুর ক্রিয়েটিভ কাজ করেন। বর্তমান পদ্ধতিতে সেটির কোনো মূল্যায়ন নেই। এমন শিক্ষক আছেন যারা সারাজীবন একটি বা দুটি চ্যাপ্টার পড়িয়ে শিক্ষকতা জীবন কাটিয়ে দেন  তার বাইরে তাদের তেমন কিছু নেই, তারাও শুধুমাত্র চাকরির বয়স হয়েছে তাই সহাযোগী অধ্যাপক কিংবা অধ্যাপক হচ্চেন।

এটি তাদের পড়াশোনা, সৃজনশীলতা কিংবা প্রকৃত গবেষণাকে কোনোভাবেই উৎসাহিত করে না। কমিশন বলছে, মানসম্মত শিক্ষক তৈরির জন্য সহযোগী অধ্যাপক পর্যায়ে পদোন্নতির অন্তত তিনটি মৌলিক গবেষণা এবং অধ্যাপক পদের জন্য অন্তত পাঁচটি গবেষণা বাধ্যতামূলক করতে হবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে গবেষণা প্রকাশিত হতে হবে। গবেষণা মৌলিক হতে হবে। বর্তমানে যেটি হচ্ছে, অন্যের গবেষণা কর্ম নিজের বলে চালিয়ে দেয়া, অন্যের পাবলিকেশন নকল করে নিজের করে নেয়া শুধুমাত্র সার্টিফিকেট অর্জন করার নিমিত্তে, নিজে গবেষণা করা এবং শিক্ষাক্ষেত্রে প্রকৃত অবদান রাখার নিমিত্তে হচ্ছে না। এই বিষয়টিও কমিশনও ইঙ্গিত করেছে। সহযোগী অধ্যাপক কিংবা অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেলে কারোর কাছেই অতিরিক্ত কিছু মনে হয় না। কারণ, প্রচলিত পদ্ধতিতে সবাইকে এক পাল্লায় মাপা হয়। সবাই মনে করে, বয়স হয়েছে কিংবা এতো বছর কলেজে আছেন তাই অধ্যাপক হয়েছেন। তার সঙ্গে তার কিছু সৃষ্টিশীল কাজ কিংবা অতিরিক্ত পড়াশোনা অছে এ জাতীয় পয়েন্ট কারোর  মনে আসে না।

শিক্ষা বিভাগের জন্য আলাদা একটি পিএসসি গঠনের নির্দেশনা বহন করছে সংস্কার কমিশনের সুপারিশে। এই সার্ভিসের জনবল নিয়োগ, পদোন্নতির পরীক্ষা হবে পিএসসির (শিক্ষা) অধীনে। এটিও যৌক্তিক সুপারিশ। জনবল অনুযায়ী ক্যাডারের দিক থেকে স্বাস্থ্যের পরেই শিক্ষার অবস্থান। এই বিশাল বিষয়টির জন্য আলাদা একটি পাবলিক সার্ভিস কমিশন গঠনের সুপারিশ নিঃসন্দেহে পজিটিভ। সংখ্যার দিক দিয়ে বিসিএস শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডার বড়। শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তার সংখ্যা প্রায় ১৬ হাজার। আর স্বাস্থ্য ক্যাডারের সদস্য ৩০ হাজারের বেশি। অথচ এই দুই ক্যাডারের কর্মকর্তারা পদোন্নতিতে পিছিয়ে থাকেন। তারা যেতে পারেন সর্বোচ্চ চতুর্থ গ্রেড পর্যন্ত। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন বলছে শিক্ষার কর্মকর্তাদের নবম গ্রেড থেকে গ্রেড-১ এ পৌঁছানোর সুযোগসহ নিয়মিত পদোন্নতির ব্যবস্থা রখাতে হবে। পদোন্নতির জন্য পরীক্ষা বা মূল্যায়ন হবে। অন্তত ৫ শতাংশ অধ্যাপককে জাতীয় বেতন স্কেলের দ্বিতীয় গ্রেডে উন্নীত করতে হবে। যারা পিএইচডি ডিগ্রিধারী এবং অধ্যাপক হিসবে পাঁচ বছর চাকরি করেছেন, তারা যাতে দ্বিতীয় গ্রেডে উন্নীত হতে পারেন সেই ব্যবস্থা রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।

শিক্ষার উন্নয়নের জন্য আর একটি সুপারিশ হচ্ছে যেসব কলেজ অনার্স-মাস্টার্স পড়াচ্ছে সেগুলোকে রাষ্ট্র পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নিয়ে আসা। এটিও চমৎকার প্রস্তাব। সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২ হাজার ২০০টির বেশি কলেজ রয়েছে। ৮৮১টি কলেজে স্নাতক সম্মান পড়ানো হয়। সংস্কার কমিশন বলছে, এই বিশ্ববিদ্যালয় কার্যত শিক্ষাবোর্ডের মতো কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে অর্থাৎ শুধুমাত্র পরীক্ষা পরিচালনা করা আর ফল প্রকাশ করা। প্রায় ৩৪ লাখ শিক্ষার্থীর মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে দুরূহ কাজ। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন বিভাগ ও জেলায় অনেক সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার ডিগ্রি পর্যায়ের কলেজগুলোকে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে।

কমিশন বিভগীয় ও জেলা পর্যায়ে একটি প্রধান কলেজ নির্বাচন করে, সেগুলোকে উচ্চশিক্ষার বিশেষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার সুপারিশ করেছে। পিএইচডি ডিগ্রিধারী এবং যাদের গবেষণা প্রকাশনা আছে, এমন শিক্ষকদের এসব প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বা পদায়ন করতে হবে। অন্যদিকে সব বিভাগে সরকারি পর্যায়ে বিশেষায়িত (উচ্চশিক্ষা) মাদরাসা প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করেছে কমিশন। নিঃসন্দেহে চমৎকার প্রস্তাব। উচ্চশিক্ষার দ্বার সবার জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে, উচ্চশিক্ষা যারা গ্রহণ করতে চান সেটি পুরোপুরি প্রাতিষ্ঠানিক হোক আর অর্ধ-প্রাতিষ্ঠানিক, সে সুযোগ রাখতে হবে। তবে, উচ্চশিক্ষার নামে আমরা যাতে বেকার তৈরি না করি সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। সে ধরনের একটি সুপারিশও প্রয়োজন। যেমন কলেজ পর্যায়ে বিশেষত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলোতে যারা অনার্স পড়ছেন তারা যাতে পরিবার ও সমাজের বোঝা না হয়ে নিজেদের জীবিকা নিজেরা নির্বাহ করতে পারেন ও স্বাবলম্বী হতে পারেন সেজন্য জন্য যেকোনো ধরনের একটি ট্রেড কোর্স কিংবা কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। এ বিষয়ে আট বছর আগে মাউশিতে একটি সেমিনার হয়েছিলো। সেখানে আমি বলেছিলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন যারা অনার্স, মাস্টার্স পড়ছেন এবং যারা পাস কোর্স গ্র্যাজুয়েট হচ্ছেন তাদের জন্য একটি কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রয়োজন যাতে তারা বেকার না থাকেন। কিন্তু উপস্থিত শিক্ষকরা ও শিক্ষা কর্মাকর্তারা দেখলাম আমার কথায় কোনো ধরনের সায় দিলেন না বরং বললেন তাদের কারিগরি শিক্ষা নিতে হবে কেনো, তারা তো উচ্চশিক্ষা নিচ্ছেন। মাত্র সপ্তাহখানেক আগে দেখলাম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ঘোষণা করলেন যে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন অনার্স গ্র্যাজুয়েটদের এক বছরের কারিগরি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে। এটি একটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।

এ ছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে কলেজ ও স্কুলের জন্য ভাগ করে দুটি অধিদপ্তর করার সুপারিশ করা হয়েছে যেটি নিয়ে দৈনিক শিক্ষাডটকম এবং আমাদের বার্তা বেশ কয়েকবার আমার লেখাসহ অন্যান্যদের লেখাও প্রকাশ করেছে। মাউশির নব্বই শতাংশের বেশি মাধ্যমিক শিক্ষা, বাকি অংশ কলেজ শিক্ষা। অথচ মাধ্যমিকের শিক্ষকদের প্রতিনিধিত্ব সেখানে নেই বললেই চলে, সিংহভাগ শিক্ষক কলেজ থেকে আগত। ফলে, মাধ্যমিক শিক্ষা যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্তর সেটি থেকে যাচ্ছে অবহেলিত। তাই বহুবার বহু কর্নার থেকে এই দাবি উঠেছে, মাধ্যমিক শিক্ষার আলাদা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করতে হবে কিন্তু কলেজ শিক্ষকদের অসহযোগিতার কারণে বিষয়টি হচ্ছে না। এখানে রাষ্ট্রীয় একটি বিষয় জড়িত আর সেটি হচ্ছে মাধ্যমিকে শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা না থাকায় কলেজ পর্যায় থেকে শিক্ষক নিয়ে এসে মাউশি চালানো হচ্ছে যেটি যৌক্তিক কোনো কাজ নয়। শিক্ষা ক্যাডারের প্রয়োজন ছিলো প্রাথমিক থেকে। শিক্ষা ক্যাডারের বিচরণ প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত থাকার প্রয়োজন ছিলো এবং এই ক্যাডার অত্যন্ত সুচতুর ও অল-রাউন্ডার একটি ক্যাডারে উন্নীত করার প্রয়োজন ছিলো বহু আগে। সেটি আমলারা চাবেন না সেটা ঠিক, কিন্তু শিক্ষা ক্যাডারদের চাওয়া উচিত ছিলো। তারাও কার্যকরীভাবে সে ধরনের কোনো পদক্ষেপ বা প্রয়োজনীয়তার কথা বলছেন না। তারা শিক্ষকতায় ঢুকে কেউ প্রাইভেট নিয়ে ব্যস্ত হযে পড়েন আবার কেউ প্রশাসনিক পদ বাগানোর জন্য লিয়াজোঁ করা বা তদবির নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ফলে, বিষয়টি উপেক্ষিত থেকে গেছে। প্রাইমারিতে যে আলাদা শিক্ষা ক্যাডার প্রয়োজন সেটি কিন্তু কখনই শিক্ষা ক্যাডার থেকে আসেনি এটি শিক্ষা নিয়ে আমরা যারা চিন্তা করি ও লেখালেখি করি তারা বার বলে আসছি। দেশের শিক্ষাবিষয়ক একমাত্র ডিজিটাল পত্রিকা দৈনিক শিক্ষাডটকম এবং আমাদের বার্তা বিষয়টি বারবার তুলে ধরছে। তবে, আলাদা প্রাথমিক শিক্ষা ক্যাডার না করে শিক্ষা ক্যাডার বা বর্তমান কমিশন যেটি প্রস্তাব করছে ‘শিক্ষা সার্ভিস। যাইহোক না কেনো, এই সার্ভিস দ্বারা শিক্ষার সমস্ত স্তরকে কাভার করতে হবে। তাহলে শিক্ষা একটি সর্বজনীন ছাতার নিচে দাঁড়াতে পারবে, এটি একটি হলিস্টিক অ্যাপ্রোচ হবে। 

সেবা সার্ভিসের মেধাবী ও দক্ষ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সচিবালয়ে উপসচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পর্যন্ত পদগুলো নিয়ে একটি সুপিরিয়র এক্সিকিউটিভ সার্ভিস (এইএস) গঠনের সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশন। তবে সার্ভিসের বাইরে ৫ শতাংশ পদে সরকার বিশেষ যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিকে যুগ্ম সচিব বা সংস্থাপ্রধান পদে নিয়োগ দিতে পারবে। এ ছাড়া একজন মন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি মন্ত্রিসভা কমিটি অতিরিক্ত সচিবদের মধ্য থেকে বাছাই করে সচিব এবং সচিবদের মধ্য থেকে মুখ্য সচিব পদে পদোন্নতির প্রস্তাব করবে। বর্তমানে সরকারি কর্ম কমিশনের মাধ্যমে বিসিএসের ২৬টি ক্যাডারে নিয়োগ হয়। এখন ক্যাডার বাদ দিয়ে কাজের ধরন অনুযায়ী ১৩টি সার্ভিসে বিভক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি নিয়োগ ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে তিনটি পিএসসি করার সুপারিশ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের সংখ্যা ৪৩টি থেকে কমিয়ে ২৫টি করার সুপারিশ করেছে কমিশন। সংস্কার কমিশন আর একটি উল্লেখযোগ্য প্রস্তাবনা রেখেছে। স্কুল-কলেজ পরিচালনা কমিটিতে রাজনৈতিক ব্যক্তিরা সংশ্লিষ্ট থাকায় নানা রকম সমস্যা হয়। এ জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের পরিচালনা কমিটির দায়িত্ব দেয়ার পক্ষে মতো দিয়েছেন তারা। এটিও চমৎকার এবং যুগোপযোগী প্রস্তাব। তথাকথিত রাজনৈতিক নেতা কিংবা পাতি নেতারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটিতে থাকার কারণে শিক্ষার বারোটা বেজে গেছে। সেখান অর্থ ভাগাভাগি, ক্ষমতা প্রদর্শন ছাড়া আর কিছু হয় না। কাজেই এটি শক্তভাবে সুপারিশ করতে হবে এবং বাস্তবায়ন করতে হবে শিক্ষার বৃহত্তর স্বার্থে।

লেখক: ক্যাডেট কলেজের সাবেক শিক্ষক

জনপ্রিয়