ঢাকা রোববার, ০৯ মার্চ ২০২৫ , ২৪ ফাল্গুন ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

অগণিত পিএইচডি চাই না

মতামত

মাছুম বিল্লাহ, আমাদের বার্তা

প্রকাশিত: ০৮:৩০, ৯ মার্চ ২০২৫

আপডেট: ১৪:২৭, ৯ মার্চ ২০২৫

সর্বশেষ

অগণিত পিএইচডি চাই না

উপদেষ্টা পরিষদের এক বৈঠকের পর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, দেশে বিভিন্ন খাতে যে সংকট চলছে তা উত্তরণে টাস্কফোর্স বিভিন্ন সুপারিশ দিয়েছে। শিক্ষাখাতে সংকট থেকে উত্তরণে ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সুপারিশ করেছে টাস্কফোর্স। উল্লেখযোগ্য সুপারিশের মধ্যে রয়েছে জাতীয় শিক্ষানীতির আলোকে বিভিন্ন পদ্ধতির শিক্ষাব্যবস্থা একীভূত করে একটি সমন্বিত শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে। ‘নো পিএইচডি, নো প্রফেসর’ নীতি বাস্তবায়ন করতে হবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত উন্নত করতে হবে। সব বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও বিনিময় জোরদার করতে হবে।

গত দুই বছর ধরে দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন শিল্প ও বাণিজ্য গ্রুপের মালিকানাধীন একাধিক বাংলা দৈনিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে পিএইচডি ডিগ্রি দেয়ার ক্ষমতার পক্ষে দূতিয়ালি করছে। পতিত আওয়ামী লীগের শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এর প্রধান উদ্যোক্তা। এই বিষয়ে মহিবুল হাসান নওফেলও দীপুমনির ধারাবাহিকতা রক্ষা করেছেন। কিন্তু অবাক করা বিষয়, অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েও কতিপয় পত্রিকা একই এজেন্ডা বাস্তবায়নে তৎপর।

গত সপ্তাহে ঢাকায় ‘উচ্চশিক্ষায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা, বর্তমান অবস্থা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল আয়োজন করে একটি বাংলা দৈনিক। যদিও সরকারের কোনো উপদেষ্টা কিংবা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্তা সেখানে ছিলেন না। প্রাইভেট উদ্যোগে আয়োজিত বৈঠকে সম্মানিত অতিধি ছিলেন বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির চেয়ারম্যান ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান। তিনি বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সুযোগ দিতে হবে। সুস্থ প্রতিযোগিতার পরিবেশ দিতে হবে।

চাকরির বাজারে তারা কীভাবে ভূমিকা রাখছে, তা দেখতে হবে। পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু করার আলোচনায় অংশ নেয়া বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের বক্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করেন সবুর খান। পিএইচডি পলিসি হয়ে গেছে, কিন্তু জারি করা হচ্ছে না--এই তথ্য জানিয়ে তিনি পিএইচডি প্রোগ্রাম চালুর ক্ষেত্রে দু-একজন বা দু-একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অসংগতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দু-একজনকে দিয়ে পুরো জাতিকে বিবেচনা করা ঠিক নয়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসম্মত শিক্ষক পাওয়া অত্যন্ত কঠিন। যারা বিদেশে পিএইচডি করছেন তারা দেশে আসতে চান না। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করার সুযোগ আছে। বেসরকারিতেও থাকা উচিত।

শিক্ষক উৎপাদনের উদ্যোগ নিতে হবে বলে বক্তাদের মধ্যে কেউ কেউ মতপ্রকাশ করেন। আবার কেউ কেউ পিএইচডি নিয়ে ব্যাড উদাহরণের কথাও বলেন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি প্রোগ্রাম না থাকলেও গবেষণার সুযোগ রয়েছে। কোন বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণায় কতো বিনিয়োগ করছে সেটা দেখা উচিত। কোনো কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচারার দিয়ে ফোর্থ ইয়ারে ক্লাস নেয়ার কারণ টিচার নেই। তাই পিএইচডি প্রোগ্রাম দ্রুততম সময়ে চালুর জন্য সরকারের নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তা, উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও জেষ্ঠ শিক্ষকেরা। রাজধানীর বনশ্রীতে গোলটেবিল বৈঠকে তারা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পরিস্থিতি নিয়ে নিজেদের পর্যবেক্ষণ ও মতামত তুলে ধরেন।

অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান শামসুল আলম লিটন বলেন, আমরা বিভিন্ন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় দখল দেখেছি। ভবিষ্যতে আমরা যেনো রাজনৈতিক চাপে না পড়ি। তিনি বলেন, আমরা পুলিশ ও প্রশাসনে পিএইচডির উৎপাত দেখি। এতো পিএইচডি দিয়ে আমরা কী করবো?

কিছু সাংবাদিক কর্তৃক আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে যেসব বিষয় আলোচনা হয়েছে তার মধ্যে জনৈক আলোচকের এই বক্তব্যটি ‘এতো পিএইচডি দিয়ে আমরা কী করবো?’ অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতে হলে একজন শিক্ষকের উচ্চতর ডিগ্রি, ভালো মানের ফল, সৃজনশীলতা ও গবেষণার দক্ষতা থাকা বাঞ্ছনীয়। তবে, উচ্চতর ডিগ্রি থাকলেই যে একজন ভালো এবং কার্যকরী গবেষণা করতে পারবেন, ভালো পড়াতে পারবেন এবং সৃজনশীল হবেন তেমন উদাহরণ সাধারণত দেখা যাচ্ছে না। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম যে অর্থে বলেছেন, ‘নো পিএইচডি, নো প্রফেসর’ তার একটি গুরুত্ব আছে। উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উচ্চতর ডিগ্রি না নিয়ে শিক্ষকতার শেষ ধাপে পৌঁছানো ঠিক নয়। তবে তার কিছু ক্রাইটেরিয়া থাকতে হয়। এই অর্থে এটি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এর সঙ্গে এবং বিপরীতে কথা হচ্ছে, এই তথাকথিত পিএইচডি দিয়ে অনেক শিক্ষক প্রমোশনসহ বহু পদ বাগিয়ে নিয়েছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, তারা কীভাবে পিএইচডি ডিগ্রি নিয়েছেন। বহু ভুয়া পিএইচডি এখন সর্বত্র বিরাজ করছে। যারা লেখা জমা দিয়ে পিএইচডি করেছেন তাদের দিকে খেয়াল করলে দেখা যায়, বিভিন্ন জায়গা থেকে লেখা চুরি করে কয়েক পৃষ্ঠা জমা দিয়ে এই ডিগ্রি নিয়েছেন। গবেষণার ধারে কাছেও নেই। কোথায় কী নিয়ে গবেষণা করেছেন তার খবর নেই। তার কোনো প্রভাব নেই, কোনো প্রয়োগ নেই, শুধু একটি সার্টিফিকেট নিয়ে এসেছেন। এ জাতীয় পিএইচডিতেই ভরপুর অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ফলে শিক্ষায় আসেনি কোনো পরিবর্তন, বৃদ্ধি পায়নি কোনো মান।

শিক্ষার মান বৃদ্ধি শুধু সরকারের হাতে নয়, শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠানের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। শুধু কি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান? বহু সেক্টরে দেখা যায় ভুরি ভুরি পিএইচডি ডিগ্রিধারী লোক। বহু পুলিশ বিশেষ করে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে পিএইচডি ডিগ্রি নিয়েছেন। তাদের পিএইচডির কী দরকার? যেহেতু সস্তায় পাওয়া যায়, বিনা গবেষণায় পাওয়া যায় অতএব তারা নেবে না কেনো, তাদের গায়ে তো শক্তি আছে?

এই জাতীয় পিএইচডি ডিগ্রি দিয়ে ব্যক্তি, সমাজ, প্রতিষ্ঠান ও দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আর এ জাতীয় পিএইচডির মান তথাকথিত জিপিএ-৫ এর মতো হচ্ছে। জিপিএ-৫ এখন সর্বত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু বিষয়ের জ্ঞান নেই, ভাষার জ্ঞান নেই, সৃজনশীলতা নেই, কোনো স্কিল নেই, শুধু জিপিএ-৫। একইভাগে পিএইচডির অবস্থাও ইতোমধ্যে অনেকটাই তাই হয়েছে। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে এটি হতে দেয়া যায় না। একজন শিক্ষককে প্রকৃত গবেষক হতে হবে, শিক্ষা ও সমাজে দৃশ্যমান অবদান রাখতে হবে, তার রেকর্ডই হবে তার সার্টিফিকেট। কোনো কিছু না করে বা অন্যের লেখা চুরি করে কিছু কাগজ জমা দিয়ে কাগুজে পিএইচডিধারীরা শিক্ষার বারোটা বাজাচ্ছেন, আরো বাজাবেন। কাজেই এই বিষয়টিকে কোনোভাবেই উৎসাহিত করা যাবে না।

উন্নত বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা পিএইচডি করেন তারা দিনরাত পরিশ্রম করেন, বিশ্বের বিভিন্নপ্রান্তে ঘুরে ঘুরে ডাটা সংগ্রহ করেন, প্রচুর পরিশ্রম করেন, প্রচুর বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করেন, অত্যন্ত শক্তিশালী ডিফেন্স বোর্ড ফেস করার পর একটি পিএইচডি অর্জন করেন। এই ধরনের পিএইচডির প্রকৃত মূল্য রয়েছে। আমরা সে ধরনের পিএইডি ডিগ্রীধারীদের সাধারণত পাই না। আর এ ধরনের পিএইচডি ডিগ্রীধারীরা আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে এখানকার রাজনীতির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারেন না। ফলে তারা দেশে আসেন না। আমাদের দেশে দেখা যায় বিভিন্ন ধরনের চাকরি করছেন, সঙ্গে পিএইচডিও করছেন। পিএইচডি মানে ফাঁকে ফাঁকে কিছু লিখে জমা দেয়া। আর তাই দেখা যায় বহু লোক তাই করছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে মোট বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৭০। এর মধ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ৫৫টি আর বেসরকারি ১১৫টি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অর্ধেকেরও বেশি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরে। ইউজিসির তথ্য অনুযায়ী এ দেড় দশকে মোট বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ৮৭টি। এর মধ্যে ২৬টি পাবলিক ও ৬১টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে নতুন করে আরো ১০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিলো।

এভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যংখা দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় উচ্চশিক্ষিত বেকারের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, দেশে ছয় বছরের ব্যবধানে উচ্চশিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। শ্রমশক্তি জরিপ ২০২৩-এ উঠে আসা এ তথ্য অনুযায়ী দেশে উচ্চশিক্ষিত অর্থাৎ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী বেকারের সংখ্যা ৯ লাখ ৬ হাজার।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষায় আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, আমরা গুণগত মান নিশ্চিত করতে পারছি না। ইন্ডাস্ট্রির চাহিদা অনুযায়ী তা পরিপূর্ণ হচ্ছে না। সংখ্যার বাইরে গিয়ে এখন গুণগত মানে ফোকাস করা দকরার। দেশের শ্রম বাজারের চাহিদা বা শিক্ষার মানের পরিবর্তে রাজনৈতিক বিবেচনা প্রাধ্যান্য পেয়েছিলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায়। আমাদের এই বিষয়টিতে বেশি জোর দিতে হবে, বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

সবচেয়ে বড় যে বিষয়টিতে আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে সেটি হলো-প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাকে প্রকৃত মানসম্মত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া এবং আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন করা। নিচের এই স্তরগুলো যদি সঠিকভাবে দাঁড়াতে পারে, এই স্তরগুলো যদি বিশৃঙ্খল থাকে তাহলে উচ্চশিক্ষা সঠিকভাবে দাঁড়াতে পারবে না। আর পারছেও না। তাই, গোলটেবিল বৈঠকে অনেকেই বলেছেন তারা মানসম্পন্ন শিক্ষার্থী পাচ্ছেন না। পাওয়ার তো কথাও নয়। গোড়া শক্তিশালী না হলে কোনো কিছুর মাথা শক্তিশালী হয় না। আমাদের নিচের স্তরের শিক্ষার অবস্থা নাজুক। এটি নিয়ে শিক্ষিত কিংবা উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে তেমন কার্যকর কোনো আলোচনা দেখা যায় না। তারা শুধু বলেন, মানসম্পন্ন শিক্ষার্থী নেই। মানসম্পন্ন শিক্ষক নেই, তাই তারা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ডিগ্রি চালুর জোর দাবি জানিয়েছেন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পিএইচডি ডিগ্রি দেয়া শুরু করলেই দেশে এবং উচ্চশিক্ষার মান বেড়ে যাবে? এটি চিন্তার বিষয়।

এটি সত্যি কথা, দেশে উচ্চশিক্ষার অগ্রযাত্রায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বড় অবদান রাখছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো বাদ দিলে উচ্চশিক্ষা পর্যায়ের প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থী এখন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনা করছেন। এটিও সত্য যে, বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন কিন্তু অধিকাংশের অবস্থা নাজুক। এখন যদি কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়কে পিএইচডি ডিগ্রি দেয়ার অনুমতি দেয়া হয়, তাহলে দেখা যাবে, যাদের নাজুক অবস্থা তারা আদালতে রিট করে বসবেন। তারাও সেই অধিকার চাইবেন এবং একপর্যায়ে সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এই সার্টিফিকেট বিক্রির খেলায় মেতে উঠবে। সেটি কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে সেই বিষয়টিও এর সঙ্গে চিন্তা করতে হবে।

পিএইচডি ডিগ্রিকে আমরা কোনোভাবেই লাখ লাখ ‘স্টার’ শিক্ষার্থীর হাতে দেখতে চাই না। একইভাবে জিপিএ-৫ এর চরম নিম্নগামিতা ফেরাতে হবে।

লেখক: ক্যাডেট কলেজের সাবেক শিক্ষক

 

জনপ্রিয়