ঢাকা সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫ , ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

কোরআন তিলাওয়াতের পুরস্কার

মতামত

মাওলানা শামসুল আরেফীন, আমাদের বার্তা

প্রকাশিত: ১৭:৩৬, ১০ মার্চ ২০২৫

সর্বশেষ

কোরআন তিলাওয়াতের পুরস্কার

নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে কোরআন মাজিদ তিলাওয়াত করতেন। হাদিস ও সিরাতের কিতাবে এর বিশদ বিবরণ পাওয়া যায়। নামাজে, নামাজের বাইরে, রাতের আঁধারে, দিনের আলোতে সর্বাবস্থায় তিনি কোরআন তিলাওয়াত করতেন। উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) বলেন, নামাজে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নবীজি এত দীর্ঘ সময় তিলাওয়াত করতেন যে, তাঁর পা মোবারক ফুলে যেত। (মুসলিম শরিফ, হাদিস নং ২৮২০)

এছাড়া রমজান মাসে হজরত জিবরাইলকে নবীজি (সা.) পূর্ণ কোরআন শোনাতেন এবং জিবরাইল (আ.) থেকেও পূর্ণ কোরআন শুনতেন। (বুখারি শরিফ, হাদিস নং ৬)

রাসুল (সা.) যেভাবে নিজে কোরআন  তিলাওয়াত করতেন তেমনি সাহাবিদের থেকেও কোরআন  তিলাওয়াত শুনতেন। একবার নবী কারিম (সা.) আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদকে বললেন, তুমি আমাকে একটু তিলাওয়াত করে শোনাও তো! আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি আপনাকে তিলাওয়াত করে শোনাব! আপনার ওপরই তো কোরআন নাজিল হয়েছে! প্রিয় নবী বললেন, আমার মনে চাচ্ছে, কারো থেকে একটু তিলাওয়াত শুনি! এ শুনে আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) সুরা নিসা তিলাওয়াত করতে শুরু করলেন। পড়তে পড়তে যখন এ আয়াত পর্যন্ত এলেন— সুতরাং (তারা ভেবে দেখুক) সেই দিন (তাদের অবস্থা) কেমন হবে, যখন আমি প্রত্যেক উম্মত থেকে একজন সাক্ষী উপস্থিত করব এবং (হে নবী), আমি আপনাকে ওইসব লোকের বিরুদ্ধে সাক্ষীরূপে উপস্থিত করব। (সুরা নিসা, আয়াত নং ৪১)

আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি কোরআনের একটি হরফ পড়ল তার জন্য রয়েছে একটি নেকি। আর একটি নেকি দশ নেকির সমতুল্য। নবীজি বলেন, আমি বলছি না যে, আলিফ লাম মীম একটি হরফ। বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ এবং মীম একটি হরফ। (তিরমিজি শরিফ, হাদিস নং ২৯১০)

কোরআন শরিফ আমাদের ঘরের বুক সেলফের এক কোণে মলাটবদ্ধ হয়ে পড়ে থাকে। তা খুলে দেখার সময় আমাদের হয়ে ওঠে না। অথচ কোরআনের হক হচ্ছে তা পাঠ করা। প্রিয় নবী (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি ইহকালীন জীবনে কোরআনে কারিমকে নিজের সঙ্গী বানাবে কিয়ামতের দিন কোরআন তাকে ভুলবে না। কিয়ামতের সেই বিভীষিকাময় মুহূর্তে কোরআন তাকে সঙ্গ দেবে এবং তার জন্য সুপারিশ করবে।

আবু উমামা বাহেলি (রা.) থেকে বর্ণিত,  রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, তোমরা কোরআন পড়। কেননা কিয়ামতের দিন কোরআন তার ‘ছাহিবের’ জন্য সুপারিশ করবে। (মুসলিম শরিফ, হাদিস নং ৮০৪) সুতরাং কিয়ামতের দিন সুপারিশ পাওয়ার জন্য  বেশি পরিমাণে কোরআন পড়ার বিকল্প নেই।

হাদিসের ভাষায় কোরআন তিলাওয়াতকারীকে আল্লাহ তায়ালার পরিবার-পরিজন বলে অভিহিত করা হয়েছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, কতক লোক আল্লাহর পরিবার-পরিজন। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! তারা কারা? তিনি বললেন, কোরআন তিলাওয়াতকারীরাই আল্লাহর পরিবার-পরিজন এবং তার বিশেষ বান্দা। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ২১৫)

 

লেখক : শিক্ষক ও প্রাবন্ধিক

 

জনপ্রিয়