ঢাকা শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫ , ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

ভোক্তা অধিকার দিবসের যৌক্তিকতা কী

মতামত

শুভাশিস ব্যানার্জি শুভ, আমাদের বার্তা

প্রকাশিত: ০৮:৩০, ১৫ মার্চ ২০২৫

সর্বশেষ

ভোক্তা অধিকার দিবসের যৌক্তিকতা কী

ভোক্তা হচ্ছেন এমন কোনো ব্যক্তি যিনি পুনঃবিক্রয় ও বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য ব্যতীত মূল্য পরিশোধে বা মূল্য পরিশোধের প্রতিশ্রম্নতিতে কোনো পণ্য ক্রয় করেন, আংশিক পরিশোধিত ও আংশিক প্রতিশ্রম্নত মূল্যের বিনিময়ে কোনো পণ্য ক্রয় করেন, প্রলম্বিত মেয়াদ বা কিস্তির ব্যবস্থায় মূল্য পরিশোধের প্রতিশ্রম্নতিতে কোনো পণ্য ক্রয় করেন, ক্রেতার সম্মতিতে ক্রীত পণ্য ব্যবহার করেন, পণ্য ক্রয় করে তা আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে স্বীয় জীবিকা অর্জনের উদ্দেশে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করেন, মূল্য পরিশোধে বা মূল্য পরিশোধের প্রতিশ্রম্নতিতে কোনো সেবা ভাড়া বা অন্যভাবে গ্রহণ করেন, আংশিক পরিশোধিত ও আংশিক প্রতিশ্রম্নত মূল্যের বিনিময়ে কোনো সেবা ভাড়া বা অন্যভাবে গ্রহণ করেন, প্রলম্বিত মেয়াদ বা কিস্তি ব্যবস্থায় মূল্য পরিশোধের বিনিময়ে কোনো সেবা ভাড়া বা অন্যভাবে গ্রহণ করেন এবং যিনি সেবা গ্রহণকারীর সম্মতিতে কোনো সেবার সুবিধা ভোগ করেন।

১৫ মার্চ। বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে দিবসটি অতীতেও পালিত হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে। ১৯৬২ খিষ্টাব্দের ১৫ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি মার্কিন কংগ্রেসে ভোক্তাদের অধিকার নিয়ে বক্তব্য দেন। এর স্মরণে ১৯৮৩ খিষ্টাব্দ থেকে প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালন হয়ে আসছে। ১৯৮৫ খিষ্টাব্দে জাতিসংঘ ভোক্তা অধিকার রক্ষার নীতিমালায় কেনেডি বর্ণিত চারটি মৌলিক অধিকারকে বিস্তৃত করে অতিরিক্ত আরো আটটি মৌলিক অধিকার সংযুক্ত করে।

কনজুমার্স ইন্টারন্যাশনাল (সিআই) ভোক্তাদের বৈশ্বিক সংগঠন হিসেবে পরিচিত একটি অলাভজনক সংস্থা। ভোক্তাদের অধিকার সম্বন্ধে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা সৃষ্টিতে এটি কাজ করে যাচ্ছে। ইংল্যান্ডের লন্ডন থেকে এ সংগঠনটি পরিচালিত হয়। ১ এপ্রিল, ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দে কনজুমার্স ইন্টারন্যাশনাল প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে ১১৫টি দেশের ২২০টিরও অধিক সংস্থা এর সদস্য। প্রায় দু্ই-তৃতীয়াংশ সদস্যই উন্নয়নশীল দেশের, বাকী এক-তৃতীয়াংশ সদস্য শিল্পোন্নত দেশের। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভোক্তাদের আন্দোলন ও ভোক্তাদের নিরাপত্তা প্রদানে সংস্থাটি সহযোগিতা করে যাচ্ছে।

ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে: ক. কোনো আইন বা বিধির অধীন নির্ধারিত মূল্য অপেক্ষা অধিক মূল্যে কোনো পণ্য, ঔষধ বা সেবা বিক্রয় করা বা করতে প্রস্তাব করা খ. জ্ঞাতসারে ভেজাল মিশ্রিত পণ্য বা ঔষধ বিক্রয় করা বা করতে প্রস্তাব করা গ. মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিকারক কোনো দ্রব্য, কোনো খাদ্যপণ্যের সঙ্গে যার মিশ্রণ কোনো আইন বা বিধির অধীন নিষিদ্ধ করা হয়েছে, উক্তরূপ দ্রব্য মিশ্রিত কোনো পণ্য বিক্রয় করা বা করতে প্রস্তাব করা ঘ. কোনো পণ্য বা সেবা বিক্রয়ের উদ্দেশে অসত্য বা মিথ্যা বিজ্ঞাপন দ্বারা ক্রেতা সাধারণকে প্রতারিত করা।

ঙ. প্রদত্ত মূল্যের বিনিময়ে প্রতিশ্রম্নত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করা চ. কোনো পণ্য সরবরাহ বা বিক্রয়ের সময় ভোক্তাকে প্রতিশ্রম্নত ওজন অপেক্ষা কম ওজনের পণ্য বিক্রয় বা সরবরাহ করা ছ. কোনো পণ্য বিক্রয় বা সরবরাহের উদ্দেশে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে ওজন পরিমাপের কার্যে ব্যবহৃত বাটখারা বা ওজন পরিমাপক যন্ত্র প্রকৃত ওজন অপেক্ষা অতিরিক্ত ওজন প্রদর্শনকারী হওয়া জ. কোনো পণ্য বিক্রয় বা সরবরাহের ক্ষেত্রে প্রতিশ্রম্নত পরিমাপ অপেক্ষা কম পরিমাপের পণ্য বিক্রয় বা সরবরাহ করা ঝ. কোনো পণ্য বিক্রয় বা সরবরাহের উদ্দেশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দৈর্ঘ্য পরিমাপের কার্যে ব্যবহৃত পরিমাপক ফিতা বা অন্য কিছু প্রকৃত দৈর্ঘ্য অপেক্ষা অধিক দৈর্ঘ্য প্রদর্শনকারী হওয়া। ঞ. কোনো নকল পণ্য বা ঔষধ প্রস্তুত বা উৎপাদন করা, ট. মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বা ঔষধ বিক্রয় করা বা করতে প্রস্তাব করা এবং সেবা গ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্ন হতে পারে এমন কোনো কাজ করা, যা কোনো আইন বা বিধির অধীন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বাংলাদেশে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ, ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কার্য প্রতিরোধ ও তৎসংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে বিধান করার লক্ষ্যে আইন প্রণীত হয়েছে। কোনো ব্যক্তি কোনো আইন বা বিধি দ্বারা কোনো পণ্য মোড়কাবদ্ধভাবে বিক্রয় করার এবং মোড়কের গায়ে সংশ্লিষ্ট পণ্যের ওজন, পরিমাণ, উপাদান, ব্যবহারবিধি, সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য, উৎপাদনের তারিখ, প্যাকেটজাতকরণের তারিখ এবং মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ স্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ করার বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন করলে তিনি অনূর্ধ্ব এক বছর কারাদণ্ড বা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি ভোক্তাদের অসুবিধার কথা স্বীকার করে বলেছেন, ভোক্তারা নানাভাবে প্রতারিত হচ্ছে। অসাধুরা ভোক্তাকে ঠকাচ্ছেন। সিন্ডিকেট করে বাড়তি দরে পণ্য বিক্রি করছেন। সেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রেও নানান ধরনের ভোগান্তিতে ফেলছে। পরিবহণ ভাড়া থেকে শুরু করে ঘর ভাড়ার ক্ষেত্রেও ভোক্তারা প্রতারিত হচ্ছেন। তাই এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নজরদারি বাড়াতে হবে। তিনি বলেছেন, সরকার ভোক্তাদের সুরক্ষা দেয়ার জন্য যে আইন করেছে, সে ব্যাপারে ভোক্তাদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে।

এদিকে ভোক্তারা প্রতারিত হলে প্রতিকারের জন্য রয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর। তাদের কাছে অভিযোগ করলে প্রমাণসাপেক্ষে তারা ব্যবস্থা নেয়। ক্রেতাকে অনেক সময় পণ্য কেনার বিপরীতে রসিদ দেওয়া হয় না। ফলে অভিযোগ করা যেমন জটিল, তেমনি প্রমাণ করাও কঠিন হয়ে পড়ে। এসব কারণে অনেকেই প্রতারণার ঘটনা নিয়ে অভিযোগ করতে যাচ্ছেন না। আর যারা যাচ্ছেন তাদের এই সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে ভোক্তা আইনের পর ২০১৩-১৪ অর্থবছর অধিদপ্তরে ১৭৯টি অভিযোগ জমা হয়। এরপর থেকে ভোক্তাদের অভিযোগ বাড়তেই থাকে। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে অভিযোগ বেড়ে দাঁড়ায় ১৪ হাজার ৯১০টি। এছাড়া ২০২১-২০২২ অর্থবছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অভিযোগ জমা পড়ে আরও ৮২৪০টি। যা প্রকৃত ঘটনার তুলনায় একেবারেই নগণ্য।

বাস্তব পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে দেখা যাচ্ছে, এমন কোনো পণ্য নেই যা কিনে ঠকতে হচ্ছে না। চাল থেকে শুরু করে ডালসহ সব ধরনরে নিত্যপণ্য কিনতে ঠকতে হচ্ছে। কখনো ওজনে কারচুপি আবার কখনো দামে বেশি রাখা। পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সেবা কিনতে গেলেও প্রতিনিয়ত ঠকতে হচ্ছে। জীবনরক্ষকারী ওষুধ কিনেও ঠকছি। আমাদের দেশে সব ভোক্তাই ঠকছেন, যা কাম্য নয়। এজন্য আইন বাস্তবায়নে নানান ধরনের উদ্যোগও রয়েছে। কিন্তু বাস্তবায়ন কী হচ্ছে তা সবাই দেখছে। যে কারণে আমরা ভোক্তা ভালো নেই। এ থেকে আমাদের উদ্ধার করবে কে?

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের গুণগত মান তদারকিতে ও ভোক্তার স্বার্থ সংরক্ষণে সরকারের আরও কয়েকটি সংস্থা কাজ করছে। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসইটিআই), নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর, স্থানীয় প্রশাসনসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থা। এসব সংস্থা শহরকেন্দ্রিক কার্যক্রম চালাচ্ছে। গ্রামে যাচ্ছে কম। এদের কোনোটির গ্রাম পর্যায়ে শাখা অফিস নেই। জেলা পর্যায়ের অফিস থেকেই গ্রামের বাজারে পণ্যের মান তদারকি করা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গ্রামের হাটবাজারে কম অভিযান পরিচালিত হয়। ফলে গ্রামে ভোক্তারা আরো বেশি ঠকছেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ন্যাশনাল ফুড সেফটি ল্যাবরেটরির গবেষণায় গরুর দুধ, দইয়ের মধ্যে বিপজ্জনক মাত্রায় অণুজীব, অ্যান্টিবায়োটিক, কীটনাশক এবং সিসা পাওয়া যায়। জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরীক্ষাগারে বাজারের বিভিন্ন কোম্পানির তরল দুধের নমুনা পরীক্ষা করে এতে অ্যালড্রিনের উপস্থিতি পাওয়া যায়। আর কনডেন্সড মিল্কে পাওয়া যায় পাম তেলসহ বিভিন্ন রাসায়নিক। পরীক্ষায় ধরা পড়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা স্যাকারিন, আটা-ময়দাসহ বিভিন্ন উপাদান মিশিয়ে তৈরি করে ভেজাল গুঁড়োদুধ। এমনকি রং ও রাসায়নিক মিশিয়ে বাজারজাত করা হচ্ছে চালও। বাজারে বিক্রি হওয়া সরিষার তেলেও অসাধু ব্যবসায়ীরা রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে কৃত্রিম ঝাঁজ তৈরি করছেন। চিনিতেও দেদার ভেজাল মেশানো হচ্ছে। ঘনচিনির নামে এখন মানুষকে খাওয়ানো হচ্ছে বিষাক্ত রাসায়নিক ম্যাগনেসিয়াম সালফেট, সাইট্রিক অ্যাসিড, সোডিয়াম সাইট্রেটের মতো ক্ষতিকর উপাদান। শিশুখাদ্যের বিক্রি ভালো হওয়ায় ভেজাল মেশানো হচ্ছে আইসক্রিমেও। পাশাপাশি ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে প্যারাসিটামল সিরাপ পান করে অন্তত ২৮ শিশুর মৃত্যু হয়। একই ঘটনা আবারও ঘটেছে। নাপা সিরাপ খেয়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে কুমিল্লায়।

কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) তথ্যমতে, বাজারের ৪৫ ভাগ প্রসাধনী পণ্যের বিএসটিআইর সনদ নেই। আর ৭৫ ভাগ প্রসাধনীর উৎপাদন প্রতিষ্ঠানের কোনো ঠিকানা নেই। তারা দেশি-বিদেশি মোড়কে বিভিন্ন ধরনের ক্রিম, লোশন, বিউটি সোপ, ফেস ওয়াশ, শ্যাম্পুসহ হরেকরকম প্রসাধনী উৎপাদন করে তা ব্যাপকভাবে বাজারজাত করে চলেছে।

দেশে এমন প্রেক্ষাপটে দিবসটি পালন হচ্ছে, যখন বাড়তি দরে পণ্য কিনতে বাধ্য হচ্ছেন ক্রেতারা। সেবার মান নিয়ে অসন্তুষ্টি রয়েছে অনেক ভোক্তার। অভিযোগ রয়েছে, মজুদ করে দাম বৃদ্ধির পায়তারায় ব্যস্ত ব্যবসায়ীরা। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর বলছে, আইনের সংস্কার ছাড়া অধিকার সম্পূর্ণ নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। মূলত, নিম্নমানের পণ্য দেয়া, মজুত করে দাম বৃদ্ধির পয়তারায় ব্যস্ত এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। এতে ক্ষোভ বাড়ছে ক্রেতা সাধারণের, হচ্ছেন হতাশ। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে আসা ক্রেতারা বলছেন, ‘আমাদের মতো সাধারণ মানুষের বাজার করে খাওয়ার উপায় নেই। ক্ষোভ আছে কিন্তু প্রকাশ করতে পারছি না। প্রতিটি পণ্যের দাম যদি উর্দ্ধমূখী হয়, কিন্তু সে অনুযায়ী আয় না থাকে, তাহলে তো আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলানো যাবে না।’

করোনা-পরবর্তীকালে চাহিদা বৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়া, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও আসন্ন ঈদুল ফিতরের অজুহাতে বাজারে সব ধরনের পণ্যের দাম হু-হু করে বাড়ছে। ভোজ্যতেল থেকে শুরু করে চাল, ডাল, মাছ-মাংস, সবজি সব ধরনের পণ্য বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে। পরিস্থিতি এমন বাজারে পণ্য থাকলেও কিনতে হচ্ছে বাড়তি দরে। চাল, ডাল, পেঁয়াজের পর ভোজ্যতেল নিয়ে কারসাজি চলছে। ভোক্তার কিনতে হচ্ছে প্রতিলিটার সর্বোচ্চ ২০০ টাকা দরে। ফলে ক্রেতার নাভিশ্বাস বাড়ছে। সঙ্গে ব্যয় বেড়েছে-বাসা ভাড়া, পরিবহন খরচ, পানি-বিদ্যুৎ বিল ও গ্যাস বিল। সব মিলে চাপে পড়েছে ভোক্তা। ভোক্তাদের এই চাপ সহসা কমার কোন সম্ভবনা নেই। রূঢ় বাস্তবতা হচ্ছে, আমরা অতীতে ঠকেছি, বর্তমানে ঠকছি এবং অবধারিতভাবে ঠকার এই ধারা চলমান থাকবে! এমন বাস্তবতায় ভোক্তা অধিকার দিবস পালন করার যৌতিকতা কি আদৌ আছে?

লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক

 

জনপ্রিয়