ঢাকা বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫ , ১৮ চৈত্র ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

জাতিসংঘ মহাসচিবের সফর ও রোহিঙ্গা সংকট

মতামত

ব্রি. জে. হাসান মো. শামসুদ্দীন (অব.), আমাদের বার্তা

প্রকাশিত: ০৮:৩০, ২৮ মার্চ ২০২৫

সর্বশেষ

জাতিসংঘ মহাসচিবের সফর ও রোহিঙ্গা সংকট

জাতিসংঘ মহাসচিব বাংলাদেশ সফরের সময় রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মতবিনিময় ও ইফতার করেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের পরিদর্শন এমন একটা সময়ে হলো যখন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যকে আরাকান আর্মি প্রায় তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।

বাংলাদেশে আবার নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করছে ও রোহিঙ্গাদের ত্রাণ সহায়তা অর্ধেকের বেশি কমে যাওয়ার ঘোষণা এসেছে। জাতিসংঘের মহাসচিবের সফর রোহিঙ্গা সমস্যাকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পরিচিতি দিয়েছে। এই সফরে তিনি আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

সরেজমিনে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পর মহাসচিব সংকট সমাধানে তার গুরুত্বপূর্ণ মতামত ও দিকনির্দেশনা সম্পর্কে অবহিত করেন। রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রত্যাবর্তন এবং তাদের অধিকার সম্পূর্ণরূপে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য আরাকান আর্মির সঙ্গে সংলাপে বসা জরুরি এবং মিয়ানমারে সংঘাত বন্ধ ও পুনরায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং মিয়ানমারের সব প্রতিবেশী দেশের চাপ বৃদ্ধি করা আবশ্যক বলে জাতিসংঘ মহাসচিব মনে করে। জাতিসংঘের মহাসচিব রোহিঙ্গাদের জন্য খাদ্য সহায়তা কমানোকে একটি ‘অপরাধ’ বলে বিবেচনা করে তিনি এই সহায়তা বাড়াতে কাজ করার জোরালো আশ্বাস দেন।

রোহিঙ্গা সংকট শুধুমাত্র বাংলাদেশের জন্য নয়, বরং সমগ্র আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং মিয়ানমারের প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সবাইকে একত্রে এই সংকটের সমাধানের জন্য কাজ করতে হবে। এজন্য প্রথমে মিয়ানমারের চলমান সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক সমাধানের পথ সুগম করতে একটি কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন সহজ করতে উপযুক্ত পরিবেশ তৈরির জন্য মিয়ানমারের ভেতরে মানবিক সহায়তা জোরদার করতে হবে। তার এই পরিদর্শনের পর রোহিঙ্গাদের ভেতরে মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে অনেকদিন পর নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে বলে অনেকে মনে করে।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর রোহিঙ্গা সমস্যাকে গুরুত্ব দিয়ে এর সমাধানের জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়। প্রধান উপদেষ্টা রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের জন্য একজন উপদেষ্টা পদমর্যাদার রোহিঙ্গা সমস্যা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলি–সংক্রান্ত হাইরিপ্রেজেন্টেটিভ নিয়োগ দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে রোহিঙ্গা সমস্যার মোকাবিলার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়েছে এবং রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তৎপরতা বেড়েছে। রোহিঙ্গা সমস্যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরতে, এই সমস্যা সমাধানে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের কাজ চলছে। এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ এই গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাকে বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে জানান দিতে পারবে।

অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান অধ্যাপক ইউনূস রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের লক্ষ্যে, রোহিঙ্গারা যাতে সম্মানের সঙ্গে মিয়ানমারে ফিরে যেতে পারে এবং বাংলাদেশে অবস্থানকালীন তাদের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য ও মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করার বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের সহযোগিতা চান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের দুর্দশার প্রতি আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, রোহিঙ্গারা কতোটা কষ্ট পাচ্ছে এবং তাদের মধ্যে একটা হতাশার অনুভূতি রয়েছে সে সম্পর্কে বিশ্বকে জানতে হবে। জাতিসংঘ মহাসচিব জানান, তিনি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন এবং তাদের জন্য সহায়তা সংগ্রহকে অগ্রাধিকার দেবেন।

ড. ইউনূস জাতিসংঘের রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী জুলি বিশপকে মুখ্য ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান। মালয়েশিয়া ও ফিনল্যান্ড যৌথভাবে এ সম্মেলনের সহযোগী হতে সম্মত হয়েছে। অধ্যাপক ইউনূস গৃহযুদ্ধবিধ্বস্ত রাখাইন রাজ্যে মানবিক সংকট লাঘব করতে এবং মিয়ানমারের থেকে নতুন করে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আগমন রোধে জাতিসংঘের বিশেষ দূতের সহায়তা কামনা করেন। বিশপ রোহিঙ্গা বিষয়ক জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সম্মেলনকে ব্যাপভাবে সফল করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে জানান, এই সম্মেলনটি দশকব্যাপী সংকটের টেকসই সমাধানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) তহবিলের তীব্র ঘাটতির কারণে এপ্রিল ২০২৫ থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের জন্য মাসিক খাবারের বরাদ্দ সাড়ে ১২ ডলার থেকে কমিয়ে জনপ্রতি ৬ ডলার করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশের ক্যাম্পগুলোতে থাকা রোহিঙ্গাদের ওপর তাৎক্ষণিকভাবে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশে বসবাসরত রোহিঙ্গারা পুরোপুরি মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল এতে পরিবারগুলো তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণে হিমশিম খাবে এবং ক্যাম্পে অস্থিরতা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ক্যাম্পগুলোতে উপার্জনের সুযোগ না থাকায় অনেক রোহিঙ্গারা কাজের খোঁজে ক্যাম্প থেকে বের হয়ে স্থানীয়দের জীবিকার উৎসগুলোর দিকে হাত বাড়াবে এতে স্থানীয়দের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের সংঘাত বেড়ে যাবে। অনেকে মাদক ও মানবপাচারে জড়িয়ে যাবে ও পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে।

রাখাইনের চলমান সংঘাতের কারণে নতুন করে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে এর ফলে ত্রাণ সহায়তার ওপর চাপ আরো বাড়ছে। ডব্লিউএফপি জানায়, রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তা ঠিক রাখতে এপ্রিল মাসে জরুরিভাবে ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০২৫ খ্রিষ্টাবব্দের শেষ পর্যন্ত ৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দরকার। রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার প্রায় ৫০ শতাংশই আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউএসএআইডির তহবিল বন্ধের ঘোষণা দেয়ায় ডব্লিউএফপি তহবিল–সংকটে পড়ে। রোহিঙ্গাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) তহবিল বাতিলের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে রোহিঙ্গা মানবিক সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ৩০০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছিলো, যা মোট তহবিলের ৫০ শতাংশেরও বেশি। ফ্রি রোহিঙ্গা কোয়ালিশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নে সান লুইন জানান, খাদ্য সহায়তা কমানোর সিদ্ধান্ত চরম দুর্দশায় ভোগা রোহিঙ্গাদের জন্য মৃত্যুদণ্ডের শামিল। ডব্লিউএফপির প্রশাসনিক খরচ ও অন্যান্য ব্যয় কমিয়ে ডব্লিউএফপির রোহিঙ্গাদের জন্য জীবনরক্ষাকারী সহায়তার পরিমাণ বাড়ানো উচিত।

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্গুলোতে অস্ত্র ও মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে আধিপত্য বিস্তারে প্রতিনিয়ত সংঘর্ষ চলছে। এর সঙ্গে এখন ক্যাম্পগুলোতে অনলাইন ক্যাসিনো জুয়া উদ্বেগজনকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ক্যাম্পের কর্মহীন রোহিঙ্গারা এই জুয়ার নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে ও অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের মতো জঘন্য অপরাধে জড়িয়ে যাচ্ছে। এই কাজে ইয়াবা পাচারের চেয়ে লাভ বেশি হচ্ছে, যা আশঙ্কাজনক। এর ফলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে অপহরণের ঘটনা বেশি ঘটছে এবং মুক্তিপণ আদায়ে ব্যর্থ হলে অপহৃতদের হত্যা করাও হচ্ছে। অনলাইন জুয়ার জন্য অর্থ যোগার করতে এসব অপরাধের ঘটনা বাড়ছে।  এই সময়ে খাদ্য সহায়তা কমে গেলে পরিস্থিতির আরো অবনতি হবে এবং রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা আরো ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। খাদ্য সহায়তা কমানোর ফলে পুষ্টিকর খাবার কমে যাবে এবং পুষ্টির অভাব হবে, ফলে রোহিঙ্গাদের মধ্যে সামাজিক ও মানসিক চাপ বাড়বে। আরকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) সভাপতির মতে, জাতিসংঘের অর্থ সহায়তা কমে গেলে ক্যাম্পগুলোতে খুন, ধর্ষণ, ছিনতাই, ডাকাতিসহ নানা অপরাধ বেড়ে যাবে এবং ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে।

এই সংকট মোকাবিলায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সমতা, প্রস্তুতি ও সংকট ব্যবস্থাপনাবিষয়ক কমিশনার হাজদা লাহবিব জানায়, ইইউ ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের আটকেপড়া  রোহিঙ্গাদের জন্য ৬৮ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা দেবে।  এই  সহায়তা আগের বছরের তুলনায় বেশি, তবে চলমান পরিস্থিতিতে আরো ত্রাণ সহায়তা দরকার।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি ২৮ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের সময় রোহিঙ্গা নেতারা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে প্রত্যাবাসনের জন্য নিরাপত্তার নিশ্চয়তা এবং থাকার পরিবেশ নিশ্চিতে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহলের সহযোগিতা চায়। রাখাইনকে স্থিতিশীল করার জন্য বাংলাদেশ মানবিক সহায়তা, বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। রাখাইনকে সহায়তার সময়ে মনে রাখতে হবে যে, বাংলাদেশের মূল লক্ষ্য হচ্ছে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো এবং সেজন্য বিষয়টিকে সবসময়ে সামনে নিয়ে আসতে হবে।

বাংলাদেশ আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে এবং রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের একটি পথ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে এই সরকারের নেয়া পদক্ষেপের কারণে খুব অল্প সময়ের মধ্যে জাতিসংঘ মিয়ানমার বিষয়ক দূত, জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার প্রধান এবং জাতিসংঘ মহাসচিব বাংলাদেশ সফর করে। বর্তমানে এই সংকটের কথা আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে গুরুত্ব পাচ্ছে। এতে বোঝা যায়, রোহিঙ্গা সংকটের সুষ্ঠু সমাধানের লক্ষ্যে অনেক কাজ হচ্ছেএবং এ সংক্রান্ত কার্যক্রম এগিয়ে চলছে।

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের জন্য রাখাইনে শান্তি ফিরে আসা জরুরি। একই সঙ্গে আরাকান আর্মিকেও রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে এবং এ সংক্রান্ত বিভিন্ন উদ্যোগ নিতে হবে। বাংলাদেশ রোহিঙ্গা ইস্যুকে সামনে রেখে আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ এবং আন্তর্জাতিক মহলকে সঙ্গে নিয়ে রাখাইনে মানবিক ও অন্যান্য সহায়তা প্রদানে এগিয়ে যেতে পারে। বর্তমানে এই সংকট মোকাবিলায় জরুরিভিত্তিতে ত্রাণ সহায়তা বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে। সামনের দিনগুলোতে পরিস্থিতির আরো অবনতি হলে বাংলাদেশ ও এই অঞ্চলের নিরাপত্তায় প্রভাব ফেলবে যা কাম্য নয়। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সব অংশীজনের সহায়তায় বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের সম্ভাব্য সমস্যা ও প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি বিবেচনায় নিয়ে ত্রাণ সহায়তা হ্রাস সংক্রান্ত সমস্যা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মোকাবিলার উদ্যোগ নেয়ার পাশাপাশি মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে সংকট সমাধানে বাস্তবায়নযোগ্য রোডম্যাপ তৈরি জরুরি হয়ে পড়েছে। 

লেখক: মিয়ানমার ও  রোহিঙ্গা বিষয়ক গবেষক

জনপ্রিয়