
গত বুধবার (২৩ এপ্রিল) দেশের নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ের ২৫ নম্বরের এবং ২৫ মিনিটের একটি পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
স্বল্প সময়ের ও স্বল্প নম্বরের এই পরীক্ষাটির জন্য শিক্ষার্থী অভিভাবক, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, পরিবহন, বিদ্যুৎ, প্রশাসনিক ইত্যাদি খাতে ব্যয় হয় রাষ্ট্রের কয়েক কোটি টাকা। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের পড়তে হয় বাড়তি ঝামেলায়।
মাত্র ২৫ মিনিটের এই পাবলিক পরীক্ষাটির জন্য বিপুল পরিমাণ সম্পদ ও জনবল ব্যবহার শিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা বোর্ডের সংশ্লিষ্টদের অব্যবস্থাপনাকেই নির্দেশ করে।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়-তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। কিন্তু এ বিষয়টিকে শুধুমাত্র ২৫ নম্বরের একটি পরীক্ষায় সীমাবদ্ধ করা এবং তার জন্য প্রশাসনিক ঝামেলা তৈরি করা যুক্তিযুক্ত নয়। বিকল্পভাবে, আইসিটি বিষয়ে প্রজেক্ট, শ্রেণি পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে মূল্যায়নের ব্যবস্থা করা যেতো, যা বাস্তবভিত্তিক সামঞ্জস্যপূর্ণ।
স্বল্প সময়ের, স্বল্প নম্বরের এ পরীক্ষাটি আবশ্যিক বিষয়ের পরীক্ষা শেষে যেকোনো একদিন নিলে বিপুল পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় হতো, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্টদের ওপর তেকে চাপ কমে যেতো। আশা করি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনা করবে।
লেখক: প্রধান শিক্ষক, ড. শহীদুল্লাহ একাডেমি, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম
(মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন)