
প্রতিদিনের মতো সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে গিয়ে নাস্তা করছি। তখন প্রেস ক্লাবে একটি রেডিও ছিলো। রেডিওতে একটু পরপর ঘোষণা আসছে বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তিত হয়েছে। প্রথমে ৮ নম্বর সতর্ক সংকেত, তার কিছুক্ষণ পরেই আবার ৯ নম্বর বিপদ সংকেত দেখানোর কথা বলা হলো রেডিওতে।
বেলা বারোটা নাগাদ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের ঘোষণা শোনা গেলো। আমি তাড়াতাড়ি অফিসে চলে এলাম। এসে দৈনিক জনতার তৎকালীন সম্পাদক সানাউল্লাহ নূরী ভাইকে বললাম, আমি চট্টগ্রামে যাবো, ওখানে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানবে। উনি আমার কথা শুনে ভীষণ ক্ষেপে গেলেন।
রাগ কারার যথেষ্ট কারণ ছিলো। এরশাদের পত্রিকা হওয়ায় সে সময় সরকারের রোষানলে দৈনিক জনতা। তখন আমাদের দুই তিন মাস বেতন হচ্ছে না। তার মধ্যে আমি চট্টগ্রামে যাবো, আমাকে যাতায়াত ও থাকা-খাওয়ার খরচ দিতে হবে-তা ভেবেই রাগ করেছিলেন নূরী ভাই। এবার আমি তাকে বললাম, অফিস টাকা না দিলেও আমি যাবো, আমাকে ছুটি দেয়ার ব্যবস্থা করেন। তিনি আমাকে যতসামান্য টাকা দিয়ে বললেন, যাও।
আমি তাড়াতাড়ি কিছু ফিল্ম এবং ক্যামেরা লেন্স নিয়ে বাড়ি থেকে কমলাপুর স্টেশনে চলে আসি। দুপুরে যে ট্রেনটি চট্টগ্রামে যাচ্ছিলো সেখানে উঠে পড়ি। রাত নয়টা নাগাদ চট্টগ্রামে পৌঁছায় ট্রেনটি। আমি তখন চট্টগ্রাম খুব ভালো করে চিনি না। স্টেশন থেকে নেমে একটি বেবি ট্যাক্সি নিয়ে ‘লাভ লেনে’ দৈনিক জনতার চট্টগ্রাম ব্যুরো অফিসে চলে যাই। রাতে সেখানে পৌঁছে দেখি অফিস বন্ধ। কেউ নেই।
অফিসের পাশেই ‘আল ফয়সাল হোটেল’। হোটেলের দরজা ধাক্কালাম, কেউ দরজা খুললো না। তার পাশে আরেকটি হোটেল ‘বন্দরগাঁও’। সেটাও খুললো না। অগত্যা সেই বেবিটেক্সিতেই যাওয়া শুরু করলাম।
কিছু দূর যেতেই চালক বললো, আর যাওয়া সম্ভব না। বাতাসের বেগ বেড়ে গেছে। তাই বেবিট্যাক্সি এগোতে পারছে না। আমাকে সেখানেই নামিয়ে দিলো। চট্টগ্রাম শহরে তখন কিছুই চিনি না। হাঁটতে হাঁটতে সামনের দিকে গিয়ে একটি ছোট্ট একটি হোটেল পেলাম। অনেক পুরানো ‘আড়াই তলার’ একটি ‘সস্তা’ হোটেল। দোতালা হোটেলের ছাদে টিনের ছাউনি দেয়া চিলেকোঠা ঘরে হলো আমার থাকার ব্যবস্থা।
তখন রাত প্রায় সাড়ে ১০টার বেশি বাজে। মাত্র কাপড়-চোপড় খুলে শোবার ব্যবস্থা করেছি। এমন সময় হোটেলের একটি ছেলে আমার ঘরে এসে চাঁটগাইয়া ভাষায় বললো, তাড়াতাড়ি নিচে আসুন। তুফান শুরু হয়ে গেছে।
যেকোনো মুহূর্তে ছাউনি ভেঙে পড়তে পারে। সে কথা শুনে আমি নিচে নেমে আসলাম। সে রাতে অবশ্য দোতালা হোটেলের ছাদে টিনের ছাউনি দেয়া চিলেকোঠা ঘরটি ভেঙেও পড়েছিলো।
নিচে নেমে এসে দেখি অনেক মানুষ। ওই হোটেলের অবস্থানরত নারী-পুরুষ-শিশু-বৃদ্ধরা হোটেল লবিতে কান্নাকাটি করছেন আর আল্লাহকে ডাকছেন। আতঙ্কে সারাটি রাত কেটে গেলো আমদের।
টেরও পায়নি কখন হোটেলের নিচতলায় হাটু পর্যন্ত পানি এসে গেছে। হয়তো আতঙ্কগ্রস্ত থাকার কারণেই টের পাইনি। একুট পরপর বয়স্করা এদিক ওদিক থেকে আজান দিচ্ছেন ও জোরে জোরে দোয়া পড়ছেন। সঙ্গে আমিও ডাকছি।
সে অবস্থায় ভয়ে দিশেহারা। বাইরের দিকে তাকিয়ে দেখছি পুরো আকাশ লাল আগুনের গোলার মতো। নারিকেল, ডাব, কাঁঠাল এগুলো ফুটবলের মতো বাতাসে ছুটছে। আর বসতবাড়ির চালে থাকা টিনগুলো কাগজের মতো উড়ছে। আস্তে আস্তে ভোর হয়ে গেলো।
ফজরের আজানের পর বাইরে দেখছি কোমর পানি। হোটেল থেকে নেমে হাঁটা দিলাম। কিছুই চিনি না। পানির মধ্যেই লাভ লেন থেকে দক্ষিণ দিকে হাঁটা ধরলাম। চারিদিকে বাড়িঘরসহ বড়-বড় গাছ ভেঙে পড়ে আছে।[inside-ad-3]
আর একটু সামনে এগোতেই দেখলাম রেললাইনের ওপর মোটা গাছ ভেঙে পড়ে আছে। তার ছবি তুলছি। তখন দেখি তাপস বড়ুয়াও ছবি তুলছেন। দৈনিক আজাদীর ফটোসাংবাদিক হিসেবে তাকে আমি আগে থেকেই চিনতাম। সে আমাকে দেখেই তাড়াতাড়ি আমার কাছে আসলো। ওর মোটরসাইকেলে দুজন চললাম চট্টগ্রাম পোর্টের দিকে।
বন্দরের ভেতরে ঢুকতেই দেখলাম সব তছনছ হয়ে গেছে। পোর্ট অনেক মোটা মোটা গাছ পড়ে আছে আর লাশের অভাব নেই। জোয়ারের তোড়ে ভেসে দূরদূরান্ত থেকে ভেঙে পড়া এসব গাছ আর হতভাগ্য মানুষের লাশ এসেছে বন্দর ও এর আশেপাশে। এরপর চলে গেলাম পতেঙ্গার দিকে।
কিছুদূর যাওয়ার পর আর মোটরসাইকেল এগোতে পারলো না। কারণ, ওখানে পানি আর পানি। পানির মধ্যে আমি আর তাপস বড়ুয়া মোটরসাইকেল রেখেই হাঁটা দিলাম। সামনে এগিয়ে দেখি অগণিত ড্রাম। তেলের ড্রাম ভেসে রাস্তা অবরোধ করে আছে। সেগুলো ভেদ করে আমরা এগোতে থাকলাম। হাঁটতে হাঁটতে এয়ারফোর্সের সামনে গেলে দেখি বড় বড় বোমার শেলগুলো পানির মধ্যে ভাসছে। সেগুলোর ছবিও তুললাম। আরেকটু সামনে গেলেই এয়ারপোর্ট। এয়ারপোর্টে ভাসছে অনেক ফাইটার প্লেন। সেগুলোর ছবি তুলতে তুলতে দুপুর হয়ে গেলো।
এখন আমাকে ঢাকায় ফিরতে হবে। কীভাবে ফিরবো জানি না। তখন ফ্যাক্স ছাড়া আর যোগাযোগের তেমন কোনো মাধ্যম ছিলো না। সাইক্লোনের কারণে টিএন্ডটি টেলিফোন কাজ করছিলো না। তাই আমাকে ফিল্মগুলো নিয়ে ঢাকায় ফিরতে হবে। কীভাবে ফিরবো জানি না। তাপসের সহযোগিতায় একটি বাস পাওয়া গেলো।
বাসটি ঢাকা পর্যন্ত আসার কথা। কিন্তু বাসে যখন আমরা রওনা দিলাম সারা রাস্তায় গাছ ভেঙে পড়ে আছে। আমরা যাত্রীরাই সেসব গাছ সরিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করতে করতে বাসটিকে এগিয়ে নিতে থাকলাম। কুমিল্লা পর্যন্ত আসার পর ড্রাইভার আর এগোতে নারাজ। তখন রাত সাড়ে ৮টা। ড্রাইভারেরর ধারণা, সামনে হয়তো আরো ভয়াবহ কিছু অপেক্ষা করছে। শেষ পর্যন্ত ওখানে নেমে গেলাম।
হাঁটতে হাঁটতে কিছুদূর এসে দেখতে পেলাম একটি রেলগেট। গেটম্যানকে অনুরোধ করে বললাম, ভাই আমাকে ঢাকায় পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে দিন। গেটম্যান গেট ফেলে ট্রাক বা প্রাইভেট গাড়ি থামিয়ে আমাকে ওঠানোর চেষ্টা করতে লাগলেন। ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত নয়টার বেশি। কেউই আমাকে গাড়িতে ওঠানোর সাহস পাচ্ছে না। অবশেষে একটি প্রাইভেট গাড়ি আমাদের নিয়ে আসতে রাজি হলো।
আমার অফিস তেজগাঁও। গাড়িটি আমাকে তেজগাঁও নামিয়ে দিয়ে উত্তরার দিকে চলে গেলো। আমি অফিসের দিকে দৌড়ানো শুরু করলাম। হঠাৎ পাশে থেকে শুনি আমার নাম ধরে কেউ ডাকছে। দাড়িয়ে দেখি আমার নিউজ এডিটরসহ আরো দুই-তিন জন সহকর্মী। তাদের বেবিট্যাক্সি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তারা ওখানে বসেছিলো। আমাকে দেখে তাড়াতাড়ি জানতে চাইলো ছবি এনেছি কি না। আমি বললাম, হ্যাঁ।
নিউজ এডিটর বললেন, তাড়াতাড়ি যাও আমরা প্রেস থামাচ্ছি। ততক্ষণে কাগজ ছাপা শুরু হয়ে গিয়েছে। আমি তাড়াতাড়ি ডেভেলপ এবং প্রিন্ট করি আমার তোলা ছবিগুলো। নিউজ এডিটর ছবিগুলো ব্যবহার করেন প্রথম পাতায়।
আগে ওখানে ছাপা হচ্ছিলো প্রধানমন্ত্রীর ছবি। হেলিকপ্টার থেকে প্রধানমন্ত্রী দেখছেন ক্ষয়ক্ষতির অবস্থা। এরপর আমাকে একটি অফিস গাড়ি দিলো, সেটাতেই বাসায় গেলাম। একটু খাওয়া দাওয়া করে কাপড় বদলে ফ্লিম-রসদ নিয়ে আবার রওনা হলাম চট্টগ্রামের উদ্দেশে। এভাবেই চলে আমার বেশ কয়েকদিন। দিনে কাজ করি রাতে আবার চট্টগ্রামে যাই।
তাপসের সঙ্গে কাজ করার একটি সুন্দর সময় ছিলো সেটি। আমি বাস থেকে নেমেই দেখতাম তাপস হোন্ডা নিয়ে আমার জন্য অপেক্ষা করছে। এইভাবে কয়েক দিন কাজ করার পর আমেরিকান আর্মি আসলো উদ্ধার কাজে। ওরা অস্থায়ী ক্যাম্প করেছিলো পতেঙ্গায়। আমি আর তাপস আর্মি ক্যাম্পে গেলাম। আমরা আমাদের পরিচয় দিলে ওদের প্রেস উইংয়ের দায়িত্বে থাকা কর্নেল রোজ আমাদের সহযোগিতা করলেন।
মার্কিন আর্মির যে হেলিকপ্টারগুলো খাবার নিয়ে বিভিন্ন পয়েন্টে যাচ্ছিলো আমাদেরকে সে হেলিকপ্টারে ওঠানোর ব্যবস্থা করে দিলেন কর্নেল রোজ। সে হেলিকপ্টারে করেই মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে বিভিন্ন ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত বিভিন্ন দ্বীপে আমরা যেতাম। দ্বীপগুলোতে ওরা ত্রাণ দিতো। ত্রাণ বিতরণের সময়টুকু ছিলো আমাদের ছবি তোলোর জন্য বরাদ্দ।
তা কখনো দুই ঘণ্টা আবার কখনো তিন ঘণ্টা সময় পাওয়া যেতো ছবি তোলার জন্য। হেলিকপ্টারের ইঞ্জিনের শব্দ শুনলেই আমরা দুজন ফিরে আসতাম। ওপর থেকে আগেই দেখে নিতাম কাছাকাছি কোথায় ছবি তোলা যায়। নেমেই ছবি তুলে আবার হেলিকপ্টারে। তারপর ঢাকায় চলে আসতাম পত্রিকা অফিসে। ছবিগুলো ছাপা হতো পত্রিকায়। এভাবেই চললো গোটা দশ দিন।
ছাপা হওয়া ছবিসহ এক কপি পত্রিকা এনে আমি কর্নেল রোজকে দিলাম। ছাপা হওয়া ছবিটি ছিলো, মার্কিন সেনা কর্মকর্তাদের ত্রাণ বিতরণের। এবার কর্নেল রোজ আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার অফিস কোথায়? উত্তরে আমি বললাম, ঢাকায়। উনি জানতে চাইলেন কীভাবে যাও? আমি বললাম, বাসে করে ছবি পৌঁছে দিয়ে আবার রাতেই ফিরে আসি।
উনি আমার কষ্টের কথাগুলো শুনে কাউকে না বলার শর্তে আমাকে বললেন, তুমি রাত আটটায় আমার এখানে চলে এসো। এও বললেন, আমি রাতে ঢাকায় থাকি আবার সকালে আটটার সময় এখানে চলে আসি। যে প্লেন খাদ্য সামগ্রী নিয়ে চট্টগ্রামে যেতো উনি সেই প্লেনে যাওয়া আসা করতেন। সেদিন থেকে আমি তার সঙ্গে মার্কিন আর্মির কার্গো বিমানে চট্টগ্রামে যাওয়া আসা শুরু করলাম। যদিও তখন বিষয়টি নিয়ে খুবই গোপনীয়তা রক্ষা করতে হতো।
প্রতিদিন আমি কার্গো বিমানে আরামে ঢাকায় আসতাম, ছবি বানাতাম। বাসায় ঘুমিয়ে সকালবেলা পুরাতন এয়ারপোর্টে এসে আবার কর্নেল রোজার সঙ্গে চট্টগ্রামে যেতাম। এভাবে আমি প্রায় মাসখানেক এ কাজ করি।
এসময় অজস্র ছবি তুলেছি। অগণিত মানুষের দুঃখ কষ্টের ছবি তুলেছি। আমার তোলা ছবিগুলো দেশে বিদেশে অনেক পত্রিকায় ছাপা হতো। সাংবাদিকতা করতে গিয়ে যেমন আনন্দ পেয়েছি, তেমন অনেক কষ্ট পেয়েছে। কষ্ট পেয়েছে এজন্যেই যে আমার পক্ষে সেসব দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সামর্থ ছিলো না। আমার তোলা ছবি দেশ-বিদেশের অনেক পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। এপি, এএফপিসহ বিদেশি বিভিন্ন নিউজ এজেন্সিতে আমার তোলা ছবি তখন ছাপা হতো।
সিনিয়র ফটোসাংবাদিক বেলাল ভাই তখন চিত্রালীতে চাকরি করতেন। একদিন উনি আমাকে খোঁজ করছেন শুনে তার সঙ্গে দেখা করলাম। তিনি বললেন, তোমার নেগেটিভগুলো নিয়ে আমার এখানে এসো। তখন চিত্রালী পত্রিকায় সব সময় নায়ক-নায়িকাদের ছবি ছাপা হতো। স্বনামধন্য রঙিন চলচ্চিত্র পত্রিকা চিত্রালীর একটি সংখ্যা ২৯ এপ্রিল সাইক্লোনে মারা যাওয়া মানুষদের সম্মানে সাদা কালো করে ছাপা হলো।
সংখ্যাটির সম্পূর্ণটাই সাইক্লোন বিধস্ত উপকূলীয় অঞ্চলের ছবি দিয়েই ছাপা হলো। সবকয়টি ছবিই ছিলো আমার তোলা। শুধু তাই নয়, বেলাল ভাই আমারও একটি পোর্ট্রেট তুলে সেখানে ছেপে দিলেন। ক্যাপশনে দেয়া, এই সেই বুলবুল আহমেদ, যার তোলা ছবিতেই চিত্রালীর পাতা সাজানো হয়েছে। আমার সম্পর্কে দুচারটি কথাও লেখা হয়েছিলো সম্পাদকীয়তে। এ ছাড়া আরো কয়েকটি পত্রিকায় আমাকে নিয়ে তখন লিখেছিলো। ঢাকা থেকে আমি ছিলাম প্রথম ফটোসাংবাদিক যে সাহস করে আগেই চট্টগ্রামে পৌঁছে গিয়েছিলাম।
আরো অনেক স্মৃতি আছে যা এতো অল্প সময়ে বলে শেষ করা যাবে না। তখন যদি তাপস বড়ুয়াকে কাছে না পেতাম তাহলে হয়তো আমি এতো সুন্দর সুন্দর ছবি তুলতে পারতাম না। আমি তাপস বড়ুয়ার কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই। এরপর থেকেই পরিচয় হয় মঈনুল আলম, অশোক চৌধুরী, আলী আব্বাস, রূপম চক্রবর্তী, দেবুদা, মঞ্জুসহ অগণিত ফটোসাংবাদিকের সঙ্গে। আর চট্টগ্রামের সঙ্গে আমার হৃদয়ের সম্পর্ক কখনো ভুলবার নয়।
লেখক: নির্বাহী সম্পাদক, দৈনিক আমাদের বার্তা