বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক (ডিজি) টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসিস সবার জন্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য খাতের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করায় বাংলাদেশে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাত্যহিক কার্যক্রমের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন গতকাল মঙ্গলবার এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক বাংলাদেশের সার্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নয়ন এবং সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকারের পদক্ষেপ গ্রহণের ভূয়সি প্রশংসা করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিক হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি উদ্ভাবন। সেখান থেকে মানুষ বিনামূল্যে ৩০টিরও বেশি ওষুধ পাচ্ছেন।
তিনি বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক বাংলাদেশে শিশু ও মাতৃ মৃত্যুর হার দ্রুত কমাতে সাহায্য করেছে। সুতরাং, এতে মানুষের গড় আয়ু অনেক বেড়েছে।
মোমেন বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালককে বলেছেন, তারা বাংলাদেশ অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে তাদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা বিনিময় করতে চায়।
উল্লেখ্য, নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে নিউ ইয়র্কে রয়েছেন। নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় ১৯ সেপ্টেম্বর অধিবেশনের উচ্চ পর্যায়ের প্রথম দিনের বিতর্কে যোগ দিয়ে তিনি ভাষণ দেবেন। একই দিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আয়োজিত নৈশভোজেও প্রধানমন্ত্রীর যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।
সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সংকট এবং জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি), সর্বজনীন স্বাস্থ্য ও অর্থসহ বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় ও সৌজন্যমূলক বৈঠকে অংশ নেবেন।
প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই এলাহী চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাম্ব্যাসেডর-অ্যাট-লার্জ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানান, সাধারণ বিতর্কে প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে বাংলাদেশের অবিশ্বাস্য উন্নয়ন, অগ্রগতি, অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও স্বাস্থ্য খাতে সাফল্যের পাশাপাশি বিশ্ব শান্তি, নিরাপত্তা, নিরাপদ অভিবাসন, রোহিঙ্গা সংকট, জলবায়ু ও ন্যায়বিচারের মতো বিষয়গুলো তুলে ধরবেন।