মণ্ডপে মণ্ডপে আরতি ও অঞ্জলির মাধ্যমে দুর্গোৎসবের মহানবমীর আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে। নবমীর সকালে বেল পাতা, আম কাঠ, ঘি দিয়ে যজ্ঞ করে দেবী দুর্গার কাছে দেয়া হয় আহুতি। মহানবমীর দিনই পড়ে দশমীর তিথি। আগামীকাল হবে প্রতিমা বিসর্জন। ঘোড়ায় করে কৈলাসে ফিরবেন দেবী দুর্গা।
সূর্যের আলো ফুটতেই ঢাকির ঢাকে পড়ে কাঠি, বেজে ওঠে কাসা, শঙ্খ। উলুধ্বনিতে মুখোরিত হয় মন্দির প্রাঙ্গণ।
নবমী বিহিত পূজা আবার একই সঙ্গে দেবীর বিদায় নেয়ার দিন। এবার তিথিচক্রে একই দিনে হচ্ছে নবমী-দশমী। তাই মণ্ডপে মণ্ডপে তোড়জোড় খানিকটা বেশি।
শাস্ত্রমতে, নবমীতেই দেবী দুর্গা রুদ্ররূপ ধারণ করে বধ করেছিলেন মহিষাসুরকে। নবমীর সকাল তাই অশুভ শক্তি থেকে মুক্তির সকাল। এদিন সকালে হয় বিহিত পূজা। ১০৮টি বেল পাতা, আম কাঠ, ঘি দিয়ে যজ্ঞের মাধ্যমে দেবীদুর্গার কাছে দেয়া হয় আহুতি। ৮টা ২৬ মিনিটে শুরু হয় দশমী পূজা। দর্পন বিসর্জনের মধ্য দিয়ে ভক্তদের কাঁদিয়ে এবার একদিন আগেই দেবী দুর্গার প্রস্থান।
সপ্তমী থেকে নবমী, চার সন্তান নিয়ে অন্নপূর্ণা এবার পৃথিবীতে থাকলেন কেবল তিনদিন। দেবীর বিদায়ে নবমীর আনন্দের সঙ্গে যেন যুক্ত হলো বিষাদের সুর। শেষ বেলায় তাই দেবীর কাছে সুখ-শান্তি এবং সমৃদ্ধির প্রার্থনা ভক্তদের।
এদিকে, রামকৃষ্ণ মিশন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম। পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আগামীকাল বিসর্জন উপলক্ষে নেয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা। এ সময় তিনি আরও জানান, যেখানেই গুজব ছড়ানো হবে তাদের বিরুদ্ধে তথ্য পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শাস্ত্রীয়ভাবে দুর্গাপূজা শনিবারই শেষ। তবে, রাজধানীতে প্রতিমা বিসর্জন, সিঁদুর খেলাসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা তোলা থাকবে রোববারের জন্য।