ঢাকা শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪ , ২ কার্তিক ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

সকল রেল কন্ট্রোল অফিসে কর্মবিরতি ২২ অক্টোবর 

বিবিধ

আমাদের বার্তা প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫:৩৫, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

সর্বশেষ

সকল রেল কন্ট্রোল অফিসে কর্মবিরতি ২২ অক্টোবর 

আগামী ২২ অক্টোবর সকাল সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা দেশের সকল রেলওয়ে কন্ট্রোল অফিসে কর্মবিরতি পালন করা হবে। রেলওয়ে কন্ট্রোল অফিসের সকল টিএনএল, ডিটিএনএল ও সিটিএনএলরা এদিন কর্মবিরতি পালন করবেন।  

কর্মবিরতি প্রসঙ্গে তারা বলেন, ট্রেন কন্ট্রেল অফিস বাংলাদেশ রেলওয়ের মূল চালিকাশক্তি। ট্রেন পরিচালনা সংক্রান্ত সকল কার্যক্রমসহ জরুরি নির্দেশনা ট্রেন কন্ট্রোল অফিসের মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়। এটিই রেলওয়ের একমাত্র অফিস, যেটি বছরে ৩৬৫ দিন ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে। ঈদ, পূজা, সরকারি যে কোনো ধরনের ছুটি, ঝড়-বৃষ্টি, মহামারি, জরুরি অবস্থা এমনকি প্রাকৃতিক দুর্যোগ কোনোকিছুতেই কন্ট্রোল অফিসের কার্যক্রম বন্ধ করা হয় না। এমনকি ২৪ ঘণ্টা জরুরি সেল গঠনের মাধ্যমে রেল ব্যবস্থাকে সচল রাখা হয়। এই বাস্তবতায় ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দে কন্ট্রোলে কর্মরত কন্ট্রোলারদের দায়িত্বকে কঠিন প্রকৃতির কষ্টসাধ্য দায়িত্ব বলে স্বীকৃতি দিয়ে ইনক্রিমেন্ট বেতন স্কেল ১৮৫/৩১৫ আরপিএস-এর ওপর ৩০ টাকা অতিরিক্ত ভাতা অফিস আদেশের মাধ্যমে ঘোষণা দেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায়  বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর রেলওয়ের প্রথম ৩০ টাকার পরিবর্তে তিনটি অগ্রিম ইনক্রিমেন্ট দেয়া হয় এবং ১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ওই আদেশ দেয়ার পূর্ব পর্যন্ত ৪টি অগ্রিম ইনক্রিমেন্ট বেতনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে এবং তার ওপর সকল ভাতাদি দেয়া হয়। 

তারা জানান, ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দে রেলওয়ে অডিট অধিদপ্তর ৪টি ইনক্রিমেন্টের ওপর সকল ভাতাদি বন্ধের আদেশ দিলে কন্ট্রোলাররা সংক্ষুব্ধ হয়ে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল বগুড়ায় একটি মামলা দায়ের করলে বিচারক কন্ট্রোলারদের পক্ষে সকল ভাতা প্রদানসহ রায় দেয়। রায়ের বিরুদ্ধে সরকার আপিল করলে আদালত সেটি খারিজ করে বগুড়ার আদেশ বহাল রাখে। এরপর ঢাকার ডিটিএনএল সাজাহান ভূঁইয়া কর্তৃক অপর একটি মামলা দায়ের করা হলেও বিচারক ওই মামলার রায়ও কন্ট্রোলারদের পক্ষে দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে সরকারপক্ষ প্রশাসনিক আপিল আদালত ঢাকায় আপিল দায়ের করলেও সেটি আদালত নাকচ করে দেয়। এরপর সরকারপক্ষ পুনরায় সুপ্রিমকোর্টে আপিল করলে আপিল বিভাগ থেকে সরকারের ওই আপিল আবেদনও খারিজ করে পূর্বের প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের রায় বহাল রাখে। পরবর্তীতে অবসরজনিত সকল সুবিধা পাওয়ার জন্য পাকশী অফিসের সিটিএনএল একটি মামলা দায়ের করে। ওই মামলার রায়ও সিটিএনএলের পক্ষে দেয়া হয়। রায় পাওয়ার পর রাজশাহীর (পশ্চিম) এফএএন্ডসিএও সুবিধা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সিটিএনএল রায় বাস্তবায়ন মামলা করে। বাস্তবায়ন মামলার রায়ে আদালত রাজশাহীর (পশ্চিম) এফএএন্ডসিএওকে অবিলম্বে রায় বাস্তবায়ন করার নির্দেশ দেয়। একই সাথে আদালত রায় বাস্তবায়ন না করা হলে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণেরও হুঁশিয়ারি দেয়। এ কারণে রাজশাহীর (পশ্চিম) এফএএন্ডসিএও ওই রায় বাস্তবায়ন করে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের আইনজীবীর লিখিত মতামত এবং জিএম পশ্চিম ও পূর্বের প্রশাসনিক আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার বাদীরা ছাড়াও পরবর্তীতে একই অফিসে যোগদানকৃত টিএনএল, ডিটিএনএল ও সিটিএনএলরা একই সুবিধাপ্রাপ্ত হয়ে আসছিলেন, যা ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি কালো আইনের মাধ্যমে রোহিত করা হয়।  এছাড়াও গত সেপ্টেম্বরে অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অর্থ) রেল ভবন ঢাকা আরেকটি অফিস আদেশ দেন। এতকিছুর পরও অর্থ মন্ত্রণালয় কিভাবে ওই সুবিধা বাতিল করার নির্দেশ দেয়  তা আমাদের বোধগম্য নয়। অপরদিকে বাংলাদেশ রেলওয়েতে কর্মরত অন্য কর্মচারীরা (লোকোমাস্টার, গার্ড, টিটিআই, অ্যাটেনড্যান্ট) মাইলেস নামের অতিরিক্ত সুবিধা পাচ্ছেন, যা একই অইনে প্রতিষ্ঠানের দুই রকম বাস্তবায়ন ও বৈষম্যের সৃষ্টি করায় আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। একই সঙ্গে ৪টি অগ্রিম ইনক্রিমেন্ট এবং ভাতাসহ আর্থিক সুবিধা পুনর্বহাল করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোর দাবি জানাই। 

তারা বলেন, দাবি পূরণ করা না হলে আগামী ২২ অক্টোবর সকাল ৮টা থেকে দেশের সকল রেলওয়ে কন্ট্রোল অফিসে কর্মবিরতি পালন করা হবে। এর কারণে ট্রেনের শিডিউলে সমস্যা হলে সকল দায়িত্ব কর্তৃপক্ষের ওপর বর্তাবে। 
 

জনপ্রিয়