ঢাকা সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ , ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিন আজ

বিবিধ

আমাদের বার্তা ডেস্ক

প্রকাশিত: ০০:০০, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

সর্বশেষ

কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিন আজ

আধুনিক বাংলা কবিতার অন্যতম প্রধান এবং বিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে বিশেষভাবে পরিচিত কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিন আজ।

শক্তি চট্টোপাধ্যায় ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার বাহারু গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার পিতার নাম বামানাথ চট্টোপাধ্যায় এবং মায়ের নাম কমলা দেবী। মাত্র চার বছর বয়সে তিনি তার পিতাকে হারান এবং নানার বাড়িতে বড় হন। তিনি ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতার বাগবাজারে আসেন এবং সেখানে একটি স্থানীয় স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি হন। ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন এবং সিটি কলেজে বাণিজ্য বিভাগে ভর্তি হন। একই বছর তিনি কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়ার সদস্যপদ লাভ করেন। ১৯৫৩ খ্রিষ্টাব্দে তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা পাস করেন। পাস করার পর তিনি বাংলা সাহিত্যে অনার্স করার উদ্দেশ্যে ভর্তি হন প্রেসিডেন্সি কলেজে।

কিন্তু অসচ্ছলতার কারণে তিনি স্নাতক পাঠ অর্ধসমাপ্ত রেখে প্রেসিডেন্সি কলেজ ছাড়েন, এবং সাহিত্যকে জীবিকা করার উদ্দেশ্যে উপন্যাস লেখা আরম্ভ করেন। তার প্রথম উপন্যাস ‘কুয়োতলা’। কলেজ জীবনের বন্ধু সমীর রায়চৌধুরীর খ্রিষ্টাব্দের সঙ্গে তার বনাঞ্চল-কুটির চাইবাসায় আড়াই বছর থাকার সময়ে শক্তি চট্টোপাধ্যায় একজন সফল লিরিকাল কবিতে পরিণত হন। একই দিনে বেশ কয়েকটি কবিতা লিখে ফেলার অভ্যাস গড়ে ফেলেন তিনি। নিজের কবিতাকে তিনি বলতেন পদ্য। তিনি স্ফুলিঙ্গ সমাদ্দার ছদ্দ নামে লেখালেখি করতেন। আধুনিক বাংলা কবিতার ইতিহাসে অন্যতম প্রধান কবির কবিতার ছন্দে, গন্ধে, ভাষা প্রয়োগে এবং অর্থে কেউ কেউ তাকে

জীবনানন্দ দাশের শেষ উত্তরসূরী হিসেবও অভিহিত করে থাকেন। তার সবচেয়ে বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থের নাম, ‘যেতে পারি কিন্তু কেন যাবো’। ১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বরে যে চারজন কবিকে হাংরি আন্দোলনের জনক মনে করা হয় তাদের মধ্যে শক্তি চট্টোপাধ্যায় অন্যতম। বাংলা সাহিত্যে স্থিতাবস্থা ভাঙার আওয়াজ তুলে, ইশতেহার প্রকাশের মাধ্যমে, শিল্প ও সাহিত্যের যে একমাত্র আন্দোলন হয়েছে, তার নাম হাংরি আন্দোলন। আন্দোলনের প্রভাবটি ব্যাপক ও গভীর হলেও ১৯৬৫ খ্রিষ্টাব্দে প্রকৃত অর্থে হাংরি আন্দোলন ফুরিয়ে যায়। নকশাল আন্দোলনের পর উত্তরবঙ্গ এবং ত্রিপুরাব তরুণ কবিরা আন্দোলনটিকে আবার জীবনদান করার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি। কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় ১৯৯৫ ২৩ মার্চ কলকাতায় পরলোকগমন করেন।

জনপ্রিয়