এ বছর ১১ জনের শরীরে জিকা ভাইরাস ও ৬৭ জনের চিকুনগুনিয়া ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সূত্রে এ তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর বলেন, চলতি বছর চিকুনগুনিয়ায় ৬৭ জন এবং জিকা ভাইরাসে ১১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। জিকা ও চিকুনগুনিয়া আক্রান্তের অধিকাংশ ঢাকার অধিবাসী।
ডেঙ্গু ভাইরাস শনাক্ত করতে নিয়ে এই দুইটি ভাইরাসের রোগী মিলেছে।
তিনি বলেন, জিকা ও চিকুনগুনিয়ায় মৃত্যু হার কম। তাই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
স্বাস্থ্য অধিধপ্তরের তথ্য বলছে, এ বছর ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ৯২ হাজার ৩৫১ জন রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এই রোগে। গত নভেম্বর মাসে সবচেয়ে বেশি ১৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মৃত্যু বেশি হওয়ার কারণ সম্পর্কে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. আবু জাফর বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্তদের হাসপাতালে নিতে দেরি করায় মৃত্যু বেশি। এ কারণে যাদের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন তাদের দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। ঢাকায় যারা মারা গিয়েছেন তাদের মধ্যে ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সী বেশি। শিশু ও বয়স্কদের মৃত্যুহার বেশি চট্টগ্রামে।