বিশিষ্ট গীতিকার ও সুরকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের জন্মদিন আজ। তিনি ১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে পাবনার ফরিদপুর উপজেলার গোপালনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
বিংশ শতাব্দির দ্বিতীয়ার্ধ জুড়ে বাংলা ছায়াছবি ও আধুনিক গানের জগতকে যারা প্রেমাবেগ-উষ্ণ রেখেছিলেন তিনি তাদের একজন। গীতরচনায় তার বৈশিষ্ট্য শব্দচয়নে। মান্না দে’র গাওয়া তার লেখা ‘কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই’ ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দে বিবিসির জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ২০টি বাংলা গানে ঠাঁই পেয়েছে।
তার ডাক নাম ছিলো ‘বাচ্চু’। তার বাবা গিরিজাপ্রসন্ন মজুমদার ছিলেন বিখ্যাত উদ্ভিদবিদ। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তাকে ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে ‘মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা’ জানানো হয়।
তার বিখ্যাত কিছু গানের মধ্যে রয়েছে- ‘আমার গানের স্বরলিপি’, ‘গানে মোর ইন্দ্রধনু’, ‘মাগো, ভাবনা কেন, আমরা তোমার শান্তিপ্রিয় শান্ত ছেলে’, ‘বাঁশি শুনে আর কাজ নাই সে যে ডাকাতিয়া বাঁশি’, ‘ও নদীরে একটি কথা শুধাই শুধু তোমারে’, ‘এই সুন্দর স্বর্ণালি সন্ধ্যায় এ কী বন্ধনে জড়ালে গো বন্ধু’, ‘এই মেঘলা দিনে একলা ঘরে থাকে না তো মন,’ ‘কেন দূরে থাকো শুধু আড়াল রাখো কে তুমি কে তুমি আমায় ডাকো,’ ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’, ‘আমার স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা থাকে’, ‘কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই’, ‘শোন একটি মজিবরের কণ্ঠ থেকে লক্ষ মজিবরের কণ্ঠে সুরের ধ্বনি প্রতিধ্বনি’, ‘আকাশে বাতাসে ওঠে রণি; বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ’, ‘প্রেম একবার এসেছিল নীরবে’, ‘কত দূরে আর,’ ‘এমন দিন আসতে পারে’ ইত্যাদি।
বাংলা আধুনিক ও চলচ্চিত্র সংগীতের বিশিষ্ট এই গীতিকার ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দের ২০ আগস্ট কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।