ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১১ পৌষ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

আতাউর রহমান খানের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

বিবিধ

আমাদের বার্তা ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৮:৩০, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪

সর্বশেষ

আতাউর রহমান খানের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

বিশিষ্ট আইনজীবী ও রাজনীতিক আতাউর রহমান খানের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ১৯০৭ খ্রিষ্টাব্দের ১ জুলাই ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার বালিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকার পোগোজ স্কুল থেকে ১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দে ম্যাট্রিক, জগন্নাথ কলেজ থেকে ১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দে এফএ পাস করেন তিনি । আতাউর রহমান খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দে অর্থনীতিতে বিএ (অনার্স) পাস করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দে বিএল ডিগ্রি লাভ করে তিনি ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা জেলাকোর্টে আইনব্যবসা শুরু করেন। আতাউর রহমান খান ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে মুন্সেফ পদে চাকরি গ্রহণ করেন। কিন্তু দুবছর পর চাকরি ছেড়ে পুনরায় তিনি ওকালতি শুরু করেন।

প্রজা সমিতিতে যোগদানের মধ্য দিয়ে আতাউর রহমান খানের রাজনৈতিক জীবনের সূচনা। ১৯৩৪-৩৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ঢাকা জেলা প্রজা সমিতির সম্পাদক ছিলেন। ১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দে তিনি মুসলিম লীগে যোগ দেন। তিনি দলের ঢাকা জেলা কমিটির সদস্য এবং মানিকগঞ্জ মহকুমা কমিটির সহসভাপতি ছিলেন। আতাউর রহমান খান আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত তিনি এ দলের সহসভাপতি ছিলেন। তিনি সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদের (৩০ জানুয়ারি ১৯৫২) সদস্য হিসেবে ভাষা আন্দোলন সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন এবং পরে ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাসে পুনর্গঠিত কর্মপরিষদের আহবায়ক নির্বাচিত হন।

আতাউর রহমান খান ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দের নির্বাচনের প্রাক্কালে গঠিত যুক্তফ্রন্টের যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন এবং যুক্তফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী হিসেবে পূর্ববঙ্গ আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি শেরে বাংলা এ.কে ফজলুল হকের প্রাদেশিক মন্ত্রিসভায় বেসামরিক সরবরাহ মন্ত্রী ছিলেন। ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। আতাউর রহমান খান যুগপৎ প্রাদেশিক পরিষদের বিরোধীদলীয় পার্লামেন্টারি পার্টির নেতা এবং গণপরিষদে বিরোধীদলীয় উপনেতা ছিলেন।

১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী হন এবং ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দে দেশে সামরিক শাসন জারির পূর্ব পর্যন্ত এ পদে বহাল ছিলেন। ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দে সামরিক সরকার কর্তৃক তার ওপর এবডো আইন প্রয়োগ করা হয়। ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে গঠিত ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক ফ্রণ্টের অন্যতম নেতা হিসেবে তিনি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ঢাকা হাইকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবং ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে বার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হন। আতাউর রহমান খান ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে জাতীয় লীগ নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন এবং দলের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি পরাজিত হন।

১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আতাউর রহমান খান পাকবাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার হন এবং পাঁচ মাস কারাভোগের পর সেপ্টেম্বর মাসে মুক্তি লাভ করেন। ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দে তিনি জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগে (বাকশাল) যোগ দেন এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নিযুক্ত হন। বাকশাল বিলুপ্তির পর আতাউর রহমান ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে জাতীয় লীগ পুনরুজ্জীবিত করেন। ১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দে তিনি জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। তার নেতৃত্বে জাতীয় লীগ সাত দলীয় জোটের শরীক দল হিসেবে জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে। পরবর্তী সময়ে তিনি জেনারেল এরশাদের মন্ত্রিসভায় যোগ দেন এবং ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাসে প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন। ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি এ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
আতাউর রহমান খান রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ ওজারতির দুই বছর, স্বৈরাচারের দশ বছর, প্রধানমন্ত্রীত্বের নয় মাস, অবরুদ্ধ নয় মাস। ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

জনপ্রিয়