খ্যাতনামা সংগীতশিল্পী মাহমুদুন্নবীর মৃত্যুবার্ষিকী আজ। এই গুণী শিল্পী ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ ডিসেম্বর ভারতের বর্ধমান জেলার কাটোয়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি ‘আমি সাত সাগর পাড়ি দিয়ে কেনো সৈকতে পড়ে আছি', ‘আয়নাতে ওই মুখ দেখবে যখন’, 'সুরের ভুবনে আমি আজও পথচারী', 'ক্ষমা করে দিও যদি না তোমায় মনের মতো গান শুনাতে পারি', 'গানের খাতায় স্বরলিপি লিখে বল কী হবে?' ইত্যাদি জনপ্রিয় গানের গায়ক।
মাহমুদুন্নবীর চার সন্তান। তারা হলেন-কণ্ঠশিল্পী সামিনা চৌধুরী, সংগীতশিল্পী ফাহমিদা নবী, শিল্পী রিদওয়ান নবী পঞ্চম ও তানজিদা নবী।
মাহমুদুন্নবী ছিলেন সহজ-সরল, মিষ্টভাষী এবং গানপাগল অভিমানী এক মানুষ। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি কেবল গান-ই লালন করেছেন তার হৃদয়ে। তার উল্লেখযোগ্য গানগুলোর মধ্যে ‘তুমি যে আমার কবিতা, আমারও বাঁশি রাগিণী’, ‘তুমি কখন এসে দাড়িয়ে আছো আমার অজান্তে’, ‘ও গো মোর মধুমিতা’, ‘সালাম পৃথিবী তোমাকে সালাম দুনিয়া কে করেছো টাকার গোলাম’, ‘আমি সাত সাগর পাড়ি দিয়ে কেন সৈকতে পড়ে আছি’ অন্যতম।
মাহমুদুন্নবী বাংলাদেশের আধুনিক ও চলচ্চিত্রের গানে যে শুভ সূচনার উন্মেষ ঘটিয়েছিলেন। সেই ধারাবাহিকতা আজ এই দেশের চলচ্চিত্রের গানে লক্ষ্য করা যায় না বললেই চলে। এই গুণী শিল্পী ১০২০ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন।