ঢাকা শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৬ পৌষ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

মরমী কবি হাছন রাজার জন্মদিন

বিবিধ

আমাদের বার্তা ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৮:৩০, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

আপডেট: ১২:০৩, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

সর্বশেষ

মরমী কবি হাছন রাজার জন্মদিন

মরমী কবি হাছন রাজার জন্মদিন আজ। ১৮৫৪ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে তিনি সুনামগঞ্জ শহরের কাছে সুরমা নদীর তীরে লক্ষ্মণশ্রী পরগনার তেঘরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। হাসন রাজা পরাক্রমশীল জমিদার ছিলেন।

একসময় তিনি তার সম্পদ জনকল্যাণে দান করে দিয়ে কয়েকজন সঙ্গিনী নিয়ে হাওরে হাওরে ভাসতে থাকেন। গুণী এই মরমি কবি বাংলা ভাষাভাষি মানুষ ছাড়াও উপমহাদেশেও সমাদৃত। শিশুকাল থেকে মৃত্যু পর্যন্ত লক্ষণশ্রীই ছিলো তার সবচেয়ে প্রিয় জায়গা।

হাছন রাজার বাবা দেওয়ান আলী রাজা চৌধুরী ছিলেন প্রতাপশালী জমিদার। হাছন রাজা তার তৃতীয় পুত্র। মায়ের নাম ছিলো হুরমত বিবি। বাবা-মা উভয়ের কাছ থেকে পাওয়া সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা, রামপাশা, লক্ষণশ্রী আর সিলেটের একাংশ নিয়ে বিশাল অঞ্চলের জমিদার ছিলেন মরমী গীতিকবি হাছন রাজা। ১৫ বছর বয়সে তিনি জমিদারিতে অভিষিক্ত হন।

হাছন রাজার গানের বিচিত্রতা লক্ষণীয়। তিনি লিখেছেন প্রেমের গান (জাগতিক প্রেম, আধ্যাত্মিক প্রেম, জগৎ সংসারের প্রেম)। তারপরও তার গানের প্রধান বিষয়বস্তু অনেকটা এরকম এই পৃথিবীতে মানুষের আগমন একটা স্বল্প সময়ের জন্য। এখানে কেউই চিরস্থায়ী নয়। মানবিকবোধকে তিনি উচ্চ স্তরে স্থান দিয়েছেন যেখানে মমত্ব, ভ্রাতৃত্ব, সংহতি এবং সহনশীলতাবোধের গভীর দিকদর্শন রয়েছে, রয়েছে অসাম্প্রদায়িকতার কথাও।

হাছন রাজার গবেষণা-সাধনা ও শিল্পকর্ম ছিল গণকল্যাণমুখী। তিনি বিখ্যাত জমিদার ছিলেন, আবার সুরের সাধকও ছিলেন।

কবির নিজের সৃষ্টিকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দাঁড় করিয়ে গেছেন। লক্ষণশ্রীর ধনাঢ্য জমিদার পরিবারে জন্ম নেয়া হাছন রাজা তার জীবনের বিভিন্ন সময়ের গানে সহজ-সরল স্বাভাবিক ভাষায় মানবতার চিরন্তন বাণী উচ্চারিত হয়েছিলো। তেমনি আধ্যাত্মিক কবিও ছিলেন তিনি। সব ধর্মের বিভেদ অতিক্রম করে তিনি গেয়েছেন মাটি ও মানুষের গান।

১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে তার রচিত ২০৬টি নিয়ে গানের একটি সংকলন প্রকাশিত হয়। এই সংকলনটির নাম ছিল ‘হাছন উদাস’। এর বাইরে আর কিছু গান ‘হাছন রাজার তিন পুরুষ’ এবং ‘আল ইসলাহ্’সহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। ধারণা করা হয়, তার অনেক গান এখনও সিলেট-সুনামগঞ্জের লোকের মুখে মুখে আছে এবং বহু গান বিলুপ্ত হয়ে গেছে। ১৯২২ খ্রিস্টাব্দের ৬ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

 

জনপ্রিয়