সুবল দাস ছিলেন এ দেশের একজন সংগীত পরিচালক ও সুরকার। চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনা করে তিনি খ্যাতি অর্জন করেন। তবে তিনি বেতার ও টেলিভিশনের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। তার সুরকৃত অসংখ্য গান বেতার ও টেলিভিশনের সংগীতশিল্পীরা পরিবেশন করেন। তার সুরকৃত গান গেয়ে অনেক শিল্পী জনপ্রিয়তা ও খ্যাতি লাভ করেন।
সুবল দাস ১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ ডিসেম্বর তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের (বর্তমান বাংলাদেশ) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা রশিকলাল দাস এবং মা কামিনী দাস। পরিবারের আগ্রহেই তিনি সংগীতচর্চা শুরু করেন।
তিনি সেতারে তালিম নেন ওস্তাদ খাদেম হোসেন খান এবং ওস্তাদ আয়াত আলী খান এর কাছ থেকে। সংগীতে পারদর্শিতা অর্জন করে তিনি সুর ও সংগীত পরিচালনায় মনোনিবেশ করেন। সংগীতের পাশাপাশি ফুটবল খেলায় ঝোঁক ছিলো প্রবল। নিয়মিত খেলতেন ঢাকার আজাদ স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে।
সুবল দাস ১৯৫৯ খ্রিষ্টাব্দে চলচ্চিত্রকার ফতেহ লোহানী পরিচালিত আকাশ আর মাটি চলচ্চিত্রে প্রথম সংগীত পরিচালনা করেন। তার সুরকৃত মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের গাওয়া ‘তবে কি আমার নেই কোনো ঠাঁই’ গানটি বিপুল প্রশংসিত হয়। ১৯৬৩ খ্রিষ্টাব্দে পাকিস্তান বেতারের সংগীত পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন। এরপর ১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দে পাকিস্তান টেলিভিশনের সুরকার হিসেবে যোগ দেন।
এ সময় তিনি কিছু উর্দু চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনা করেন। বাংলা চলচ্চিত্রের গানের মধ্যে স্বরলিপি চলচ্চিত্রের ‘গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে’, আলো তুমি আলেয়া চলচ্চিত্রের ‘আমি সাত সাগর পাড়ি দিয়ে’, যোগ বিয়োগ চলচ্চিত্রের ‘এই পৃথিবীর পান্থশালায়’ উল্লেখযোগ্য। সুবল দাস ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন।