ঢাকা শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারি ২০২৫ , ১৯ পৌষ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

কমরেড মণি সিংহ এর মৃত্যুবার্ষিকী আজ

বিবিধ

আমাদের বার্তা ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৮:৩০, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

সর্বশেষ

কমরেড মণি সিংহ এর মৃত্যুবার্ষিকী আজ

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা কমরেড মণি সিংহ এর মৃত্যুবার্ষিকী আজ।মণি সিংহ ১৯০১ খ্রিষ্টাব্দের ২৮ জুন ময়মনসিংহ জেলার সুসং-দুর্গাপুরে জন্মগ্রহণ করেন। সেখানে প্রাথমিক শিক্ষা শেষে তিনি মাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহণের জন্য কলকাতায় যান।

কলকাতায় ১৯১৪ খ্রিষ্টাব্দে তিনি সশস্ত্র বিপ্লবী গোষ্ঠী অনুশীলন দলে যোগ দেন। এক দশক পরে সন্ত্রাসবাদী আন্দোলন ত্যাগ করে ১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন।

১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতার মেটিয়াবুরুজে কেশরাম কটন মিলে শ্রমিকদের ১৩ দিন ব্যাপী ধর্মঘটে নেতৃত্ব দিয়ে দাবি আদায়ের মাধ্যমে মণি সিংহ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে প্রথম সফলতা অর্জন করেন। ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দে তিনি গ্রেফতার হন এবং ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বর মাসে জেল থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি সুসং-দুর্গাপুরে আসেন।

এখানে অবস্থানকালে তিনি এখানকার কৃষকদের সংগঠিত করে টংক প্রথার বিরুদ্ধে কৃষক আন্দোলন পরিচালনা করেন। ১৯৪৫ খ্রিষ্টাব্দে নেত্রকোণায় অনুষ্ঠিত নিখিল ভারত কিষাণ সভার মহাসম্মেলনের তিনি অন্যতম সংগঠক ও অভ্যর্থনা কমিটির সভাপতি ছিলেন।

১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে ভারত বিভাগের পর মণি সিংহ পূর্ব বাংলায় কমিউনিস্ট আন্দোলনের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। এ সময় তিনি ময়মনসিংহ জেলার হাজং কৃষকদের নিয়ে আবার টংক প্রথা উচ্ছেদের আন্দোলন শুরু করেন। এই আন্দোলন সশস্ত্র রূপ পরিগ্রহ করলে পাকিস্তান সরকার ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দে টংক প্রথা বাতিল করে এবং মণি সিংহের ওপর হুলিয়া জারি করে তার সমস্ত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করে নেয়।

১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দে মণি সিংহ পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে পাকিস্তান সরকার কমিউনিস্ট পার্টিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দে গোপনে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে তিনি আবারও সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দে তিনি গ্রেফতার হন। ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দে গোপনে অনুষ্ঠিত পার্টির কংগ্রেসে তিনি তৃতীয়বার পার্টির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

চীন ও সোভিয়েত দৃষ্টিভঙ্গিতে পার্থক্যের কারণে আন্তর্জাতিক কমিউনিস্ট রাজনীতিতে ভাঙনের পর তিনি সোভিয়েত ইউনিয়নকে অনুসরণের সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে গণআন্দোলনের চাপে সরকার তাকে মুক্তি দেয়। মুক্তিলাভের কিছুদিনের মধ্যেই পুনরায় তিনি গ্রেফতার হন। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ৭ এপ্রিল সাধারণ কয়েদিদের সহায়তায় তিনি রাজশাহী কারাগার থেকে বের হয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তিনি মুজিবনগর সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন।

স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দে কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেসে মণি সিংহ পার্টির সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি বাকশালে যোগদান করেন। ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে তিনি কমিউনিস্ট পার্টিকে পুনরুজ্জীবিত করেন। ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তিনি গণতান্ত্রিক ঐক্যজোটের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন। ১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির তৃতীয় কংগ্রেসে তিনি পুনরায় পার্টির সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দের আজকের এই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

 

জনপ্রিয়