ঢাকা শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫ , ২৬ পৌষ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

সাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক বিনয় মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিন আজ

বিবিধ

আমাদের বার্তা ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৮:৩০, ১০ জানুয়ারি ২০২৫

সর্বশেষ

সাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক বিনয় মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিন আজ

বিশিষ্ট বাঙালি সাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক বিনয় মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিন আজ। কর্মজীবনে ‘যাযাবর’ ছদ্মনামে তার লেখা ‘দৃষ্টিপাত’ গ্রন্থটি পঞ্চাশের দশকে বাঙালি পাঠক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলো।

বিনয় মুখোপাধ্যায় ১৯০৮ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে বৃটিশ ভারতের অধুনা বাংলাদেশের ঢাকার ফেগুনামার গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ফণীভূষণ মুখোপাধ্যায় ও মায়ের নাম মনোরমা দেবী। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন জ্যেষ্ঠ। তার বাবাও সাহিত্যচর্চা করতেন। পারিবারিক সাহিত্যের আবহাওয়া তার সাহিত্য রচনার প্রেরণা যুগিয়েছে।

বিনয় চাঁদপুরের জুবিলি হাই স্কুল থেকে ম্যাট্রিক, সেন্ট পলস কলেজ থেকে আইএ ও কলকাতার বঙ্গবাসী কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। ছাত্রাবস্থাতেই তিনি বেশ কয়েকটি গান রচনা করেছিলেন এবং সেগুলো সুরসাধক হিমাংশু দত্তের সুরারোপে রেকর্ড হিসেবে প্রকাশিত হয়। এরূপ গানের রেকর্ডের তালিকা ছয়টি। উল্লেখযোগ্য গানগুলো হলো - শচীন দেববর্মণের কণ্ঠে ‘নতুন ফাগুনের দিনে’ এবং উমা বসুর কণ্ঠে ‘ঝরানো পাতার পথে’। তবে সুরকার হিমাংশু দত্তের অকাল প্রয়াণে তার বিনয়ের গীতিকার জীবনের ছেদ পড়ে।

১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ব্যারিস্টরি পড়ার উদ্দেশ্যে ব্রিটেন যান। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে গাওয়ার স্ট্রিটের ভারতীয় আবাস জার্মান বোমার আঘাতে ধ্বংস হলে তিনি দেশে ফিরে আসেন। দৈনিক ‘যুগান্তর’ পত্রিকায় সাংবাদিকতার কাজ নিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। সেখানে ‘শ্রীপথচারী’ ছদ্মনামে রাজনৈতিক কলমে লিখতেন। এর পর ভারত সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পদস্থ কর্মচারী হয়ে দিল্লি যান এবং দীর্ঘদিন কাজ করার পর প্রেস কাউন্সিলের সচিব পদে উন্নীত হয়ে অবসর নেন। কর্মজীবনে তদানীন্তন নেতৃস্থানীয় বহু ব্যক্তির সান্নিধ্যে এসেছেন, সাহিত্যরচনা করেছেন ‘যাযাবর’ ছদ্মনামে। কর্মজীবনে তার ওপর দায়িত্ব আসে ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে গান্ধীজির বাণী সংগ্রহ করার। সোদপুরে গান্ধীজির কাছে গেলে তিনি বলেন বাণী দেয়া তার পক্ষে সম্ভব নয় - তার মন ভেঙ্গে গেছে। গান্ধীজির কাছ থেকে এমন কথা শুনে তার মনে হয়েছিলো তিনি যেন এক ঐতিহাসিক ট্র্যাজেডি প্রত্যক্ষ করছেন। যাযাবর নামে ‘দৃষ্টিপাত’ রম্যরচনা লিখে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ জনপ্রিয় লেখক হয়ে ওঠেন।

কর্মসূত্রে ও অবসর গ্রহণ করার পর তিনি সস্ত্রীক ইউরোপ ও আমেরিকায় গিয়েছিলেন। তার স্ত্রী দুর্গাদেবী ছাত্রজীবনে প্যারিসে ছিলেন। তিনি যামিনী রায়ের শৈলীতে অনেক ছবি এঁকেছেন। তার লেখা ‘পুষ্পপট’ বাংলাভাষায় ফুল সাজানো নিয়ে প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ।

‘দৃষ্টিপাত’ সমকালীন বাংলা সাহিত্যে সর্বশ্রেষ্ঠ পুস্তক হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় বিনয় মুখোপাধ্যায় সাহিত্যকর্মের জন্য ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘নরসিংহ দাস পুরস্কার’ এবং ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ‘বিদ্যাসাগর পুরস্কার’ লাভ করেন। খ্যাতনামা এই সাহিত্যিক ২০০২ খ্রিষ্টাব্দের ২২ অক্টোবর দিল্লিতে প্রয়াত হন।

জনপ্রিয়