ঢাকা বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ২২ মাঘ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

আসন সঙ্কট প্রকট

পাওয়া যাচ্ছে না ঢাকা বার লাইব্রেরির ৫৮২ বই

বিবিধ

আমাদের বার্তা, আদালত প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৩:৫৮, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আপডেট: ০১:১১, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সর্বশেষ

পাওয়া যাচ্ছে না ঢাকা বার লাইব্রেরির ৫৮২ বই

দিন দিন পাঠক বেড়ে চলায় স্থান ও আসন সঙ্কট প্রকট হয়ে উঠেছে ঢাকা আইনজীবী সমিতির লাইব্রেরিতে। জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসের আগের দিন গতকাল মঙ্গলবার এই লাইব্রেরিটিতে গিয়ে দেয়া যায়, প্রতিদিন গড়ে আড়াইশ’ থেকে তিনশ’ আইনজীবী বই পড়তে আসছেন। অথচ পড়ার জন্য আছে মাত্র ২৮টি বক্স টেবিল। আশেপাশে মিলিয়ে ৩২ থেকে ৩৪ জন একসাথে পড়তে পারেন। নারী আইনজীবীদের আলাদা পড়ার কোনো কক্ষ নেই। বিকাল ৫টাতেও ২৬ জন আইনজীবীকে অধ্যয়নরত দেখা গেলো। তাদের মধ্যে ৩ জন নারীও আছেন।

অধ্যয়নরত আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অনেক সময় পড়ার জন্য বসার জায়গাও পান না সবাই। পাশে লাইব্রেরি সহকারীর কক্ষে কিংবা কম্পিউটার ল্যাবে বই নিয়ে পড়তে হয়।

এশিয়ার বৃহত্তম বার খ্যাত ঢাকা আইনজীবী সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৮৯ খ্রিষ্টাব্দে। তখনই এ লাইব্রেরিটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। আইনজীবী সমিতির পুরাতন ভবন ভেঙ্গে নতুন ভবন হওয়ায় সুপ্রশস্ত নতুন ভবনে স্থানান্তর করা হয় ১৩৬ বছরের পুরাতন লাইব্রেরিটি।

লাইব্রেরির সূত্রমতে, বর্তমানে এখানে ২২ হাজার ৯১৭টি বই আছে। সবই আইনের বই। আইনের বই ছাড়া আইনজীবী সমিতির লাইব্রেরিতে কোন বই রাখার অনুমতি নেই। কিছু ইসলামী বই আছে, তবে সেগুলো মুসলিম ফারায়েজ সম্পর্কিত।

লাইব্রেরি ও পাঠকদের সার্বিক নিরাপত্তায় আটটি সিসি ক্যামেরা স্থাপন আছে। পাঠকদের সুবিধার কথা চিন্তা করে পুরো লাইব্রেরি রুমটি এসি করা হয়েছে।

আইনজীবীদের ব্যবহারের জন্য ইন্টারনেট সংযোগসহ ৬টি কম্পিউটার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সংরক্ষণের অভাবে ৪টিই নষ্ট। যে কোনো আইনজীবী ইচ্ছা করলেই ল্যাব ব্যবহার করতে পারেন। শুক্র ও শনিবার ছাড়া প্রতিদিনই সকাল ৯ট থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত লাইব্রেরি খোলা থাকে।

তবে এতোবড় লাইব্রেরিতে কোন লাইব্রেরিয়ান নেই। তিনজন লাইব্রেরি সহকারী ও একজন সহকারি কম্পিউটার অপারেটর সার্বক্ষণিক কাজ করেন।

লাইব্রেরি সহকারী মো. ইয়াসিন মুন্সি দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানান, বর্তমানে ৫৮২টি বইয়ের কোনো হদিস নেই। যেসব আইনজীবী বইগুলো নিয়েছিলেন তাদের কেউ কেউ মারা গেছেন, কেউ কেউ বারবার চেম্বার পরিবর্তন করায় বই খুঁজে পাননি।

তিনি জানান, আগে আরো বেশি বই হারাতো। ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দে বই হারালে ১০ গুণ জরিমানার বিধান করা হয়। এরপর বই হারানো কমে আসে।

লাইব্রেরি খুঁজে দেখা গেছে, ১৮৭৬ খ্রিষ্টাব্দের আইএলআর, ১৮৯৬ এর ক্যালকাটা উইকলি, ১৯১৪ এর এআইআরসহ অনেক পুরাতন বই আছে।

পাঠক-আইনজীবী মোস্তফা কামাল দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, পাঠকের তুলনায় জায়গা কম। লোকবল কম থাকায় বই চেয়ে অপেক্ষা করতে হয়। এছাড়া লাইব্রেরিতে কোনো ফটোকপি মেশিন না থাকায় কোন রেফারেন্স আদালতে নিয়ে যেতে হলে বই বাইরে নিয়ে ফটোকপি করতে হয়। এতে সময় অপচয় হয়।

বারের লাইব্রেরি সম্পাদক নার্গিস পারভীন মুক্তি দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, লাইব্রেরিতে নারী আইনজীবীদের পড়ার আলাদা কোনো কক্ষ না থাকায় তাদের একটু অসুবিধা হয়। এ কথা বিবেচনায় নিয়ে লাইব্রেরির ভেতরের অব্যবহৃত একটা স্থান নারী আইনজীবীদের পড়ার কক্ষ করার একটা পরিকল্পনা আছে।

মুক্তি আরও বলেন, লাইব্রেরির জন্য বই কেনা একটি চলমান প্রক্রিয়া। প্রতিবছরই নতুন নতুন আইনের বই বের হয়। রেফারেন্স বই হিসাবে ডিএলআর, এমএলআর, বিএলডি প্রভৃতি বই বের হয়। আইনজীবীদের জন্য বইগুলো খুবই প্রয়োজনীয়। ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের আইনের বইগুলো শিগগিরই কেনা হবে।

জনপ্রিয়