ঢাকা সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫ , ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

ঈদে পর্যটকদের জন্য প্রস্তুত রাঙ্গুনিয়া এভিয়ারি পার্ক

বিবিধ

আমাদের বার্তা, রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম)

প্রকাশিত: ১৮:৩৬, ১০ মার্চ ২০২৫

সর্বশেষ

ঈদে পর্যটকদের জন্য প্রস্তুত রাঙ্গুনিয়া এভিয়ারি পার্ক

ঈদে পর্যটকদের জন্য প্রস্তুত রাঙ্গুনিয়া এভিয়ারি পার্ক

চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের রাঙ্গুনিয়া রেঞ্জের এভিয়ারি অ্যান্ড ইকো পার্ক সাড়ে পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর আবারও চালু হয়েছে। ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের ৫ আগস্টের পর ইকো পার্কের সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

সবুজ পাহাড় ও মনোরম পরিবেশে গড়ে ওঠা বিনোদন কেন্দ্র ইকো পার্কটি ২১ ফেব্রুয়ারি চালু হওয়ায় দূর-দূরান্ত থেকে পর্যটকরা আসতে শুরু করেছেন।ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিনোদন কেন্দ্রটি বিপুলসংখ্যক পর্যটকদের আগমনে আবারও জমজমাট ও মুখর হয়ে উঠবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।

বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বর মাসে বিনোদনপ্রেমীদের জন্য রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা ও হোসনাবাদ ইউনিয়নের কোদালা বিটের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে দুইশ ১০ হেক্টর এলাকা জুড়ে রাঙ্গুনিয়া এভিয়ারি অ্যান্ড ইকো পার্কটি উদ্বোধন করা হয়। 

পার্কের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ বাংলাদেশের প্রথম রোপওয়ে ক্যাবল-কার যা ২.৪ কিলোমিটার দীর্ঘ। উঁচু-নিচু পাহাড়ের মাঝপথ দিয়ে বয়ে গেছে এ ক্যাবল-কার। পার্কের ভেতরে রয়েছে স্বচ্ছ পানির কৃত্রিম হ্রদ। হ্রদের আশেপাশে সবুজ বনায়ন।

সরেজমিন দেখা যায়, পার্কে পর্যটকের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম। পাখি আর নজরকাড়া প্রকৃতি দেখে ফিরে যাচ্ছেন তারা। 

পার্কের ফরেস্টার হাসিবুর রহমান জানিয়েছেন, পার্কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পার্কের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আকর্ষণ ক্যাবল-কার অকেজো হয়ে পড়েছে। ক্যাবল-কার বন্ধ থাকায় পর্যটকরা অনেকে হতাশা ব্যক্ত করেছেন। কবে নাগাদ ক্যাবল-কার ফের স্থাপন ও চালু করা যাবে, তা এখনও অনিশ্চিত।

পর্যটন কেন্দ্রে বেড়াতে আসা আশরাফ আলী, করিম গণি ও রিদুয়ান জানান, পার্কের বিভিন্ন স্পটে তারা ভ্রমণ করেছেন। সবুজ বাগান, পাহাড়ের বাঁকে বাঁকে বসার ব্যব্স্থা ও মিনি চিড়িয়াখানা, পাখি দেখে খানিকটা বেড়ানোর স্বাদ নিচ্ছেন।

কুমিল্লা থেকে বেড়াতে আসা জুয়েল ও তার স্ত্রী সুমাইয়া বলেন, পরিবার নিয়ে এখানে বেড়াতে এসেছি। ইচ্ছা ছিল ক্যাবল-কারে চড়ার। কিন্তু ক্যাবল-কার বন্ধ থাকায় সেটা হচ্ছে না। দ্রুত ক্যাবল-কার চালুর উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।

রাঙ্গুনিয়া এভিয়ারী অ্যান্ড ইকোপার্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও রাঙ্গুনিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান মানিক বলেন, ইকোপার্কটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। ক্যাবল-কার চালু করা, চিড়িয়াখানায় পাখি আনা ও অবকাঠামো উন্নয়ন করা গেলে আবারও প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে পাবে ইকোপার্কটি। এছাড়া বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় পার্কে কোটি কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে। পার্কে ক্যাবল-কার ছাড়াও সবুজ পাহাড়ের কোলে কৃত্রিম হ্রদসহ আকর্ষণীয় আরো অনেক কিছু রয়েছে। আশা করি, পর্যটকরা এখানে এসে তাদের মনের চাহিদা পূরণ করতে পারবেন।

জনপ্রিয়