
নামাজ পড়ার সময় মসজিদ থেকে ঢাকার স্পেশাল জজ আদালত-১০-এর বিচারক মো. রেজাউল করিমের জুতা চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সুমন নামে এক যুবককে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মহ ইয়াসিন শিকদার কালবেলা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিচারকের জুতাসহ চোর গ্রেপ্তার হয়েছে। এ জন্য আমরা আর রিমান্ড চাইনি। আদালত আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার স্পেশাল জজ আদালত-১০-এর বিচারক মো. রেজাউল করিম ঢাকা জজকোর্ট জামে মসজিদে জোহরের নামাজ পড়তে যান। নামাজ শেষে তিনি দেখেন তার জুতা চুরি হয়ে গেছে। খোঁজাখুঁজির পর ওই মসজিদেই নামাজ পড়তে আসা ব্যক্তি মো. সুমন নামে একজনের কাছ থেকে চুরি হওয়া জুতাসহ আটক করে মুসল্লিরা। পরে তাকে কোতোয়ালি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
জুতা চুরির এ ঘটনায় ঢাকা স্পেশাল জজ আদালত-১০ এর স্টেনোগ্রাফার রাসেল মিয়া বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বিচারক মো. রেজাউল করিম বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই মসজিদের তৃতীয় তলায় জোহরের নামাজ শেষে মসজিদে রাখা ব্যবহৃত ১ হাজার ৮৫০ টাকা মূল্যের এক জোড়া চামড়ার কালো জুতা খুঁজে পাচ্ছিলেন না। কিছুক্ষণ পর অজ্ঞাতনামা এক মুসল্লি মো. সুমনকে তার ডান হাতে পলিথিন ব্যাগে জুতা দেখে সন্দেহ করে তৃতীয় তলায় নিয়ে আসেন। তখন বিচারক তার জুতাজোড়া শনাক্ত করেন এবং এ সময় সুমনকে আটক করা হয়।
পরে কোতোয়ালি থানায় ফোন করে বিষয়টি জানালে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে এবং আসামিসহ চুরি করা জুতা জোড়া হস্তান্তর করা হয়। পুলিশ চোরাই জুতার জব্দতালিকা প্রস্তুত করেন এবং আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ রবিউল আলমের জিম্মায় প্রদান করেন।