
রংপুরে পুলিশের গুলিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় ২৬ জনের বিরুদ্ধে অপরাধের প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে। এই মামলার তদন্ত শেষ করতে আরও দু মাস সময় দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া এ হত্যা মামলায় বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলামসহ আটক চারজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
আজ বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসব তথ্য তুলে ধরেছে প্রসিকিউশন। এর আগে সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ওই চারজনকে হাজির করা হয়। ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশন জানিয়েছে, আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় ২৬ জনের বিরুদ্ধে অপরাধের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে।
আবু সাঈদকে হত্যা মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলামসহ আটক চারজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে এদিন কারাগারে পাঠান ট্রাইব্যুনাল। শরিফুল ছাড়া বাকিরা হলেন- পুলিশের সাবেক এএসআই আমির হোসেন, তাজহাট থানার কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় ও বেরোবির বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান চৌধুরী।
এর আগে গত ২ মার্চ এ বিষয়ে প্রসিকিউশনের করা একটি আবেদন মঞ্জুর করে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল ৯ এপ্রিল এই চারজনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেন। দুইজন পুলিশ ঠাণ্ডা মাথায় আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সরাসরি এ ঘটনায় জড়িত ছিলেন বলে তদন্তে প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন চিফ প্রসিকিউটর।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত বছরের ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে গুলি করে হত্যা করা হয় আবু সাঈদকে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। আবু সাঈদ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন।