
সামাজিক বৈষম্য সৃষ্টি করে সবসময় হরিজনদের পিছিয়ে রাখা হয়েছে। তবে গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে শিক্ষা ও চাকরি থেকে শুরু করে সামাজিক জীবনের সর্বোস্তরে বৈষম্যহীন জীবন যাপন করতে চান তারা। এজন্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন হরিজন ও দলিত জনগোষ্ঠীর নেতারা।
শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন হলে হরিজন-দলিত জনগোষ্ঠীর মর্যাদাপূর্ণ জীবন ও নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ‘সংস্কার ও রাষ্ট্র ভাবনায় হরিজন-দলিত জনগোষ্ঠী’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলা হয়েছে।
সেমিনারে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘বৈষম্য দূর করতে হলে রাষ্ট্র কর্তৃক হরিজন জনগোষ্ঠীকে তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরিতে নিয়োগ বাড়াতে হবে। শিক্ষার বৈষম্য দূর করতে হবে।’
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বাবু বিজয়কৃষ্ণ দেবনাথ বলেন, ‘হরিজন-দলিত জনগোষ্ঠী পিছিয়ে পড়া নয়, বরং তাদের পিছিয়ে রাখা হয়েছে।’
ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন মানে কোটা বাতিল নয়। বিশেষ ক্ষেত্রে বিশেষ জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা থাকা আবশ্যক। এই জনগোষ্ঠীর নারী-শিশু সবচেয়ে বেশি নিপীড়িত।’
লেখক ও গবেষক আলতাফ পারভেজ বলেন, ‘সারাদেশে বসবাসরত হরিজন-দলিত জনগোষ্ঠীর প্রকৃত সংখ্যা কত তার কোন সঠিক তথ্য-উপাত্ত সরকারের কাছে নেই। এর উদ্যোগ সরকারকে নিতে হবে।’
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন হরিজন অধিকার আদায় সংগঠনের সভাপতি সুরেশ বাসফোর ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সাজু বাসফোর।