
কাঙাল হরিনাথ স্মৃতি জাদুঘরের তত্ত্বাবধায়কের বিয়ে নিয়ে ব্যস্ত সবাই, তাই প্রয়াণ দিবসে নেই কাঙাল হরিনাথকে স্মরণের কোনো আয়োজন! তাই শুক্রবার তার ১২৯তম প্রয়াণ দিবসে কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের স্মৃতি জাদুঘরের প্রধান গেটে ঝুলতে দেখা গেছে তালা।
কৃষক অধিকার আদায়ের অন্যতম অগ্রনায়ক ও গ্রামীণ সাংবাদিকতার পথিকৃৎ, বিশিষ্ট সমাজ সংস্কারক কাঙাল হরিনাথ মজুমদারকে শ্রদ্ধা ও স্মরণে রাখতে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে তার নামে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিলো স্মৃতি জাদুঘর। কিন্তু এই বিশেষ দিনে তার প্রতি সেই জাদুঘর কর্তৃপক্ষের অবহেলাই যেন সবচেয়ে বেশি প্রকট হলো।
এছাড়া উপজেলা প্রশাসন বা কোনো প্রেসক্লাবের পক্ষেও নেই কোনো আয়োজন। শুধু জাদুঘরে অবস্থিত তার ম্যুরালে দায়সারাভাবে ফুল দিয়েছেন জাদুঘরের কর্মচারীরা। এতে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কাঙাল হরিনাথের বংশধররা।
কাঙাল হরিনাথের চতুর্থ বংশধর স্বর্গীয় অশোক মজুমদারের স্ত্রী গীতা রানী মজুমদার বলেন, ‘কাঙাল ভাঙিয়ে অনেকজন বড় লোক হয়েছে। তবে সেই কাঙাল কাঙালই আছে। কাঙালের মতোই যাচ্ছে তার তিরোধান দিবস।’
এ ব্যাপারে জাদুঘরের নিরাপত্তাকর্মী রুহুল আমিন বলেন, ‘জাদুঘরের তত্ত্বাবধায়ক তাপস কুমার মণ্ডল চলতি মাসের পাঁচ তারিখে যোগদান করেছেন। আজ কাঙাল হরিনাথের প্রয়াণ দিবস। কিন্তু আজই স্যারের বিয়ে। তােই আলোচনা সভা ও অন্যান্য অনুষ্ঠান পেছানো হয়েছে। পরে করা হবে।’
কাঙাল হরিনাথ স্মৃতি জাদুঘরের তত্ত্বাবধায়ক তাপস কুমার মণ্ডলকে ফোন দেওয়া হলে অন্য একজন ফোন রিসিভ করে বলেন, ‘তাপসের বিয়ের অনুষ্ঠান চলছে। পরে কথা বলে নিয়েন।’
উল্লেখ্য, কাঙাল হরিনাথ ১৮৩৩ খ্রিষ্টাব্দের ২২ জুলাই কুমারখালীর কুণ্ডুপাড়া এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৮৬৩ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল মাসে কুমারখালী থেকে গ্রামবার্তা প্রকাশিকা নামের একটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশ শুরু করেন।